আজকের শিরোনাম :

মুখে বঙ্গবন্ধু, ভেতরে অন্যকিছু: লতিফ সিদ্দিকী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৫৯

স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আমরা যতই গণতন্ত্রের কথা বলি, চেতনা ও চৈতন্যে জাতিগতভাবে আমরা এখনো গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন হতে পারিনি। আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমরা বঙ্গবন্ধুকে শুধু জিহ্বা থেকে উচ্চারণ করি। অন্তরে অন্যকিছু বিবেচনা করি। ’

রোববার জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০২৪ উত্থাপনের আপত্তি জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘এই সংসদে জাতির চেতনার কথা, জাতির স্বার্থের কথা, জাতির ভবিষ্যতের কথা আলোচনা হবে। সেখানে যে বলতে পারে, তাকে বলতে দিন। যাদের গলায় বড়শি লাগানো আছে, তারা কথা বলবে না। আমিও বলিনি। ৬০ বছর আমি বলিনি। আজকে আমার গলা থেকে আপনারাই বড়শিটা খুলে নিয়েছেন। তাই আমি যতক্ষণ আছি, আপনি যতই বাধা দেন আমি কথা বলতে চেষ্টা করব। ’

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের ধারণা নস্যাৎ করাই শুধু নয়, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটি কোনোদিনই কার্যকর করা হয়নি, করতে দেওয়া হয়নি। ’

লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের একপর্যায়ে সংসদের অধিবেশন কক্ষে সভাপতির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক তাকে থামিয়ে দিয়ে বিলের ওপর আলোচনা করতে বলেন। জবাবে লতিফ সিদ্দকী বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলতে গেলে এই সংসদের সময়ের অভাব হয়। কিন্তু হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপিতে অর্থের অপচয় হয় না। কিন্তু কোনো সদস্য একটু সময় বেশি চাইলেই অভাব হয়। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আইন সংসদ-সদস্যরা রচনা করেন না। আমলাদের মস্তিষ্ক থেকে যে আইন প্রণীত হয়, তা কখনো জনস্বার্থে আসতে পারে না। ’

বক্তব্যের একপর্যায়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার বসে পড়ব? এ সময় স্পিকার কোনো উত্তর না দিলে তিনি আবার বলে ওঠেন, আপনি নীরব হয়ে গেলেন, আমিও নীরব হয়ে যাই। আমি কিন্তু ওই চেয়ারকে (স্পিকার) সম্মান করি। ’

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ