আজকের শিরোনাম :

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নিবন্ধন বহাল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ১৫:৪৮

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় ব্যয়ের হিসাব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একটি প্রতিনিধি দল।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে নির্বাচন কমিশনে হাজির হন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর এ দলের প্রতিনিধিরা।

বৈঠকের পর কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, তার দল নির্বাচনে দলীয়ভাবে কোনো ব্যয় করেনি। তাই হিসাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। এ বিষয়ে কমিশনকে সন্তুষ্টিমূলক জবাব দেয়ায় দলটির নিবন্ধন বহাল রেখেছে ইসি।

এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমারা হিসাব দেইনি। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। দেশে অনেক কিছু হয়। আমরা খরচ করিনি হিসাব দেইনি। আমরা একটা নিবন্ধিত দল। যে দলের ৮০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশে সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করলে দেশের কতটা সুনাম হবে। নির্বাচন কমিশনের কতটা সুনাম হবে এটা ভেবে দেখা দরকার।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে যথেষ্ট খুশি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে যে ভুল ত্রুটি আছে তারা যাতে এগুলো দূর করতে পারে। সেজন্য যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে তাহেলে যথেষ্ট। তাদের এই সময়ের অভিজ্ঞতা তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে।

একই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আজকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের একটি প্রতিনিধি দল এখানে এসেছিলেন। নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল; বিশেষ করে তাদের যে নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে, তাদের ব্যয় বিবরণী জানতে চেয়েছিলাম। এটা আইনের বিধান রয়েছে।আরপিও অনুযায়ী দলগতভাবে যে ব্যয় করতে হয় তার একটা হিসাব দিতে হয়।

তিনি বলেন, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী তারা ৮ মে যেটা জমা দিয়েছেন ওটাই তাদের ব্যয় বিবরণী। সেটা ব্যয় বিবরণী ফর্মে দেওয়া হয়েছিল না। পরবর্তী সময়ে তাদের চিঠি দিয়েছিলাম। এখন এই বিষয়টা আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এটা গ্রহণ করেছে। ওইটাকে ব্যয় ‍বিবরণী হিসেবে ধরা হয়েছে। সেটার সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আরো একটা ব্যয় বিবরণী বিস্তারিতভাবে জমা দিয়ে দেবে।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ২৮টি রাজনৈতিক দলের মধ্য সঠিক সময়ে ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছিল আওয়ামী লীগসহ ২৫টি দল। এ বিষয়ে সাড়া মেলেনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ছাড়াও আরও দুটি দলের। এ নিয়ে দলগুলোকে এ হিসাব জমা দিতে ১৫ দিন অতিরিক্ত সময় দেয়া ছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ইসি।
 

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ