আজকের শিরোনাম :

শেখ হাসিনার পথে পথে পাথর

  সুভাষ সিংহ রায়

০১ জুন ২০২৪, ১৩:১৩ | অনলাইন সংস্করণ

সুভাষ সিংহ রায়
কবি নির্মলেন্দু গুণের একটা কাব্যগ্রন্থের নাম ‘পথে পথে পাথর’। সেই কাব্যগ্রন্থের একটা কবিতাই হচ্ছে ‘পথে পথে পাথর’। কবিতার কয়েকটি লাইন এমন “শেখ হাসিনা আপনার বেদনা আমি জানি/আপনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়িতে পা দিয়েছিলেন মাত্র/পাড়ি দিতে দুর্গম গিরি কান্তার মরু পথ/আপনার পথে পথে পাথর ছড়ানো।” দুদিন আগে শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যখন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন তখন তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে থাকতে পারেননি; বাড়িতে ঢুকতেও পারেননি। আমরা তো এখন সবাই জানি, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির ৬৭৭ নম্বর বাড়িতে বাবা-মা, চাচা, ভাই-ভাবীসহ পরিবারের সদস্যের জন্য একটু দোয়া পড়তে চেয়েছিলেন সেটাও জিয়াউর রহমান সরকারের বাধার কারণে পারেননি। বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে দোয়া পড়েছিলেন। ওই রাতে ঢাকায় রাত্রিযাপন করার মতো জায়গা ছিল না। তিনি সেই রাতে লালমাটিয়ার একটা বাসায় উঠেছিলেন। বাসার ঠিকানা ছিল ৬/১০, ব্লক-ডি, লালমাটিয়া। বাসাটি ছিল বঙ্গবন্ধুর এক নিকটাত্মীয় সৈয়দ হোসেনের তিন কক্ষের বাসা। এভাবেই শেখ হাসিনার লড়াই শুরু হয়েছিল। এখনকার দিনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কি এটা কল্পনা করতে পারবেন? শেখ হাসিনার জয় মানেই বাংলাদেশের সংগ্রামের জয়; পাঠকদের মধ্যে যাদের বয়স ৫০ বছরের নিচে তাদের হয়তো বোঝার কথা নয় কী রকম ভয়ংকর এক পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মানে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যাত্রায় প্রত্যাবর্তন করা। নতুন করে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হওয়া। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তার এ প্রত্যাবর্তন শুধু এক ব্যক্তির প্রত্যাবর্তন নয়। এ প্রত্যাবর্তনে ফিরে আসে বাংলাদেশ। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রাজনীতিতে পাকিস্তানি সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানকে ছাপিয়ে যায়, দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নয়ন ঘটে, সেই বাংলাদেশের উন্নতি বন্ধ করে খাল কেটে কুমির আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিকেন্দ্রীকৃত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে পাকিস্তান আমলের এলিট শ্রেণির কাছে কেন্দ্রীভূত করা হয়। বিচার-ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুরু হয় ইতিহাস বিকৃতি। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপরের সকল ঘটনাকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মানুষের মানবিক মর্যাদা পুরোপুরি ভূলুণ্ঠিত করা হয়। বাংলাদেশের এ পশ্চাদযাত্রা রোধ করে বাংলাদেশ সঠিক পথে ফেরে ১৯৯৬ সালে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ বছরের সংগ্রামের পর বাংলাদেশ ফিরে আসে মুক্তিযুদ্ধের পথে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ফিরে পায় বাংলাদেশ। বিচার বিভাগ স্বাধীন করা হয়। শিক্ষার হার ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নির্বাচনে মানুষের কার্যকর অংশগ্রহণ বেড়েছে। ফলে শেখ হাসিনার ফিরে আসা শুধু আওয়ামী লীগের জন্যই নয়, নেতৃত্বশূন্য বাংলাদেশের পূর্ণতার জন্য, এগিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যম্ভাবী ছিল। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ আজ মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত।

জি-২০ বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র প্রতিনিধি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও ১৫ বছর ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫-এর ওপরে থাকা একমাত্র দেশ বাংলাদেশ। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের উন্নয়ন উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে রোল মডেল। কারণ নিকট অতীতে এত বিপুল জনসংখ্যার আর কোনো দেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়নি। বাংলাদেশের সাথে যে ৪টি দেশ বিশ্বব্যাংকের মধ্য আয়ের তালিকায় নতুন করে ঢুকতে পেরেছে, সেগুলো হলো : বাংলাদেশ, কেনিয়া, মিয়ানমার ও তাজিকিস্তান। এসব দেশের জনসংখ্যা অনেক কম এবং আয়তন অনেক বেশি। সম্প্রতি আরও দুটি দেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে- জাম্বিয়া এবং গিনি। এর মধ্যে জাম্বিয়ার জনসংখ্যা ২ কোটি, গিনির জনসংখ্যা ১ কোটি। আয়তনের দিক থেকে গিনি বাংলাদেশের প্রায় দ্বিগুণ এবং জাম্বিয়া প্রায় ৫ গুণ। সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও বিপুল জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও একমাত্র বাংলাদেশ বিস্ময়কর উন্নতি করে যাচ্ছে। যাকে জাতিসংঘ মহাসচিব বিশে^র রোল মডেল বলেছেন। অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি, শিক্ষা, আইনের শাসন, জাতীয় নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, প্রাযুক্তিক উন্নয়ন, প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে। এসবই হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

(২)
১৯৮১ সালের ১১ মে, অর্থাৎ শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের ৬ দিন আগে ‘নিউজ পত্রিকা’য় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমি বিপদ জেনেই দেশে যাচ্ছি। মহৎ কাজ করতে গেলে ঝুঁকি নিতেই হয়।’ ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দলের কাউন্সিলে শেখ হাসিনার অবর্তমানে (অনুপস্থিতিতে) তাকে সভাপতি করা হলো। শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচন অনিবার্য ছিল; বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা সে-সময় তার যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ তখন তিন ধারায় বিভক্ত- আওয়ামী লীগ (মালেক উকিল), আওয়ামী লীগ (মিজান চৌধুরী), আওয়ামী লীগ (দেওয়ান ফরিদ গাজী)। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেই দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। দলের ভিতরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। বারবার দেশের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত গিয়েছেন। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ়তার সাথে বলতে পারেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষকে চিনি; বাংলাদেশের মানুষও আমাকে চেনে।’ আমরা সবাই জানি, প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি। সাক্ষাৎকারে এক জায়গায় ডেভিড ফ্রস্ট বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘পাকিস্তানের কারাগারের দিনগুলোতে আপনার কার কথা মনে পড়ত? আপনার সহধর্মিণীর কথা? পুত্র-কন্যাদের কথা? বঙ্গবন্ধু উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমার জনগণের কথা।’ সেই ডেভিড ফ্রস্টই এক-এগারো সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে বঙ্গবন্ধুকন্যার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল ‘আল-জাজিরা’ টেলিভিশনের জন্য, ‘এটা অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি। আমার দেশে আমি ফিরব, তারা আটকাবে কেন? তারা মামলায় জড়িয়েছে, আমি মোকাবেলা করব। তারা জেলে ভরবে, আমি জেলে যাব। কী করবে আমাকে? মেরে ফেলবে? বুলেট খরচ করবে? গ্রেনেড হামলা চালাবে? আল্লাহর ইচ্ছে থাকলে বেঁচে থাকব, না হলে চলে যাব। কিন্তু আমি দেশে ফিরব না কেন?’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সেই বিখ্যাত সাক্ষাৎকারের কথা অনেকের মনে থাকবে হয়তো। বঙ্গবন্ধুকে ডেভিড ফ্রস্ট জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘মি. মুজিব আপনার যোগ্যতা কী?’ বঙ্গবন্ধুর তাৎক্ষণিক উত্তর, ‘আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি।’ পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনার অযোগ্যতা কী?’ বঙ্গবন্ধুর সাবলীল উত্তর, ‘আমি আমার জনগণকে বেশি ভালোবাসি।’ চার দশক পর শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিলেন সেই ডেভিড ফ্রস্ট। শেখ হাসিনাকে ডেভিড ফ্রস্ট প্রশ্ন করলেন, ‘আপনি কি আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান?’ শেখ হাসিনার উত্তর, ‘এটা জনগণের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের জনগণ যদি চায়, তবেই হতে পারি। এটা জনগণই ঠিক করতে পারে। আমি কীভাবে বলতে পারি? এটা ঠিক, আমি জনগণের সেবা করতে চাই। আর আপনি জানেন, জনগণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। কারণ আমাদের জনগণ খুবই গরিব, তারা সমস্যায় জর্জরিত। এ মুহূর্তে তাদের রাজনৈতিক অধিকার নেই। তাদের কথা বলার অধিকার নেই। তারা অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছে। তাই আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। কারণ আপনি জানেন, আমার পিতার একটা স্বপ্ন ছিল : তিনি দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। আমার আদর্শ একই রকম এবং আমার বাবাকে অনুসরণ করতে চাই। কারণ বাংলাদেশের মানুষ এজন্য লড়ছে। তারা গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মৌলিক অধিকারের জন্য লড়ছে।’

(৩)
শেখ হাসিনার দ্বিতীয় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ছিল ৭ মে। ২০০৭ সালের ৭ মে শেখ হাসিনা তৎকালীন এক-এগারো সরকারের সমস্ত বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন, দেশে এলেই গ্রেফতার করা হবে। ভয় দেখানো হয়েছিল তাকে মেরে ফেলতে পারে। তারপরও তিনি লড়াই করেছেন। বিশ্বের ৪১টি দেশের ১৫১টি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকায় শেখ হাসিনার ফিরে আসার সংগ্রামকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হিসেবে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ থেকে ৭ মে পর্যন্ত মোট ৫২ দিনের লড়াই বুঝিয়ে দিয়েছিল বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই মূল্যায়ন কতটা সঠিক ছিল। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি দেওয়ার (১৯৯৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি) উল্লেখ করেছিল : ‘যেসব অফিসার আপনার পিতা, মাতা ও তিন ভাইকে হত্যা করেছে, তারা ভেবেছিল, বাংলার মানুষের প্রতি আপনার পরিবারের সেবা-ভালোবাসার সুযোগ তারা খতম করে দিয়েছে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আশা সুদূরপরাহত করতে পেরেছে। কিন্তু আপনাকে তারা গণনায় আনতে ব্যর্থ হয়েছিল।’

১৯৯৮ সালে এদেশে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো এই বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করেছিল। বিবিসি-র মতো সংবাদ মাধ্যমগুলো অন্তত ১০ মিলিয়ন বাংলাদেশের মানুষ মারা যাবে বলে আশঙ্কা করেছিল। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমানুষিক পরিশ্রম করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না, আজ শেখ হাসিনার বাংলাদেশের অর্ধেক জেলায় কোনো গৃহহীন মানুষ নেই। শেখ হাসিনা লাখ লাখ ভূমিহীন মানুষকে জমি দিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৪১ হাজার ৬২৩টি পরিবারে প্রায় ৪২ লাখ ৮০ হাজার ১১৫ ভ‚মিহীন মানুষকে ভূমির মালিকানা দিয়েছেন। যে কারণে ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে ‘টাইম’ ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে ‘বিস্ময়কর রাজনৈতিক নেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। গত ৪৩ বছরে শেখ হাসিনার পথে পথে পাথর ছড়ানো ছিল। শুধু কি পাথর পথে পথে ছড়ানো ছিল? শেখ হাসিনার পথে পথে গ্রেনেড ছড়ানো ছিল। 

পুনশ্চ: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৯৩ সালে এক লেখায় উল্লেখ করছিলেন এভাবে : “সপ্তাহ দুই ঢাকাতেই ছিলাম। দেখা হতেই শওকত ভাই (শওকত ওসমান) আমার হাত ধরে বলেছিলেন, গাফ্ফার, দোহাই তোমার, হাসিনার সমালোচনা করো না। দীর্ঘকাল ধরেই তো চারিদিকে তাকিয়ে দেখছি, এত জ্ঞানী-গুণী, ডান-বামের বড় বড় নেতা। মুখে হাসিনার এত নিন্দা-সমালোচনা। কিন্তু ক্রাইসিসের সময় হাসিনা ছাড়া কাউকে দেখি না।”

সুভাষ সিংহ রায় : রাজনৈতিক বিশ্লেষক; সাবেক সহ-সভাপতি- বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, প্রধান সম্পাদক- সাপ্তাহিক বাংলা বিচিত্রা ও এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম।

এই বিভাগের আরো সংবাদ