আজকের শিরোনাম :

‘বিমানের সক্ষমতা এমিরেটস ও কাতার এয়ারলাইন্সের পর্যায়ে’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৩৩ | আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৩, ১৬:৩৬

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিম
গত কয়েক বছর ধরে ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজিম। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটির সেবা ও ভাবমূর্তি উত্তরণের বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন একটি জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে।  সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাহরাম খান।  সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল-

প্রশ্ন : আট মাস আগে যোগদান করেছেন– বিমানে এসে কী দেখতে পেলেন?

শফিউল আজিম : বিমানে ঘাটতির চেয়ে প্রাচুর্য বেশি। এগুলোকে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাজে লাগানোই বড় চ্যালেঞ্জ। অল্প সময় কাজ করে তাই মনে হচ্ছে।

প্রশ্ন : কেমন পারছেন?

শফিউল আজিম :  বিমান ৫০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে দক্ষ জনবল আছে, কাজ করে যাচ্ছি– মূল্যায়ন করবেন আপনারা।

প্রশ্ন : নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, ক্ষমতার অপব্যবহার, যৌন হয়রানি, দুর্নীতি, লাগেজ সেবা ঠিকভাবে না পাওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

শফিউল আজিম : এগুলো সম্পদের ঘাটতির কারণে হচ্ছে না, এখানে প্রয়োজন স্মার্ট ব্যবস্থাপনা। প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যৌন হয়রানি সংক্রান্ত কিছু অভিযোগে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছি। লাগেজ সেবা এখন অনেক উন্নত হয়েছে।

প্রশ্ন : সরকারি প্রতিষ্ঠানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নজির কম, প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির আওতায় কীভাবে আনলেন?

শফিউল আজিম : প্রতিষ্ঠানের আইনিবিধি অনুযায়ী জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নিতে কখনও পিছপা হই না। কেউ অন্যায় করে পার পাবেন না।

প্রশ্ন : প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমানের শক্তির জায়গা কোনগুলো?

শফিউল আজিম : বিমানের শক্তিশালী একটি প্রকৌশল বিভাগ আছে, পাইলটদের সুনাম বিশ্বব্যাপী, ক্যাটারিং সার্ভিসে দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম বড়, ট্রেইনিং সেন্টার, নিজস্ব ৭৬ একরের বিশাল পোলট্রি ফার্ম, বড় কোনো দায় নেই।

প্রশ্ন : বিমানের দুর্বলতাগুলো কোথায়?

শফিউল আজিম : সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কিছু পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা আছে। এখানে প্রতি মুহূর্তে বড় বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। প্রাইসিং, মার্কেটিং, নতুন বাজার খোঁজাসহ নানা কাজে তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে হয়। টিমওয়ার্ক, ইতিবাচক কর্মীবাহিনী ও সঠিক সমন্বয়কারী থাকলে যে কোনো প্রতিষ্ঠানই ভালো করতে বাধ্য।

প্রশ্ন : উচ্চ পর্যায়ের চাপ কেমন?

শফিউল আজিম : বিমান আজ যতটুকু আছে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত সমর্থনের কারণেই আছে। মন্ত্রণালয় এবং পরিচালনা পর্ষদ থেকেও প্রয়োজনীয় সমর্থন পাচ্ছি।

প্রশ্ন : বিমানের সম্পদ সঠিক ব্যবহার হচ্ছে?

শফিউল আজিম : এটার উভয়মুখী ব্যাখ্যা আছে। যেমন– আমাদের অন্যান্য অনেক সক্ষমতা আছে যা দিয়ে অন্তত ৫০টি উড়োজাহাজ পরিচালনা সম্ভব। কিন্তু আমার হাতে আছে মাত্র ২০-২১টি। অন্যদিকে, আমাদের অন্তত ২৬০ জন পাইলট ও ফার্স্ট অফিসার দরকার, কিন্তু আছে মাত্র ১৬০ জন। পর্যাপ্ত পাইলট থাকলে অন্য একাধিক রুটে উড়োজাহাজ কাজে লাগিয়ে আয় বাড়ানো যেত।

প্রশ্ন : তার মানে বিমানের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক প্রথম সারির কোম্পানিগুলোর মতো?

শফিউল আজিম : ঠিক তাই, কিন্তু আমরা সেই পর্যায়ে নিজেদের সক্ষমতা দেখাতে পারছি না। এমিরেটস, সিঙ্গাপুর ও কাতার এয়ারলাইন্সের মতো সক্ষমতা বিমানের আছে।

প্রশ্ন : সামনে বিমানের ডানা আরও বাড়ছে?

শফিউল আজিম : আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা-নারিতা (জাপান) ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। চীনের গোয়াংজুতে ফ্লাইট চালু হচ্ছে ১৪ সেপ্টেম্বর। ভারতের চেন্নাইয়ে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়েও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। লন্ডন এবং টরন্টোতে ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছি।

 

সৌজন্যে : দৈনিক সমকাল।

এবিএন/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ