আজকের শিরোনাম :

কোন চুলের কোন রঙে মানাবে আপনাকে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২১, ০০:২৬

আসন্ন দুর্গাপূজায় সুন্দর করে সাজতে চাইছেন সবাই। আর তাই যেমন জোর কদমে চলছে ডায়েটিং তেমনই চলছে বাকি প্রস্তুতিও। এমন পরিস্হিতিতে রইল চুল রঙ করার প্রাথমিক কিছু টিপস।

চুলের রঙ বা চুলের কাট ব্যক্তিকে আরো সুন্দর করে তুলতে পারে বা তাদের সৌন্দর্যকে সামান্য ম্লান করে দেবে। অনেকেই চুলকে নানান ভাবে কাটিয়ে বা রঙ করিয়ে সুন্দর দেখানোর ইচ্ছা রাখেন। তবে কোন ধরনের কাট বা রঙ তাদের চেহারা ও মুখের আদলের সঙ্গে মানাবে, তা তারা বুঝে উঠতে পারেন না। তাই চুলের সাজসজ্জার আগে কিছু জিনিস মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।

চুল রঙ করার ইচ্ছা থাকলেও, অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না যে, তারা ঠিক কী চান। নিজের চুলের জন্য সঠিক রঙ নির্বাচন করা কঠিন কাজ। তবে তা সঠিক ভাবে করলে, এটি আপনার ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসকে এক ধাক্কায় বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।

হেয়ার স্টাইলিস্টদের মতে, চুলের রঙ প্রাথমিকতা দাবি করলেও, আমাদের অন্যান্য প্রাণী, পরিবেশ এবং নিজের চুলের স্বাস্থ্যের প্রতি অধিক যত্নশীল ও সচেতন হতে হবে। তাই ক্রুয়েলটি ফ্রি হেয়ার কালারের ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। এতে প্রাকৃতিক উদ্ভিজ উপাদান, যেমন আয়ুর্বেদিক হার্ভস, প্লান্ট এক্সট্র্যাক্ট থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালকালাইন কেমিক্যাল ছাড়াও, ইথ্যানোলামাইন, ডাইথানোলামাইন এবং ট্রাইথানোলামাইনের মতো উপজাত উপাদানগুলো যাতে প্রভাব বিস্তার না-করে, তা-ও লক্ষ্য রাখতে হবে। তাঁদের মতে স্থায়ী রঙের পরিবর্তে সেমি-পার্মানেন্ট বা আধা-স্থায়ী রঙ অধিক ভালো।

এই সেমি-পার্মানেন্ট রঙগুলোর যেহেতু দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব থাকে না, তাই কর্টেক্স পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও নেই। এ কারণে এতে অ্যামোনিয়া বা এর উপজাত দ্রব্যেরও প্রয়োজন পড়ে না। আবার সেমি-পার্মানেন্ট হেয়ার কালারের আর একটি সুবিধা হলো, রঙ করানোর পর ভালো না-লাগলে, তা নিয়ে চিন্তিত হতে হবে না, কারণ কয়েকবার ধোয়ার পর নিজে থেকে তা হাল্কা হয়ে যাবে।

আবার কালো চুলের ব্যক্তিরা যদি শুধু হাইলাইট করাতে চান, তা হলে হাল্কা শেড ব্যবহার করবেন না। কারণ কালো চুলে হাল্কা রঙের হাইলাইট করার আগে ব্লিচ করতে হয়, যা চুলের পক্ষে ক্ষতিকর।

আবার সাদা বা ধূসর চুল হলে কালো ডাই দিয়ে তা ঢাকা দিতে পারেন। কালো একটি প্রাকৃতিক রঙ এবং যে কোনও বর্ণের ব্যক্তির মুখে তা মানানসই। এ ছাড়াও গাঢ় বর্ণের ব্যক্তিরা ব্রাউনের নানান শেড, যেমন- গাঢ়, হাল্কা, সোনালী বা চকোলেট ব্যবহার করতে পারেন।

হেয়ার স্টাইলিস্টদের মতে, ভাইব্রেন্ট ও সজীব ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তিরা নিজের স্টাইল বহন করতে লজ্জা পাবেন না। এ ক্ষেত্রে তাদের চিন্তাভাবনা ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানাতে পারেন, এমন অনেক ভাইব্রেন্ট রঙ আছে। বার্গেন্ডি, মেহগোনি, লালচে আভাযুক্ত গাঢ় ব্লন্ড ব্যবহার করা যায়। এটি সমস্ত বর্ণের ব্যক্তির মুখে মানাবে। আবার স্টাইল ও সূক্ষ্মতার মিশ্রণ ঘটাতে ইচ্ছুক থাকলে কপার রঙ ব্যবহার করতে পারেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ