আজকের শিরোনাম :

করের হার বৃদ্ধি নয়, করদাতার সংখ্যা বাড়ানোই লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:১৬ | আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩৪

দেশের করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

তিনি বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। এজন্য করের হার বৃদ্ধি না করে করদাতার সংখ্যা বাড়ানোই সরকারের লক্ষ্য।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজস্ব সম্মেলন-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে আগারগাঁওয়ে নির্মাণ করা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। এরপর ভবনটি পরিদর্শন করে রাজস্ব সম্মেলনে যোগ দেন।

কেউ যেন কর ফাঁকি না দেয় সে ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি রাজস্ব আহরণে ব্যাপক প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, কর আদায়ে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রণয়ন করলে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমে আসবে।

সম্মেলনে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে কর আদায়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘শুধু সাধারণ মানুষ বা ব্যবসায়ী না, প্রধানমন্ত্রীকেও কর দিতে হবে, সংসদ সদস্যদের কর দিতে হবে। নিজেরা আগে কর দিলে তবেই সবাই কর দিতে উৎসাহিত হবে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মানুষকে জানাতে হবে, বুঝাতে হবে যে আপনি যে কর দেন তা আপনার কাজেই লাগে। আজকে দেশের যে উন্নয়ন তার সবই হয়েছে করের টাকায়। তাই যারা এই সুফলটা ভোগ করছেন তাদের তো কিছু না কিছু দিতে হবে। রাষ্ট্র তো আর সব নিজ থেকে দিতে পারবে না।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এখন মানুষের হাতে টাকা বেড়েছে। ফলে উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে করদাতা মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রচার বাড়াতে হবে, মানুষকে সচেতন করতে হবে যে, আপনি যে সেবাটা ভোগ করছেন তা আপনাদের টাকায়। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে কর দিলে সামনে সেবা আরও ভালো পাবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। বর্তমানে রাজস্ব বোর্ড দেশের মোট রাজস্বের ৮৬ শতাংশের বেশি আহরণ করছে।

সরকারের লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ি তুলতে চাই। আমাদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট ইকনোমি। স্মার্ট ইকনোমি গঠনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ, এটাই আমাদের লক্ষ্য, যেটা ১৯৪১ সালে আমরা করতে চাই।  ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা এটা অর্জন করতে চাই। কাজেই সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এনবিআরের নানা কার্যক্রম নিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, চোরাচালান দমনের মতো কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানো এবং দেশীয় শিল্পের বিকাশ এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে নীতি প্রণয়নে সহায়তা প্রদানে ভূমিকা রাখছে বোর্ড।

উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়া বাংলাদেশের করণীয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কাজেই এই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণের প্রস্তুতি গ্রহণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সহজিকীকরণের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী ভারী শিল্প বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান (করতে হবে)।

স্বনির্ভরতার ওপর জোর দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’-এই স্লোগান সামনে নিয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। কাজেই আমরা চাই আমাদের দেশটা এগিয়ে যাক এবং বাংলাদেশ কারও ওপর নির্ভরশীল থাকবে না; আত্মনির্ভরশীল হবে, আত্মমর্যাদাশীল হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের এটাই লক্ষ্য।

 

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ