আজকের শিরোনাম :

অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার, সিডনিজুড়ে বাঙালীদের অসন্তোষ!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২২, ২১:২৫ | আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, ২১:২৮

সিডনি মেট্রোপলিটনের অন্তর্ভূক্ত কেম্বেলটাউন কাউন্সিলের মিন্টো এলাকায় প্রায় ৫ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে নয়নাভিরাম সুন্দর কাঁচঘেরা এক বিল্ডিং। মুসলিম সেন্টার নামেই অধিক পরিচিত। মূলত ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টার এটি।

জন্মলগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির তহবিল সংগ্রহে প্রাক্তন সভাপতি মোফাজ্জল ভূইয়ার অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদান অনস্বীকার্য। আরও মনে পড়ে ড. ইব্রাহিম এর কথা। সম্প্রতি এই ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সংবিধান সংশোধনীর প্রস্তাবিত এজেন্ডা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমান সভাপতি ড. আনিসুল আফসারের নেতৃত্বাধীন কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক শনিবার (২২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় আনীত সংবিধান সংশোধনীর প্রস্তাবিত এজেন্ডা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে সমগ্র সিডনিজুড়ে।

সংগঠনের অন্যতম প্রাক্তন সভাপতি করিম ইকবাল এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বর্তমান সভাপতি ড.আনিসুল আফসার ও তার নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত এই পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে এ পর্যন্ত কারো কোন অভিযোগ নেই। তবে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো সংশোধনের উদ্যোগ কেউ ভালো চোখে দেখছেন না।

তিনি বলেন, সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন বর্তমান সভাপতি ড.আনিসুল আফসার এর নিকট থেকে এ ধরনের উদ্যোগ আশা করা যায় না। অনেকেরই বক্তব্য যে এই সংশোধনী সংবিধান বাতিল করার মাধ্যমে তিনি আবার সভাপতি পদে নির্বাচন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
 
যদিও একই ব্যক্তির ওই সেন্টারের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে ক্রমাগত আজীবন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সাংবিধানিক বাধা আছে। উক্ত সাংবিধানিক ধারাসমূহ সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হলে একই ব্যক্তি সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদে ক্রমাগতভাবে আজীবন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাংবিধানিক সুযোগ সৃষ্টি হবে।

উক্ত ধারাসমূহ প্রতিষ্ঠানে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার চিন্তাধারা, সর্বোপরী স্বেচ্ছাচারী নেতৃত্ব ও ক্ষমতার লোভ থেকে প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত রাখার লক্ষ্য নিয়েই ২০১৫ সালে সাধারণ সদস্যদের প্রস্তাবে, বার্ষিক সাধারণ সভার পূর্ণ সমর্থনে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিলো।

কার্যকরী পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগামীতে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের ওয়েস্ট ইনভেস্ট ফান্ড থেকে বিশাল একটা অনুদান (প্রায় ২৮মিলিয়ন ডলার) পাবার সম্ভাবনা আছে। এ কারণেই বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সাংবিধানিক বাধা দূর করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন।

তাদের অভিযোগ, তারা গত ছয় বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে বিরোধী হতে চাচ্ছেন না। তবে অনেকেই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেন, যা হবে কমিউনিটির জন্যে দুর্ভাগ্যজনক।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ