আজকের শিরোনাম :

আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দের নির্দেশ হাইকোর্টের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:১৭

ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আয়োজিত বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যে বইগুলোর বিষয়ে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে ওই বইগুলো স্টলে রাখা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

বাংলা একাডেমির আপত্তি জানানো তিনটি বই হচ্ছে, মির্জা ফখরুলের মেয়ের জামাতা ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা ‘মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’, লেখক জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’ এবং লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব-এর ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) যে তিনটি বই নিয়ে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানায়, ওই বইগুলো স্টলে রাখা হবে না, এই মর্মে মুচলেকা দাখিলের জন্য আদর্শ প্রকাশনীকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বাংলা একাডেমির আপত্তি থাকা তিনটি বই আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

ওই দিন শুনানিতে হাইকোর্ট প্রশ্ন রেখে বলেন, যে তিনটি বই নিয়ে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে, ওইগুলো বাদ রেখে আদর্শ প্রকাশনীকে বইমেলায় স্টল বরাদ্দ দিলে সমস্যা কোথায়? আমরা মনে করি সমস্যা থাকার কথা না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক আদর্শ প্রকাশনীকে বইমেলায় স্টল বরাদ্ধ দেওয়ার আর্জি জানান। তিনি বলেন, যে বইয়ের বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে স্টলে সে বই রাখা হবে না। 

এ সময় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার আপত্তি জানান। 

গত ২ ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আয়োজিত বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে বই মেলায় আদর্শ প্রকাশনীর জন্য স্টল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

আদর্শ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে রিটটি করেন। 

রিট আবেদনে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশনা সংস্থাটিকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। 

রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে। 

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, শুধু একটি বইয়ের জন্য কাগজে-কলমে মেলাতে পুরো প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ সে বইটি ব্যান্ড বা ব্ল্যাক লিস্টার নয়। তাদের এমন সিদ্ধান্ত বাংলা একাডেমি আইন ২০১৩ অনুযায়ী কোনো বৈধতা নেই। একই সঙ্গে প্রতিবছর একাডেমি থেকে যে নীতিমালা করা হয়, তারও ব্যত্যয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তাদের এমন সিদ্ধান্ত সংবিধানের বাক স্বাধীনতারবিরোধী।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ