আজকের শিরোনাম :

যেভাবে দেশে ফিরছেন সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৩, ২৩:০৩ | আপডেট : ০৮ মে ২০২৩, ২৩:১১

সুদানে চলামান সংকটে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনা শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম। সোমবার ৮ মে সকালে প্রথম ধাপে ১৩৬ জন বাংলাদেশী বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

সুদানে চলমান সংঘাত অনেক বাংলাদেশী প্রবাসী নাগরিককে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলেছে। এই সংকট মোকাবেলায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সুদান ও জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশন এবং আইওএম ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রত্যাবর্তনকারীরা প্রথমে সুদান থেকে জেদ্দায় আসেন। এরপর বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সমন্বিত সহায়তায় জেদ্দা থেকে ঢাকায় আসার জন্য প্রত্যাবর্তনকারীদেরকে আইওএম তার অভ্যন্তরীণ জরুরি সহায়তা তহবিল ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করে। ঢাকায় আসার পর তাদের খাবার ও বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রত্যেককে পরিবহন ভাড়া বাবদ ৫০০০ টাকা দিয়েছে ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড ও আইওএম।

বিমানবন্দরে ফেরত আসাদের স্বাগত জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এমপি বলেন, ‘চিন্তা করবেন না। আপনারা আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আপনারা সুদানে সবকিছু হারিয়েছেন। এখন আপনারা খালি হাতে ফিরে আসছেন। নিশ্চিন্ত থাকুন, আমরা আপনাকে সাহায্য ও সমর্থন করতে এখানে আছি।’

তিনি আরও বলেন, সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে আপনাদের। এছাড়া আইওএমও সহায়তা দেবে আপনাদের। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো এই কঠিন সময়ে আপনাদের যে কোন অসুবিধা দূর করা।

এখন পর্যন্ত সুদান থেকে দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষারত ৬৮০ বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে ১৩৬কে সমন্বিত উদ্যোগে দেশে আনল বাংলাদেশ সরকার ও আইওএম।

আইওম বাংলাদেশ-এর অফিসার ইনচার্জ ফাতিমা নুসরত গাজ্জালী এই মানবিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য সংস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সরকারের সাথে কাজ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সুদানের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এবং আইওএম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বাকি বাংলাদেশীদের আগামী দিনে ফিরিয়ে আনবে সরকার ও আইওএম।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ