ব্যবসায়ী সাবের হত্যার প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৬

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২২

টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটের ব্যবসায়ী সাবের (৩৭) হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি মো. ইয়াছিনসহ (৩৫) ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩ এবং র‌্যাব-১৫। রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন- মো. সালমান (২৭), আব্দুল্লাহ (৪৩), সোহাগ (৩২), বাবলু (২৮) ও আব্দুল জব্বার (৩১)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিহত সাবের টেকনাফ থানার বার্মিজ মার্কেটে জুতার ব্যবসা করতেন। তার দোকানের সামনে গ্রেপ্তার প্রধান আসামি ইয়াছিনের একটি বন্ধ দোকান রয়েছে। ইয়াছিন পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেরকে ব্যবসা শুরুর পর থেকেই তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অহেতুক হয়রানি করে বেচা-বিক্রিতে ক্ষতিসাধন করতেন। সাবের মার্কেটের অন্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানান। এ কারণে ইয়াছিন ও অন্য আসামিরা সাবেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

গত ২ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে সাবের নিজ দোকানের জায়গা সংকটের কারণে ইয়াছিনের বন্ধ দোকানটির সামনে একটি জুতার বস্তাসহ কয়েক জোড়া জুতা ঝুলিয়ে রাখেন। এ নিয়ে ইয়াছিন সাবেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। সাবের এর প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, একপর‌্যায়ে গ্রেপ্তার ইয়াছিন, সালমান, আব্দুল্লাহ, সোহাগ, বাবলু, জব্বার এবং পলাতক আসামি নুর হোছন, এমরান ও কেফায়েতসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন মিলে ধারালো টিপ ছুরি, রামদা, হাতুড়ি ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাবেরকে দোকান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নৃশংস হামলা চালান।

এএসপি শামীম হোসেন আরও বলেন, গ্রেফতার ইয়াছিন তার হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে সাবেরের মাথায় আঘাত করলে সাবের মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপরও আসামিরা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে উপুর্যপরি আঘাত করতে থাকলে সাবের অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে মার্কেটের লোকজন এবং সাবেরের ভাই ঘটনাস্থলে হাজির হলে আসামিরা পালিয়ে যান।

সাবেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সাদেক বাদী হয়ে গত ১৩ এপ্রিল টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রুজু হওয়ার পরপরই আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান।

এএসপি মো. শামীম হোসেন আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। ২৯ এপ্রিল র‌্যাব-৩ এবং র‌্যাব-১৫-এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক অপর আসামিদে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ