মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ১৭:২৮
স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাস ১৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে।
দিবসের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল আলোচনা সভা ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬টায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়।
আলোচনা সভায় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মোনাজাত করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, এনডিসি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সরকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরার জন্য শেখ রাসেল দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শেখ রাসেল দিবস ২০২২-এর প্রতিপাদ্য শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দূরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক যথার্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, রাসেলের নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই রেখেছিলেন তাঁর প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে। ১০ বছর ১০ মাসের সংক্ষিপ্ত জীবনে শিশু রাসেল মানবিকতা ও সহপাঠিদের সাথে সহানুভুতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। শৈশবকালে শিশু রাসেল স্কুলে চকলেট খাওয়ার সময় সকল শিশুকে চকলেট বিতরনের পর নিজে চকলেট খেতেন। বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক কারনে দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকার জন্য শিশু রাসেল পিতার সান্নিধ্য ও আদর যতœ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কাল রাতে শিশু রাসেল মুক্তি চেয়েছিলেন এবং জার্মানিতে তাঁর বড় বোন ‘হাসু আপুর’ (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) কাছে চলে যেতে ঘাতকদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু ঘাতকরা শিশু রাসেলের আবেদনে কর্ণপাত না করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। রাসেল আজ দেশের আনাচকানাচে এক মানবিক সত্তা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মধ্যে। দেশের তরুন প্রজন্মের কাছে রাসেল এক ভালবাসার নাম। তিনি শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সক শিশুকিশোর ও তাঁদের অভিভাবকদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী ব্যক্তিরা, জাতীয় চার নেতা, শেখ রাসেল এর রূহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয় ও কেক কাটা হয় এবং ্আমন্ত্রিত অতিথিদের রাতের খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।
এবিএন/এসএ/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ