আজকের শিরোনাম :

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ-হত্যা : রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়েছিলেন রনি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:০৪

নোয়াখালী জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) নামের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার ঘটনায় একজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আসামির নাম আবদুর রহিমা রনি (২৫)। তিনি অদিতার সাবেক গৃহশিক্ষক। জেলার মুখ্য জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত গতকাল শুক্রবার আসামির বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরিবার অভিযোগ করেছে, গৃহশিক্ষকের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অদিতাকে রনি হত্যা করেন।   

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই তিনিসহ পুলিশের একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যে ওই ছাত্রীর সাবেক এক গৃহশিক্ষক রনির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে ঘরের আলমারির জিনিসপত্র তছনছ করা হয়। রনি পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করেছেন অদিতাকে। যে কক্ষে অদিতাকে হত্যা করা হয়, সেই কক্ষের টয়লেটের পানির ট্যাপ ছেড়ে দেওয়া হয়, টেলিভিশনের সাউন্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয়। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিও নেওয়া হয় অদিতাদের রান্নাঘর থেকে।

ওই কর্মকর্তা আরো জানান, প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় এক বছর আগেই রনিকে গৃহশিক্ষকের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে অদিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অদিতা ওই এলাকার প্রয়াত রিয়াজ হোসেন সরকারের  মেয়ে। অদিতা নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় অদিতার মা রাজিয়া সুলতানা ওই দিন রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা করেন। আবদুর রহিম রনি ও মো. সাঈদকে ওই মামলায় সন্দেহভাজন দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বাকি দুজনকে ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়।

রাজিয়া সুলতানা জানান, তিনি একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তাঁর স্বামী দক্ষিণ আফ্রিকায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বছর আগে মারা যান। তাঁর দুই সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। সে ঢাকায় পড়ালেখা করে। তিনি অদিতাকে নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করেন। প্রতিদিনের মতো সকাল ৮টায় বের হয়ে স্কুলে পাঠদানের পাশাপাশি প্রাইভেট পড়ান। ফলে সন্ধ্যা হয়ে যায় বাসায় ফিরতে। বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যায় ফেরেন তিনি। ফিরে এসে ঘরের মূল দরজায় তালা দেখতে পান তিনি। তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে সামনের কক্ষের আলমারিতে থাকা জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পেলেও অদিতাকে দেখেননি। কিছুক্ষণ পর ঘরের ভেতরের একটি কক্ষ লাগানো দেখতে পেয়ে খুলে ভেতরে প্রবেশ করে বিছানার ওপর অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় অদিতার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ