আজকের শিরোনাম :

প্রতিমন্ত্রী মুরাদ ছাত্রদলের নেতা ছিলেন : দাবি ফখরুলের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৪৩

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তৎকালীন ডাকসুর ভিপি মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদকে ‘ভূঁইফোড়’ ডাক্তার দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন, পরে তিনি ছাত্রলীগে যোগ দেন।

ডা. মুরাদ কয়েকদিন আগে ‘ভয়াবহ’ বক্তব্য দিয়েছেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সেদিন তিনি বলেছেন ‘আমি যা কিছু করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই করছি। প্রধানমন্ত্রী সবকিছু জানেন’। প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্পষ্ট জানতে চাই, এই ভয়াবহ উক্তি যদি একজন মন্ত্রী করতে পারেন, তাহলে আপনার সরকারের অবস্থান কী আমরা জানতে চাই। উত্তর দিতে হবে। কারণ আপনাকে জড়িয়ে কথা বলা হয়েছে। আমরা তীব্রভাবে এর প্রতিবাদ জানাই। ধিক্কার জানাই।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকে এই সরকারের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। এ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যেহেতু তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। সে কারণে তারা সামাজিক মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত জঘন্য নিকৃষ্ট প্রচার চালানো শুরু করেছে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বক্তব্যকে কুরুচিপূর্ণ আখ্যা দেন তিনি। জিয়া পরিবার ও নারীদের নিয়ে এমন কুৎসিত বক্তব্য দেওয়ায় মুরাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তার এমন মন্তব্যের প্রতি ধিক্কার জানাই।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জায়মা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি গত ১ ডিসেম্বর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভ ভিডিওতে জায়মা রহমানের ব্যাপারে এ ধরনের মন্তব্য করেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানের বক্তব্যে অকথ্য-কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করায় তা প্রকাশ করা হলো না।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ