আজকের শিরোনাম :

গরমে চুটিয়ে খান কালোজাম, জেনে নিন এই ফলে কী কী গুণ রয়েছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৩, ০০:৪৯

কালো রঙের ছোট ফলটির সঙ্গে আমাদের সবারই পরিচয় রয়েছে। গরমকালে কালো জাম অনেকেরই প্রিয়। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। স্বাদে কোনটি মিষ্টি আবার কোনটি টক-মিষ্টি। বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর উপকারিতার জন্য এই ফল বিশেষ সমাদৃত। কালো জাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে।

ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে বাড়তে থাকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি৷ সেই সঙ্গেই বাড়তে থাকে কিডনির সমস্যার সম্ভাবনাও৷ সুস্থ থাকতে তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি৷ ডায়াবেটিস মোকাবিলায় অব্যর্থ কালোজাম৷ তাই প্রতিদিন কালোজাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷

কালো জামে সুক্রোজ একেবারেই থাকে না৷ ফলে কালো জাম রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে৷ তবে কালোজামের শাঁসের থেকে অনেক বেশি উপকারি কালোজামের বীচি৷ কালোজামের বীজে থাকে জাম্বোলিন৷ যা স্টার্চ সুগারে পরিণত করতে সাহায্য করে৷ ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে কালোজাম। রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে তাই ডায়াবেটিকদের প্রতিদিন কালোজাম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা৷ শুধু তাই নয়৷ ছোটবেলা থেকেই যদি নিয়মিত কালোজাম খাওয়া হয় তাহলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে৷

 কালো জাম হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়েটি ফাইবারের একটি উৎস কাল জাম, এটি লিভারকে সক্রিয় করে এবং প্লীহাটি হজম ট্র্যাক্টকে সর্বোত্তম সুস্থ রাখে।

 জামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এই ফল ভিটামিন সি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া মুখের দুর্গন্ধ রোধ, দাঁত মজবুত, মাঢ়ি শক্ত এবং মাঢ়ির ক্ষয়রোধেও জামের জুড়ি নেই ।

 জাম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃৎপিণ্ড ভাল রাখে। এছাড়া শরীরের দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। জাম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

 জামে কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, যা ক্ষতিকর তো নয়ই বরং স্বাস্থ্যসম্মত। তাই যারা ওজন নিয়ে চিন্তায় আছেন এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন, তারা খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন জাম।

 কালো জাম হাড়কে শক্তিশালী করে, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজগুলির উপস্থিতি হাড় এবং দাঁতগুলিকে মজবুত করে

 জামে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট রয়েছে। ফলে ত্বকের নানা রোগের ক্ষেত্রে খুব উপকারি। যাঁদের ব্রন, ফুসকুরির সমস্যা রয়েছে, বা যাদের ত্বক খুব তৈলাক্ত, তাঁরা জাম খেলে খুব উপকার পাবেন।

 জাম মুখের ভেতর উৎপাদিত ক্যান্সারের সহায়ক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ