আজকের শিরোনাম :

ফাঁকা সড়কে চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে সজাগ পুলিশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২১, ১৮:০৬

যানজটমুক্ত রাজধানীর সড়ক
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এরইমধ্যে অনেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়েছেন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পথে শত ভোগান্তির পরও বাড়ি যাচ্ছেন তারা। তবে ঢাকায় তাদের রেখে যাওয়া আমানত যাতে কোনোভাবেই চুরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছে পুলিশ। একইসঙ্গে ফাঁকা ঢাকায় যেন ছিনতাইকারীরা কোনো অপরাধ করতে না পারে সে বিষয়েও সজাগ রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। 

পুলিশ জানায়, ছুটির দিনগুলোতে যারা ঘরবাড়ি শিফট করবে তাদেরও নজরদারি করা হবে। ফাঁকা রাজধানীর সুযোগে বসতবাড়িতে প্রতি বছরই চুরির ঘটনা ঘটে। বসতবাড়ির মালামাল চুরি করে স্বাভাবিকের মতোই ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার নজিরও রয়েছে। আর তাই এবার এধরনের ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে ঈদ যাত্রায় লোকজন রাজধানী ছেড়ে চলে যাওয়ায় ঢাকার রাজপথ, পাড়া-মহল্লায়ও এখন ঈদ ছুটির আমেজ। সড়কে কমেছে গাড়ি চাপ ও মানুষের চলাচল। রাস্তাঘাট এখন প্রায় ফাঁকা বললেই চলে। দোকানগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার সময় ছিনতাই রোধে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানায়, চুরি, ছিনতাই, দস্যুতাসহ মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির অপতৎপরতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। করোনা আতঙ্কে ঢাকার রাস্তাঘাট অন্যান্য সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেকটাই ফাঁকা। একটু অসতর্কতার জন্য আপনার কষ্টে উপার্জিত অর্থ ছিনিয়ে নিতে পারে দুষ্কৃতিকারীরা। তাই সবাইকে সতর্ক হয়ে চলাফেরার অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়াও বড় অংকের অর্থ বহন ও উত্তোলনের জন্য ডিএমপির মানি এস্কর্ট সেবা নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ঈদের আগের দিন রাজধানীর শাহবাগ, মতিঝিল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি, পান্থপথ এলাকা ঘুরে সড়কে পুলিশের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। গুলশান ১ এবং ২ নম্বরের প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘ঈদের এই সময়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেও পুলিশের নানামুখী তৎপরতা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অনেকেই চলাচল করছেন। ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে যাচ্ছেন। তাদেরকে বিরত রাখতে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ। তবে আমরা বলপ্রয়োগের চেয়ে বুঝিয়ে কাজ করানোকেই বেশি গুরুত্ব দেই। করোনার বিস্তাররোধে সক্রিয়তার পাশাপাশি দেশব্যাপী সাধারণ মানুষ যেনো সরকারি নির্দেশনা মেনে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য পুলিশের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ 

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ