আজকের শিরোনাম :

বড় আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে মেটা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২২, ১৫:৪৪

ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ও বড় আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। গত কয়েক মাসের বিজ্ঞাপন সেলস কমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র।

গত তিন মাসেই মেটার মোট সম্পত্তির ১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ২৮ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ফেসবুকের পাশাপাশি টিকটকসহ অন্যান্য সমমনা প্লাটফর্মগুলোর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে।

বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের বিজ্ঞাপনী মার্কেটের মোট ২০ শতাংশ ফেসবুকের দখলে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থান ধরে রাখলেও মহামারির পর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া অনলাইনের বিজ্ঞাপনী বাজারে ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

প্রতিষ্ঠানের এমন অবস্থায় মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, আগামী বছর প্রতিষ্ঠানটি নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হবে। বেশি বেশি নতুন লোক কোম্পানিতে যুক্ত না করে, নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগ করবে। বিশেষ করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্লাটফর্ম বা বহুল আলোচিত মেটাভার্স প্রজেক্টে বিনিয়োগ বাড়াবে।

প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ইকুয়েটি অ্যানালিস্ট অ্যাঙ্গেলো জিনো জানিয়েছেন, মেটা তার ব্যবহারকারীদের ধরে রাখতে রীতিমতো যুদ্ধ করছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, মেটা বর্তমানে ‘নো গ্রাথ' কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। 

অবশ্য চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রথমবারে মতো প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের নিয়মিত গ্রাহক কমছে। যা কপালে ভাঁজ পড়ার মতোই।  

অপর দিকে মেটার আরেক সহযোগী প্রতিষ্ঠান হোয়াটস্যাপেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তাছাড়া ফেসবুকের নিউজ ফিড পরিবর্তন করে টিকটকের মতো করার চেষ্টা চালাচ্ছে মেটার ডেভেলপাররা। 

গত জুন পর্যন্ত ফেসবুকে প্রতিদিন গড়ে ১.৯৭ বিলিয়ন মানুষ লগইন করেছেন। তবে ফেসবুক অ্যাপ থেকে এই সংখ্যা একটু বেশি। সেখানে গড়ে ২.৮৮ বিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন লগইন করেছেন।

এরপরেও প্রতিষ্ঠানটি বছরের মাঝামাঝি এসে ৬.৭ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হারিয়েছে। এ নিয়ে মার্ক জাকারবার্গ বলেন, সত্যিকার অর্থেই মেটা একটি চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে আমরা দ্রুত সময়ে উন্নতির পদ খুঁজে বের করছি। নতুন বিনিয়োগের দিকে যাচ্ছি।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ