আজকের শিরোনাম :

ক্লাবগুলো চাইলেই ইএসএল ছাড়তে পারবে না : রিয়াল প্রেসিডেন্ট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩৩

রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বলেছেন, যে ১২টি ক্লাব ইউরোপিয়ান সুপার লিগে (ইএসএল) নাম লিখিয়েছে তাদের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে এবং চাইলেই ছাড়তে পারবে না।

তুমুল সমালোচনার মুখে গত মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান সুপার লিগের ১২টি ক্লাবের মধ্যে নয়টি ক্লাবই নাম প্রত্যাহার করে নেয়।

ব্রিটেনের শীর্ষ ছয়টিসহ ১২টি ক্লাব ইএসএল নামের একটি নতুন টুর্নামেন্টে যুক্ত হয়েছে এমন খবর বের হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা।

ক্লাবগুলোর সমর্থক ও সাবেক ফুটবলাররা এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে একাট্টা হন।

তবে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদসহ তিনটি ক্লাব এখনো ইএসএল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্তে যায়নি।


স্পেনের একটি দৈনিক পত্রিকা এএসের কাছে পেরেজ বলেন, ‘বাধ্যবাধকতাসহ যে চুক্তি হয়েছে সেটা আর বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই আমার, আসলে ক্লাবগুলো চলে যেতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘চাপের মুখে কিছু ক্লাব বলেছে তারা থাকবে না। কিন্তু এই প্রজেক্ট হোক কিংবা এর কাছাকাছি কিছু সামনে আগাবেই। আমি আশা করছি দ্রুত সামনে এগোবো আমরা।’

আমেরিকার বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান এই প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করছে- এমন খবরকেও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন পেরেজ।

ইএসএলের সাথে জড়িত ক্লাবগুলোকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ইউরো দেয়ার কথা জেপি মরগানের।

‘এই ১২টি ক্লাব যেভাবে পুনরায় ভাবছে, বিনিয়োগকারীরাও ভাবছে কী হবে কী হতে পারে। আমাদের কিছু পরিবর্তন যদি আনতে হয় সেটা আনবো কিন্তু সুপার লিগই এখন পর্যন্ত আমাদের ভাবনায় সেরা প্রজেক্ট।’

পেরেজ বৃহস্পতিবার বলেন, আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং টটেনহ্যাম হটসপার সরে গেলেও ইএসএল ‘স্ট্যান্ডবাই’ অবস্থায় আছে।

গত সপ্তাহের রবিবার ১২টি ক্লাব মিলে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ঘোষণা দেয় যা দুই দিনের মধ্যে তুমুল সমালোচনার মুখে অনেকটাই বানচাল হয়ে যায়।
সুপার লিগকে ঘিরে যেসব পরিকল্পনা ছিল
এই লিগে থাকার কথা ছিল ২০টি দল। ১২টি ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আরো তিনটি ক্লাব যেদের যোগ দেয়ার কথা। আরো পাঁচটি ক্লাব এখানে খেলানোর ভাবনা ছিল ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্যের ভিত্তিতে।

প্রতি বছরই আগস্টে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ শুরু হয়ে সপ্তাহের মাঝে খেলাগুলো হওয়ার কথা। ১০ টি দল করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ঘরের মাঠ ও প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবে।

সেরা তিনটি করে দল কেয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি যাবে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম ক্লাবটি নিজেদের মধ্যে প্লে অফ খেলবে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো করে দুই লেগের নকআউট পর্ব শেষে প্রতি বছর মে মাসে একটি নিরপেক্ষ স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা হবে।

ইএসএল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চেয়ে বেশি অর্থ জোগান দেবে বলে আশাবাদি ছিল ক্লাবগুলো।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ