আজকের শিরোনাম :

পুলিশের সঙ্গেও বাবুল আক্তারের প্রতারণা, দিয়েছিলেন মিথ্যা ঠিকানা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২১, ০৯:৪১

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পুলিশের সঙ্গেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।  তার বাসার যে ঠিকানা দিয়েছেন সেটি মিথ্যা।

কী কারণে মিথ্যা ঠিকানা দেওয়া হলো- এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

পিবিআই প্রধান বলেন, বাবুল হয়তো তার বর্তমান স্ত্রীকে পুলিশের মুখোমুখি করতে চাননি। তাই বাসার মিথ্যা ঠিকানা সরবাহ করেছেন। মামলার এজাহারেও মিথ্যা ঠিকানা লেখা হয়েছে। তবে এটা বাবুলের অস্থায়ী ঠিকানা। স্থায়ী ঠিকানা সঠিক থাকায় অস্থায়ী ঠিকানা মিথ্যা হলেও মামলা পরিচালনায় কোনো সমস্যা নয়।

বাবুল মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের সি- ব্লকের, ১১ নম্বর সড়কের ২২ নম্বর বাসার আট তলায় বসবাস করেন বলে দাবি করলেও সেখানে আদতে তিনি বসবাস করছিলেন না। আসলে মোহাম্মদপুরের যে বাসায় বাবুল সর্বশেষ বসবাস করছিলেন গত সোমবার থেকে সেখানে তার বর্তমান স্ত্রী ও সন্তানরা নেই। সোমবার বাসা তালাবদ্ধ করে তারা চলে গেছেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এর আগেও একাধিক দফায় মামলার বাদী হিসেবে বাবুল চট্টগ্রামে গিয়ে তার বক্তব্য দিয়েছেন। তবে সেটা দিয়েছেন যখন মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ছিল। পিবিআই’র কাছে মামলার বাদী হিসেবে বক্তব্য দিতে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো বাবুল যাওয়ার পর কেন তার পরিবারের পক্ষ থেকে মিতুর স্বজনের কাছে ফোন করা হলো। বাবুলের ঢাকায় ফেরা নিয়ে কী কারণে তার বর্তমান স্ত্রী সংশয় প্রকাশ করলেন- এর কারণ অনুসন্ধান করা হবে।

সূত্রটি আরো বলছে, এখন পর্যন্ত মিতু হত্যা মিশনে বাবুল তিন লাখ টাকা খরচ করেছেন বলে তথ্য মিলছে। তবে এই অঙ্ক আরও বেশি বলে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে। এ নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।

তবে এখন পর্যন্ত তদন্তে উঠে এসেছে- স্ত্রী হত্যার তিনদিন পর বাবুল আক্তার তার ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হকের কাছে লাভের অংশ থেকে তিন লাখ টাকা চান। সাইফুল বিকাশের মাধ্যমে ওই টাকা গাজী আল মামুনকে পাঠান। গাজী আল মামুন ওই টাকা মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ