আজকের শিরোনাম :

ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া এড়াতে যে কাজগুলো করতে পারেন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৩৮

ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া এড়াতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা রহমান খন্দকার। পরামর্শগুলো হলো-

হেল্পলাইনগুলো জানা থাকা
ফারজানা রহমান খন্দকার বলেন, সচেতন নাগরিক হিসেবে পুলিশের হেল্পলাইনগুলো সবার জানা দরকার। তিনি বলেন ‘এই নম্বরগুলো মোবাইলে ডায়াল লিস্টে রাখা উচিত। যদি আপনার সঙ্গে কোনো ঘটনায় ঘটে যায়, তাহলে দ্রুত যাতে পুলিশকে জানাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসতে পারবে। আরও কোনো দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সেটিও থামানো সম্ভব।’

অনিরাপদ স্থান এড়িয়ে চলা
যেসব এলাকা আপনি জানেন যে অনিরাপদ সেসব পথ এড়িয়ে চলা যেতে পারে। সন্ধ্যার পর অন্ধকার রাস্তা দিয়ে না গিয়ে আলো আছে এবং মানুষের চলাচল আছে এমন রাস্তা ব্যবহার করবেন।

ফারজানা খন্দকার বলেন, ‘পরিবেশটা খেয়াল করবেন। কোনো অস্বাভাবিক কিছু নজরে পরলে বা আঁচ করতে পারলে সে রাস্তা দিয়ে না যেয়ে অন্য রাস্তা ব্যবহার করুন। যদি তাতে একটু সময় বেশি লাগে সেটা লাগুক কিন্তু জীবনের নিরাপত্তা সবার আগে।’

যেসব এলাকায় যাবে সে এলাকা সম্পর্কে জ্ঞান রাখা
আপনি যতি অপরিচিত কোনো এলাকায় যেতে চান তার আগেই ওই এলাকা সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে নিন। সেখানে আমার পরিচিত কেউ থাকলে আগে থেকেই তাকে জানান আপনার সেখানে যাওয়ার বিষয়টা। এতে করে আপনি একজনকে সঙ্গী হিসেবে পেতে পারেন। আর যদি নিরাপত্তার ইস্যু থাকে তাহলে সেটা আপনি আগেই জেনে যেতে পারছেন।

তাই কোন রাস্তায়, কোন পরিবহন ব্যবহার করবেন সেটি আপনি আগে থেকেই ঠিক করে ফেলতে পারেন।

সেলফ ডিফেন্স বা আত্মরক্ষার মূল কৌশলটা জানা উচিত
সবার সেলফ ডিফেন্স বা আত্মরক্ষার মূল কৌশলটা জানা উচিত বলে মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষকরা। অনেক দেশে স্কুল পর্যায়ে আত্মরক্ষার বিভিন্ন কৌশল শিখানো হয়।

সেটা বাংলাদেশে যদি করা হয় তাহলে এই ধরণের পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে না গিয়ে কি করতে হবে সেটা করা সম্ভব।

অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, ফলে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে হয়ত ঐ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেত কিন্তু সেটা হয়ে উঠে না।

পুলিশের সহায়তা নিতে হবে তাৎক্ষণিকভাবে
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, ছিনতাই এর ঘটনা হলেই পুলিশের কাছে রির্পোট করতে হবে। কারণ, একটা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে সেটা যদি পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা না হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর কাছে এর কোনো রেকর্ড থাকে না।

‘অনেকেই আছে মনে করেন ছিনতাই হয়ে গেছে এখন আর কী হবে কিন্তু যদি আপনার তেমন মূল্যবান কিছু না হারায় তার পরেও আপনি একজন নাগরিক হিসেবে কর্তব্য পুলিশের কাছে জানানো যে কোনো এলাকায় ঘটনা ঘটেছে। তাহলে পুলিশ সে অনুযায়ী পরে ব্যবস্থা নিতে পারে।’

তিনি বলেন, ছিনতাই প্রতিরোধে তারা সব সময় সজাগ আছেন এবং তাদের রাতের বেলা যে টহল সেটাও বাড়ানো হয়েছে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি বাংলা

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ