আজকের শিরোনাম :

মিলারের অপরাজিত সেঞ্চুরি সত্ত্বেও এক ম্যাচ আগে সিরিজ ভারতের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০১:১২

জয় পেলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত হবে স্বাগতিক ভারতের। অন্যদিকে সিরিজে টিকে থাকতে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের কোন বিকল্প ছিলনা। এমন সমীকরণের ম্যাচে গোয়াহাটিতে হয়েছে রান উৎসব। তবে শেষ হাসি হেসেছে স্বাগতিকরাই। এতে করে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথমবারের মত প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে ভারত।

রোববার (২ অক্টোবর) আগে ব্যাট করে রোহিত শর্মার ৪৩, কে এল রাহুলের ২৮ বলে ৫৭, সূর্যকুমার যাদবের মাত্র ২২ বলে ৫ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ৬১, বিরাট কোহলির অপরাজিত ৪৯ রানে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩৭ রান করে। জবাবে ডেভিড মিলারের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি ও ডি ককের হাফ সেঞ্চুরিও হার ঠেকাতে পারেনি প্রোটিয়াদের। রান উৎসবের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ২২১ রানে থামে প্রোটিয়া ইনিংস। ১৬ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ঘরে তোলে ভারত।

রানের পাহাড় টপকাতে নেমে এদিন শুরুতেই প্রোটিয়াদের বিপাকে ফেলেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। আগের ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরা প্রোটিয়া অধিনায়ক এদিনও ফিরেছেন শূণ্য হাতে। তবে, ততক্ষণে সাত বল খরচ করে দলকে বিপদে ফেলার কাজটাও করে যান তিনি। এরপর রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফিরেন রাইলি রুশোও। দু'জনকেই ফেরান আর্শদীপ সিং।

শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেট দলের হাল ধরেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম। কক একপ্রান্তে রানের জন্য সংগ্রাম করলেও অন্যপ্রান্তে ঝড় তোলেন মার্করাম। তবে তার স্থায়ী হওয়ার আগেই মার্করাম ফেরেন অক্ষর প্যাটেলের শিকার হয়ে। ফেরার আগে মার্করাম খেলেন ৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংস।

দলীয় পঞ্চাশের আগে তিন উইকেট হারানো প্রোটিয়াদের পাড়ি দিতে হতো কঠিন পথই। চর্তুথ উইকেটে দলের হাল ধরে দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন ডেভিড মিলার ও ডি কক। ভারতীয় বোলারদের উপর চড়াও হয়ে দ্রুতই রান তুলতে মনোযোগী হন মিলার। তাতেই দলীয় একশ পেরোয় সফরকারিরা। এরপর ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিলার।

শেষ দিকে অবশ্য চড়াও হয়েছে এই প্রোটিয়া ডি কক। তবে তার আগেই ম্যাচটা চলে যায় স্বাগতিকদের দিকে। চর্তুথ উইকেটে এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন শতাধিক রানের জুটি খানিকটা আশা দেখালেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। দ্রুত রান তুলে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন ডি কক। এই জুটিতেই দলীয় দুইশ পার করে সফরকারীরা।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মিলারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ রান। অক্ষর প্যাটেলকে পরপর দুই বলে দুই ছয় হাঁকিয়ে ৪৬ বলেই পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ২২১ রান তুলতে পারে সফরকারীরা। ১৬ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেয় ভারত। ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ৪৭ বলে ঝড়ো ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন মিলার। ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ২৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন রাহুল। ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা সূর্যকুমার, ৫টি করে চার ও ছক্কায় ২২ বলে খেলেন ঝড়ো ৬১ রানের ইনিংস। এছাড়া ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৪৩ ও দিনেশ কার্তিকের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুই উইকেট নেন কেশব মহারাজ।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ