আজকের শিরোনাম :

মাদক ব্যবসায় বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১০

কক্সবাজারে মাদক ব্যবসায় সেই জেলার আলোচিত রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে সিআইডি। কক্সবাজারের ১০ মাদক গডফাদারের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এই সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।

আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সিআইডি প্রধান জানান, ১০ মাদক মামলা মাদকের গডফাদারদের গাড়ি, বাড়ি, জমি, ব্যাংকে থাকা টাকা ক্রোক করা হয়েছে। এসব মামলা ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিআইডিই প্রথম মাদক সম্পৃক্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্তে গভীরে প্রবেশ করে মাদক ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে এবং তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংকে থাকা অর্থ ফ্রিজ করতে সক্ষম হয়েছে।

২০২১ সালে ৭৯ হাজার ৬৭৫টি, ২০২২ সালে ৮২ হাজার ৬৭২টি এবং ২০২৩ সালে ৭৬ হাজার ৪০৩টি মাদক মামলা রুজু হয়েছে। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত মামলা হয়।

প্রাথমকিভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মামলার মূল হোতা বা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা হতে অবৈধভাবে অর্জিত ব্যাংক একাউন্টে জমাকৃত অর্থ, ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ লন্ডারকৃত বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮-৪৪ কোটি টাকা।

সিআইডি ইতোমধ্যে ৩৫ মামলার মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য অনুমান ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত এক কোটি ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য অনুমান ৩৬.৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান।

মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ