আজকের শিরোনাম :

চলন্ত বাসে ডাকাতি-গণধর্ষন: আরও ৪ জনের স্বীকারোক্তি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২২, ২১:১৮

কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহণের বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ১০ আসামির মধ্যে ৪ জন মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি ৬ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এই ১০ জনকে রোববার রাতে র‌্যাব গ্রেফতার করে। পরে তাদের সোমবার রাতে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার ৭ জন আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন।

টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ উত্তরের ওসি মো. হেলাল উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃতরা বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদকালে বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় বর্ণনা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন- বাসের নারী যাত্রীকে রাজা মিয়া দুইবার এবং রতন, আওয়াল, নুরনবী ও মান্নান একবার করে ধর্ষণ করেছেন।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আসলাম তালুকদার (১৯), রাসেল তালুকদার (২৫), নাইম সরকার (১৯) ও আলাউদ্দিন (২৪) আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। বিকালে তাদের টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মদ জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসানাত আসামি আসলাম তালুকদারের, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ আসামি রাসেল তালুকদারের, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল ইসলাম আসামি নাইম সরকারের এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবর রহমান আসামি মো. আলাউদ্দিনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে মাহমুদুল হাসান ওরফে মুন্না ওরফে রতন (২২), আব্দুল মান্নান (২০), বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১), মো. সোহাগ (১৯), জীবন প্রামানিক (২০) ও খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দীপুকে (২৩) গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালতের বিচারক ফারজানা হাসানাত প্রত্যেককে তিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে নারাগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসটি সিরাজগঞ্জ পৌঁছলে যাত্রীবেশী ডাকাতরা গাড়িতে উঠেন। টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর তারা অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে যাত্রীদের টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন, গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেন। এ সময় বাসের এক নারী যাত্রী গণধর্ষনের শিকার হন। পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে বুধবার মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার ভাড়াবাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য বাস চালক রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে মো. আওয়াল ও নুরনবীকে গ্রেফতার করে। শনিবার এই তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এবিএন/আব্দুর রাজ্জাক/জসিম/এআর
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ