আজকের শিরোনাম :

পৃথিবী আর চাঁদের মাঝখান দিয়ে চলে যাবে যে গ্রহাণু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৭:৩৫

পৃথিবী আবার একটি গ্রহাণুর আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। শনিবারই একটি বিশাল আকৃতির গ্রহাণু পৃথিবী আর চাঁদের মাঝখান দিয়ে উড়ে যাবে- যাকে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বর্ণনা করেছেন এক বিরল ঘটনা বলে।

বিশাল গ্রহাণুটির নাম ‘২০২৩ ডিজেড টু’ এবং ব্যাস ৪০ থেকে ৯০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মাসখানেক আগে এটির সন্ধান পাওয়া যায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর আঘাতে একটি গোটা নগর ধ্বংস হয়ে যাবে।

তারা বলছেন, এত বড় কোন গ্রহাণুর পৃথিবীর এত কাছাকাছি চলে আসাটা এক বিরল ঘটনা, যা এক দশকে একবারই ঘটতে পারে।

তবে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে এটির পৃথিবীতে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা নেই; বরং তা পৃথিবী থেকে ১ রাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে এবং পৃথিবী ও চাঁদের মাঝখানের ফাঁকা জায়গা দিয়ে পার হয়ে যাবে।

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার রিচার্ড মোইসল বলছেন, পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে বাইনোকুলার এবং ছোট টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহাণুটি দেখা যেতে পারে।

ইউরোপের মহাকাশ সংস্থা বলছে, গ্রহাণু সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো কিছুর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা দেখা দিলে তা কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তার প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রে এ ঘটনাটি বিজ্ঞানীদের কাজে লাগবে।

বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন ২০২৬ সালে এটি হয়তো আবার পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি আসবে- তবে তখনও এটার সঙ্গে পৃথিবীর ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা নেই।

মার্চ মাসের প্রথম দিকে খবর বেরিয়েছিল যে একই রকম আকৃতির আরেকটি গ্রহাণু ২০৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪ তারিখে পৃথিবীর বুকে আঘাত হানতে পারে।

তবে মোইসল বলছেন, এখন তারা ধারণা করছেন যে ‘২০২৩ ডি ডব্লিউ’ নামের ওই গ্রহাণুটি পৃথিবীর ৪৩ লাখ মাইল দূর দিয়ে চলে যাবে।

অবশ্য এ রকম কোনো গ্রহাণু যদি পৃথিবীর দিকে আসতেও থাকে, তাহলেও আত্মরক্ষার উপায় এখন মানুষের হাতে আছে।

গত বছর মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার ডার্ট নামে একটি মহাকাশযান পাঠানো হয়েছিল ডিমর্ফোস নামের একটি পিরামিড-আকৃতির গ্রহাণুর ওপর আঘাত হেনে তার গতিপথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য।

সে পরীক্ষা সফল হয়েছিল এবং ডার্টের আঘাতের পর গ্রহাণুটির কক্ষপথে আবর্তনের সময় ৩২ মিনিট কমে যায়।
তথ্যসূত্র : বিবিসি

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ