আজকের শিরোনাম :

কবিরহাটে আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৪

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রচারণায় ব্যবহৃত তিনটি মাইক্রোবাস, সংযোগ কেটে দেওয়া হয় প্রচার মাইকের।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন— নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জাফর উল্যা, কবিরহাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু জাফর আবির, কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু, বৃহত্তর সদর উপজেলার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়েজ উল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাটইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন সোহাগ, সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ইসমাইল হোসেন, সোলায়মান, ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক সাদ্দাম, কাউন্সিলর জাসেদ, যুবলীগ নেতা তুহিন, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন’সহ ২৪জন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাবেক মেয়র টিটু ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবিরের নেতৃত্বে তিনটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভূঁইয়ারহাট বাজারে আসে। পরে তার নোয়াখালী-৫ আসনের নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর পক্ষে লিফলেট বিতরণ করে। লিফলেট বিতরণ শেষে ভূঁইয়ারহাট যাত্রী ছাউনির সামনে পথসভা করে নৌকার পক্ষে ভোট আহবান করে। এসময় বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে নৌকার প্রচারণায় আসলে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবির্তক, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এসময় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু অভিযোগ করে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর বিভিন্ন সময় আমরা কাদের ভাইয়ের পক্ষে প্রচরাণায় গেলে বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর ও বাধা দেয়। ওবায়দুল কাদেরের কবিরহাটের পথাসভার দিনও শাহীনের নেতৃত্ব আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আজ প্রথমে আমরা নৌকার পক্ষে কাছারিহাট, ওটারহাট প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করি। পরে সন্ধ্যায় ভূঁইয়ারহাট বাজারে লিফলেট বিতরণ করার পর আমাদের নেতাকর্মীরা নৌকার ভোট চেয়ে বক্তব্য দিচ্ছিল। এসময় শাহীনের পক্ষে স্লোগান দিয়ে শাহীনের নেতৃত্বে তার অস্ত্রধারী লোকজন এসে প্রথমে আমাদের মাইকের তার কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে এবং আমাদের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো প্রকার সমন্বয় না করে তারা নির্বাচনী প্রচারণায় এসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। আমরা ওবায়দুল কাদেরের প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করতে করতে তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের লোকজনের সাথে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং কয়েকজনকে মারধর করে। এতে আমিসহ আমার ৪ নেতাকর্মী আহত হয়েছি।

ওসি হুমায়ন কবির জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। তবে এখনও (রাত ১১টা) কেউ আমদের লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ