আজকের শিরোনাম :

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিটিআরসির বিরুদ্ধে মামলা খারিজ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২২, ২১:১৫

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) বিরুদ্ধে নাঈম এ. চৌধুরীর দায়ের করা ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। বুধবার (৩০ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের এ আদালত মামলাটি খারিজ করেন।

বিটিআরসি এবং বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নাঈম এ. চৌধুরী একটি মামলা করেন। এ মামলায় তিনি নিজেকে বিটিআরসি থেকে পিএসটিএন লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটর ওয়ার্ল্ড টেল বাংলাদেশ লিমিটেডের একজন শেয়ারহোল্ডার হিসেবে দাবি করেন।

২০২১ সালের ৮ মার্চ বিটিআরসির তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এ নিলামের কারণে তার প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে নাঈম এ. চৌধুরী দাবি করেন। এরজন্য তিনি বিটিআরসি এবং ভিওনের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আদালতে মামলা করেন।

২০২১ সালের ২১ এপ্রিলে মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল আদালতকে স্থানান্তর করা হয়। পরে একই বছরের ১ অক্টোবর মামলাটি খারিজের জন্য বিটিআরসি আদালতে একটি আবেদন জমা করে। আবেদনে বলা হয়, সার্বভৌম দায়মুক্তি আইন অনুযায়ী বিটিআরসির বিরুদ্ধে চৌধুরীর দাবিগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সভরেন ইমুনিটিস এক্ট (এফএসআইএ) বিদেশি সার্বভৌম দায়মুক্তি আইন অনুযায়ী বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া একটি বিদেশি রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের বিচারিক এখতিয়ার থেকে মুক্ত থাকবে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টের বিচারক জন পি ক্রোনানের আদালত বিটিআরসি এর আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলাটি এ আদালতের এখতিয়ারের বহির্ভূত হওয়ায় তিনি তা খারিজ করে দেন।

তিনি আদেশে উল্লেখ করেন, বিটিআরসি বাংলাদেশের একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতের সার্বভৌম দায়মুক্তির আওতায় পড়ে। বিটিআরসি যুক্তরাষ্ট্রের এফএসআইএ’র অধীনে একটি বিদেশি সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। যেহেতু বিটিআরসি মামলাটি থেকে দায় মুক্ত, সেহেতু বাদীর অভিযোগ সংশোধনের সুযোগ নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসির মামলা সম্পূর্ণ খারিজ হয়ে গেছে।

এদিকে চৌধুরী মামলার অপর বিবাদী ভিওনের বিষয়ে একটি সংশোধিত অভিযোগ দায়ের করতে চান এবং আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে তাকে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিলের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে হবে। যদি তিনি সেই তারিখের মধ্যে অভিযোগ সংশোধন করতে ব্যর্থ হোন, তাহলে আদালত ভিওনের মামলাটি খারিজের পাশাপাশি এ মামলার রায় প্রদান করবেন।

প্রসঙ্গত, বিটিআরসির এ নিলামে ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাক ব্যান্ড ভিওনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বাংলালিংক এবং অন্যান্য মোবাইল অপারেটরদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ