আপনজন শেখ হাসিনা
সুভাষ সিংহ রায়
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৩০ | আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২০:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
বেশ ক’দিন যাবৎ মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে অবস্থান করলেও দেশজননী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বেশ ক’টি টকশোতে অংশ গ্রহন করেছি । প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমার কয়েকটি লেখাও প্রকাশিত হয়েছে । হঠাৎ সুটকেশের ভিতরে পেলাম একটি বই । বইটির নাম ‘আপনজন শেখ হাসিনা ’ এবং বইটি কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের প্রথম সচিব (তথ্য) ড: মো: মোফাকখারুল ইকবাল সম্পাদিত বই । বইটির প্রথম লেখাটি জনপ্রিয় সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের লেখা ‘ আপনজন শেখ হাসিনা ’ । লেখার এক অংশে সমরেশ মজুমদার লিখেছেন , “ কয়েকটিএকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় গিয়েছিলাম। আমি সেখানে সচরাচর থাকি, সেই ঢাকা ক্লাবের কাছেই ছিল সম্মেলনকক্ষ। উদ্যোক্তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে সেই প্রেক্ষাগৃহের প্রথমসারির আসনে বসিয়ে দিলেন, দর্শক উপচে পড়া প্রেক্ষাগৃহে শেখ হাসিনা এসে মঞ্চে উঠলেন। মঞ্চের সমস্ত আসন মন্ত্রী, নামী প্রতিনিধিরা ভরিয়ে দিলেন। আসনে বসার আগে শেখ হাসিনা দর্শকদের যখন সালাম জানাচ্ছেন তখনই তাঁর দৃষ্টি পড়ল আমার ওপর। আসনে বসে ইশারা করলেন, যেন আমি মঞ্চে উঠে আসি। কিন্তু মঞ্চে তখন কোনো আসন খালি নেই। আমি অস্বস্তি নিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকলাম।অনুষ্ঠান শেষ হলে সবাই যখন উঠে দাঁড়িয়েছিলেন তখন একজন অফিসার এসে আমাকে অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে। আমি দ্রুত তাঁর কাছে পৌঁছালে তিনি হেসে বললেন, ‘মাঝে মাঝে শুনতে পাই আপনি ঢাকায় এসেছেন। অথচ আমার সঙ্গে দেখা করেন না। কি ব্যাপার?’আমি হাসিমুখে তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘আপনি এতদিনে একটুও বদলে যাননি।’কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে যখন মা অথবা দিদি বোন ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না তখন সেই দেশ নিজের দেশ হয়ে যায়।”
শেখ হাসিনার অনন্য সাধারণ কৃতিত্ব নিয়ে সারা পৃথিবীতে সবাই ধন্য ধন্য করছে । বৃহত্তর দেশের রাজনীতিবিদ যারপর নাই বিস্মৃত হচ্ছেন । কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রৃডো একবার শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন , আপনি এটা সম্ভব করলেন কি করে ? এই ম্যাজিকটা কি ? আমরা জানি দেশে বিদেশে যারাই তাঁকে প্রশ্ন করেছেন , শেখ হাসিনার কাছ থেকে অভিন্ন উত্তর পেয়েছেন । ম্যাজিকটা হচ্ছে দেশের মানুষের প্রতি অফুরন্ত অকৃত্রিম ভালবাসা এবং দেশপ্রেম । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন‘ দেশে জন্মানেই দেশ আপন হয় না । দেশকে আপন করে নিতে , দেশকে ভালবাসতে হয় ’ । দেশে বিদেশের অর্থনীতিবিদরা বলে থাকেন পৃথিবীর যে ক’টি দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ১ম পাঁচ দেশের একটি । তাঁর সময়ে মোট জাতীয় আয় এবং জনপ্রতি আয়ের কত বৃদ্ধি ঘটেছে, বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়, রপ্তানির আয়, দেশে খাদ্যের উৎপাদন, জাতীয় ও মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন কত বেড়েছে, বিদ্যুৎ কত বেশি ঘরে পৌঁছেছে, বিদেশের বিনিয়োগ কত এসেছে, রেমিটেন্স আয় আর কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ কত বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্যের হার কত কমেছে-সে সব তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে দুর্লভ নয়। আরও নানা অর্জন হল, সারা পৃথিবীতে পুরুষ ও নারীর অধিকারের ব্যবধানের হিসেবে বাংলাদেশের পরিমাণ কমে আসা, মাতৃত্বকালীন ছুটির পরিমাণ বাড়ানো, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আর বয়স্ক ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি। রাষ্ট্রীয় ক্ষুধাসূচকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ভারতের চেয়েও বেশি। এই সব সংবাদের বিস্তারিত ও নির্দিষ্ট পরিসংখ্যার কারও কাছেই খুব দুর্লভ নয়।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বিশ্বের অর্থনীতিবিদদের বিস্মিত করেছে এবং খুব শীঘ্রই যে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্র পরিণত হতে চলেছে এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত রাস্ট্রে পরিণত হবে । বস্তুতপক্ষে বাংলাদেশের এবং সমগ্র বাংলাভাষীদের নানা অহংকারের ভিত্তি নির্মাণে শেখ হাসিনা তাঁর প্রয়াত পিতার পরেই সবচেয়ে সফল ব্যক্তি। বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ এবং রাজাকার দমনে তাঁর ভূমিকা সারা পৃথিবী বিস্মিত হয়ে দেখেছে, শক্তিশালী রাজাকার এবং মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের ফাঁসি দিয়ে তিনি যে অসমসাহসের পরিচয় দিয়েছেন এবং এখনও দিয়ে চলেছেন, তার তুলনা বিরল। এ কাজটা তাঁর পক্ষে সহজ ছিল না, তাঁর পরিবারের জঘন্য হত্যাকান্ডের ইতিহাস পটভূমিতে আছে। তাঁর জীবনের উপর আক্রমণ হয়েছে বহুবার, এবং কিছুই তাঁর চিত্তকে দমাতে পারেনি। এই সীমাহীন সাহস ও আত্মবিশ্বাস তাঁর আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করেছে।
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক; সাবেক সহ-সভাপতি- বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, প্রধান সম্পাদক- সাপ্তাহিক বাংলা বিচিত্রা ও এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম।
শেখ হাসিনার অনন্য সাধারণ কৃতিত্ব নিয়ে সারা পৃথিবীতে সবাই ধন্য ধন্য করছে । বৃহত্তর দেশের রাজনীতিবিদ যারপর নাই বিস্মৃত হচ্ছেন । কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রৃডো একবার শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন , আপনি এটা সম্ভব করলেন কি করে ? এই ম্যাজিকটা কি ? আমরা জানি দেশে বিদেশে যারাই তাঁকে প্রশ্ন করেছেন , শেখ হাসিনার কাছ থেকে অভিন্ন উত্তর পেয়েছেন । ম্যাজিকটা হচ্ছে দেশের মানুষের প্রতি অফুরন্ত অকৃত্রিম ভালবাসা এবং দেশপ্রেম । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন‘ দেশে জন্মানেই দেশ আপন হয় না । দেশকে আপন করে নিতে , দেশকে ভালবাসতে হয় ’ । দেশে বিদেশের অর্থনীতিবিদরা বলে থাকেন পৃথিবীর যে ক’টি দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ১ম পাঁচ দেশের একটি । তাঁর সময়ে মোট জাতীয় আয় এবং জনপ্রতি আয়ের কত বৃদ্ধি ঘটেছে, বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়, রপ্তানির আয়, দেশে খাদ্যের উৎপাদন, জাতীয় ও মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন কত বেড়েছে, বিদ্যুৎ কত বেশি ঘরে পৌঁছেছে, বিদেশের বিনিয়োগ কত এসেছে, রেমিটেন্স আয় আর কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ কত বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্যের হার কত কমেছে-সে সব তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে দুর্লভ নয়। আরও নানা অর্জন হল, সারা পৃথিবীতে পুরুষ ও নারীর অধিকারের ব্যবধানের হিসেবে বাংলাদেশের পরিমাণ কমে আসা, মাতৃত্বকালীন ছুটির পরিমাণ বাড়ানো, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা আর বয়স্ক ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি। রাষ্ট্রীয় ক্ষুধাসূচকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ভারতের চেয়েও বেশি। এই সব সংবাদের বিস্তারিত ও নির্দিষ্ট পরিসংখ্যার কারও কাছেই খুব দুর্লভ নয়।
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক; সাবেক সহ-সভাপতি- বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, প্রধান সম্পাদক- সাপ্তাহিক বাংলা বিচিত্রা ও এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম।
এই বিভাগের আরো সংবাদ