আজকের শিরোনাম :

মির্জা ফখরুলরা দেশের কোন উন্নয়ন চোখে দেখতে পায় না : নানক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২১, ১৭:১০

বিএনপি নেতাের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট  জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মির্জা ফখরুলরা যখন বলে দেশে অর্থনৈতিক ভাবে লুটপাট হচ্ছে, তখন আমার কাছে মনে হয় ভুতের মুখে রামনাম।  

শনিবার (৩১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত চট্টগ্রামে করোনা রোগী ও মরদেহ পরিবহনের জন্য গাউসিয়া কমিটির কাছে এম্বুলেন্স হস্তান্তর এবং করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।     

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজকে বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলে, তারা দেশে একটা লুটের রামরাজ্য কায়েম করেছিল। সেই লুটেরারা বাংলাদেশকে সুখি- সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে পাবে না। তাদের অন্ধচোখে তারা দেখতে পায় না। তারা লুটপাট করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিল। সেই দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে অর্থনৈতিক ভাবে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। মির্জা ফখরুলরা বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন চোখে দেখতে পায় না। 

তিনি বলেন, আজকে সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও করোনায় আক্রান্ত। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়, বাংলাদেশও করোনা আক্রমণ করছে। আল্লাহ তায়ালার অসীম কৃপায়, দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জীবন ও জীবিকার উভয় একটা স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে পেরেছে। সমস্ত উন্নত দেশগুলো যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, স্বাস্থ্যখাত যখন হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে, সেই মূহুর্তে বাংলাদেশ জীবন ও জীবিকা উভয়ই স্থিতিশীল রেখে দেশ পরিচালনা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য একটি স্বাভাবিক পর্যায়ে লকডাউন দিয়ে চলছে দেশ। 

নানাক আরও বলেন, গত বছরের মার্চের মাঝামাঝিতে যখন বাংলাদেশ করোনা আঘাত হানে তখন থেকে আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশের দুস্থ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতেও আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠন মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছে। এমন কি মধ্যবৃত্ত শ্রেণি, নিম্ন মধ্যবৃত্ত শ্রেণির লোকজন রয়েছেন, যারা লাইনে এসে হাত পাততে পারে না মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলেন রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। এই দুঃসাধ্য কাজও আওয়ামী লীগ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছে।  

দলের সহযোগী সংগঠনের মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে যুবলীগের সাবেক এই চেয়ারম্যান আরও বলেন, গত বছর যখন ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, লকডাউনে সারাদেশে যখন স্থবির হয়ে গিয়েছিল যখন কৃষক ধান কাটার কোনো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এই দল ও এই দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মাঠ থেকে ধান কেটে কৃষকের গোলায় পৌঁছে দিতে হবে। এই কাজেও বাংলাদেশ কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ দায়িত্ব পালন করেছে। 

করোনার ছোবলে মায়ের মৃত্যুতে সন্তান যখন কাছে যায় না, পিতার মৃত্যুতে সন্তান যখন কাছে যায় না তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেই মরদেহ দাফন-কাফনের দায়িত্ব পালন করেছে বলেও যোগ করেন তিনি।

ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম। আরও উপস্থিত ছিলেন, উপকমিটির সদস্য ডা. হেদায়েতুল ইসলাম বাদল, আখলাকুর রহমান মাইনু, হাসিবুর রহমান বিজন, হারুনর রশীদ, আব্দুল বারেক,  মাহবুবুর রশীদ, আরিফুল্লাহ সরকার, আকাশ জয়ন্ত, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম সিমান্ত, রাশেদুল ইসলাম, ঈদ্রিস আহমেদ মল্লিক, আমিনুল ইসলাম মাতুব্বর, তাজুল ইসলাম, ইমরান সোনার,  ফারুকুজ্জামানসহ অনেকে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ