আজকের শিরোনাম :

একমাস ৭ দিন ইন্টারপোলের জেল খেটেছি : আরাভ খান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৩, ০১:০৭

গত ১৫ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতে জুয়েলার্সের দোকান উদ্বোধন করেন আরাভ খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশর জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ দেশের কয়েকজন তারকাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে আলোচনায় আসেন দোকানের কর্ণধার আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম।

সেই সময় আরাভ বিষয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে রাজধানীর বনানীতে একটি ফ্ল্যাটে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মামুন ইমরান খানকে খুনের মামলার আসামি তিনি। পরে ২০ মার্চ তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

আরাভ আলোচনায় আসার পর তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে। তখন গত ২১ মার্চ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন তিনি। পরে আর ফেসবুকে সক্রিয় দেখা যায়নি তাকে। তারপর গত ২১ এপ্রিল সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এরপর ফেসবুকে তাকে নিয়মিত দেখা না গেলেও গত ২ মে বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘রাখে আল্লাহ মারে কে? আলহামদুলিল্লাহ।’

গত ২ মের পর থেকে ফেসবুকে ফের সক্রিয় দেখা যাচ্ছে তাকে। তবে গত ২১ মার্চের পর মাঝের একমাস সময় তার অনুপস্থিতির ব্যাপারে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, মাঝে একমাস ৭ দিন ইন্টারপোলের জেলে থেকেছেন আরাভ

বৃহস্পতিবার (৪ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে ফেসবুকে এক লাইভে আরাভ বলেন, অনেকে বলেছে আমি দুবাই থেকে পালিয়েছি। আমি পালানোর লোক না। কারণ আমি চুরি করিনি, আমি কেন পালাব।

আরাভ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যখন রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল, তখন আমাকে ফোন করে ওনারা। আমাকে জানায়, আপনার নামে একটা ফাইল এসেছে। আপনি আসুন, আপনাকে অ্যারেস্ট করব। অ্যারেস্ট করার থেকে আপনি আসা সর্বোচ্চ উত্তম। আমি ভাবলাম, আমি পালিয়ে বেড়ালে আমাকে তারা অ্যারেস্ট করবে। আমি তো পালানোর মতো ছেলে না। কারণ আমি তো চোর না যে আমি চুরি করেছি, এখন পালিয়ে বেড়াব।

তিনি বলেন, আমাকে ইন্টারপোলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একমাস ৭ দিন রাখা হয়। আমার জীবন থেকে এই ক’দিন ইন্টারপোলের জেলে কেটে গেল। সেখানে অনেক বড় বড় আসামিদের সঙ্গে জেল খেটেছি।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনেকে রটিয়ে বেড়িয়েছেন আমি পালিয়েছি। দোকান ছেড়ে পালিয়েছি। সবাই ভেবেছে আমাকে পুলিশে নিয়ে গেছে, ইন্টারপোল মানে শেষ। ওর লাইফ (আরাভ খান) শেষ। ও আর আসবে না। দোকান অন্যজনের। স্বর্ণ সরিয়েছে। কিন্তু একটা বিষয় দেখেছি, বাংলাদেশের মানুষ বোকা না। সবাই আমাকে বিশ্বাস করেছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ