ভারত-পাকিস্তানকে নিয়ে সত্যিই ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ?
ঠিক গুজব বলা ঠিক হবে না। তবে একটি খবর গত দুইদিন ধরে বাতাসে ভাসছে। এ বছরই কোনো এক সময় বাংলাদেশের মাটিতে একটি ত্রিদেশীয় ক্রিকেট আসর অনুষ্ঠিত হতে পারে। তাতে স্বাগতিক বাংলাদেশের সাথে থাকবে উপমহাদেশের দুই বড় ক্রিকেট শক্তি ভারত ও পাকিস্তান।
যেহেতু দুবাইতে মাত্র আইসিসির সভা হয়ে গেল, বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা গত তিন-চারদিন সেখানেই ছিলেন। সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান ফারুক আহমেদের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে। তারপরই শোনা গেলো, বাংলাদেশের মাটিতে একটি ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজ হতে পারে।
সত্যিই কি তাই? বাংলাদেশে এ বছর ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে আসবে ভারত ও পাকিস্তান? আসল ঘটনা কী? বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ নিজেই তার ব্যাখ্যা দিলেন।
ব্যাপারটা যে নিছক গুজব, তা নয়। ফারুক আহমেদও স্বীকার করেছেন, আইসিসি মিটিং চলাকালীন দুবাইতে তার এবং বিসিসিআই ও পিসিবি চেয়ারম্যানের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে। তারা একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে কথা বলেছেন। তবে সেটা বাংলাদেশের মাটিতেই হবে, এমন নয়।
এমনও হতে পারে, তিন দেশের সম্মতিতে অন্য এক দেশে ত্রিদেশীয় সিরিজটি হবে, সেখানে প্রতিযোগী দল হিসেবে বাংলাদেশও থাকবে।
শনিবার দুপুরে তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ এ উদ্বোধন করতে গিয়ে শেরে বাংলায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ফারুক জানান, ‘এমন কোনো কিছু (চূড়ান্ত) হয়নি। তবে আমরা আলাপ করেছি। এমন আইসিসি ইভেন্টগুলোতে যখন পরিচালকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়, তারা একসঙ্গে খেলা দেখে। এই লম্বা সময়ে সম্পর্কের উন্নতির অনেক সুযোগ থাকে। আমিও সেটাই চেষ্টা করেছি। ফাইনাল না দেখে চলে এসেছি আমি।’
‘ আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক যে মিটিংগুলো করেছি, সেগুলো শেষ হয়ে গেছে। পাকিস্তান বোর্ড, ভারতীয় বোর্ড এমনকি শ্রীলঙ্কান বোর্ডের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নটা জরুরি। সম্পর্ক ভালো হলে যে কোনো জিনিস পাওয়া সহজ হয়। যে কোনো পর্যায়েই এটা আমি বিশ্বাস করি। এটা আমরা চেষ্টা করেছি। পাকিস্তান আমাদের বলেছিল, এফটিপির বাইরে একটা সফরে তারা আমাদের দেশে আসবে। অত্যন্ত ব্যস্ত সূচির মধ্যে ছোট্ট একটা সফর হতে পারে জুলাইয়ের দিকে। এটা আমরা মোটামুটি ঠিক করেছি। চূড়ান্ত করা হলে আপনারা জেনে যাবেন।’
ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে ফারুক আহমেদের শেষ কথা, ‘ত্রিদেশীয় সিরিজটার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি। ভবিষ্যতে আমাদের যখন ফাঁকা সময় থাকবে, যদি কোনো সুযোগ থাকে, তাহলে যে দেশেই হোক আমরা অংশগ্রহণ করতে পারি। অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে থাকবে বাংলাদেশ। এটা আমরা আলাপ করেছি।’
এবিএন/খেলাধুলা/এসআর/এজে