আজকের শিরোনাম :

‘আমরা ভেতরে ভেতরে পরাজিত হয়ে গেছি’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:০৫

আসাদ চৌধুরী
বাংলাদেশের সর্বজনবিদিত কবি আসাদ চৌধুরীর সাথে একান্ত এক আলাপচারিতায় সাহিত্যের বাইরেও দেশ-সমাজ ও রাজনীতির নানান বাস্তবতা উঠে এসেছে অত্যন্ত অকপট ভঙ্গিমায়। কবির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফয়সাল আহমেদ।  সাক্ষাৎকারটি এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম পাঠকদের জন্য নিচে তুলে ধরা হল-

আপনার আশি বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা আমাদের কাছে আনন্দের। আপনাকে জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

জীবনের আট দশক পূর্ণ হলো। দীর্ঘ এ জীবনে নিশ্চয়ই অনেক স্বপ্ন ছিল, সব স্বপ্ন কি পূর্ণ হয়েছে?

অনেক পূরণ হয়েছে।

একটা সময় কবিতা নিয়ে আপনি সারা বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছেন...

হ্যাঁ, পঁচাত্তর থেকে নব্বই পর্যন্ত একমাত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরটি ছাড়া দেশের আর কোনো শহর বাদ নেই যেখানে আমি কবিতা পড়তে যাইনি, প্রতিবাদ করিনি। এটাকে আমি কর্তব্য মনে করেছি।

আশির দশকের শেষে যখন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের চিন্তাভাবনা হচ্ছে, তখন প্রথম কয়েকটি মিটিংয়ে ছিলাম। পরবর্তীকালে আমি বিদেশে চলে যাওয়ায় থাকতে পারিনি। জাতীয় কবিতা পরিষদ যখন হয় আমি তখনো বিদেশে, কিন্তু আমি মনেপ্রাণেই তাতে অংশ নিয়েছি। এখনো আমি মনে করি আমার কবিতা—কবিতা হয় কিনা আমি জানি না, এ নিয়ে তর্ক করতে রাজি নই, কিন্তু আমি দেখেছি সে সময়ের তরুণ যারা, তারা আমার লেখা পছন্দ করেছে। এটি আমার সৌভাগ্য।

আপনার অনুসন্ধানের কথা বলছিলেন...

হ্যাঁ, এখনো আমি খুঁজছি—সেটা হলো বাঙালি মুসলমানের আত্ম-আবিষ্কারের জায়গাগুলো। পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন লোকেরা যে কারণে বাংলাদেশে যারা সংস্কৃতি চর্চা করে, তাদের ওপর যেই বিতৃষ্ণা পোষণ করে—এমনকি সরকারি দলও কখনো কখনো, বিরোধী দলও কখনো কখনো সংস্কৃতি চর্চার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের অপছন্দ করে। আমরা বড় হয়েছি রবীন্দ্রনাথের বলয়ের ভেতর দিয়ে, নজরুলের বলয়ের ভেতর দিয়ে। আমরা বড় হয়েছি হেমন্ত, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুচিত্রা মিত্রের গান ও রবীন্দ্রসংগীতের মধ্য দিয়ে, কীর্তনের মধ্য দিয়ে, বাউল গানের মধ্য দিয়ে। আমরা শরৎচন্দ্র, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর—এদের কোলেপিঠে মানুষ হয়েছি এবং যদি চলচ্চিত্রের কথা বলেন, আমরা যে বাংলা কথা বলা শিখছি, শুধু কলকাতার আকাশবাণী নয়, তার চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও বিশেষ ভূমিকা আছে। আমরা ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ি সান্যাল, চন্দ্রাবতী, কানন দেবী—এদের কোলেপিঠে মানুষ হয়েছি। কাজেই আমাদের সংস্কৃতির বলয়টা কিছুটা তো কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গকেন্দ্রিক তাতে সন্দেহ নেই। তার ফলে আমাদের সন্দেহ পোষণ করে যে, আমরা ‘ভারতের দালাল’; আবার আগে তো ভারতের দালালের সঙ্গে কমিউনিস্ট রাশিয়ার দালাল বলা হতো। আজকাল আর রাশিয়ার কথা বলে না। অবশ্য ভারতের দালালও আজকাল কম বলা হয়। ভারতের দালাল বলতে আজকাল আওয়ামী লীগকে চিহ্নিত করা হয়। বাঙালি মুসলমান সেখান থেকে বের হয়ে এসেছে। আজকে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে। আব্বাসউদ্দীন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, বুলবুল চৌধুরী এই যে আমাদের নবযাত্রা—এ নবযাত্রাকে আমি চিহ্নিত করতে চাই। তবে আমাদের এ সমাজ খুব দুর্ভাগ্যজনকভাবে অকৃতজ্ঞ সমাজ। এটা যদিও আমার মুখে বলা মানায় না। এ সমাজ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, তারপরও বলতে বাধ্য, এ কৃতী সন্তানদের আমরা ভুলে যাচ্ছি। ক্রমেই ভুলে যাচ্ছি।

এর পেছনের কারণটা কী বলে মনে করেন?

এর কারণটি হচ্ছে আমাদের আত্মসম্মানবোধের অভাব। আমরা মনে করি যে, এটা যদি ভালো না হয় তাহলে বিপরীত দিকটাকে আমরা ভালো মনে করি। ভারতের কাছে শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, নানা কারণে আমরা ঋণী। এটা ঠিক, ভারত আমাদের কাছ থেকে অনেক সুযোগ নিচ্ছে। তবুও মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদান আমাদের অপরিশোধ্য ঋণ। তবে ভারতের ওপর কোনো কারণে ক্ষুব্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গে এখানে পাকিস্তানপ্রীতি বেড়ে যায়। একাত্তরে আমরা সামরিক দিক থেকে জয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য রাজনৈতিকভাবে জয়ী হইনি এখনো। তা নয়তো বাংলাদেশে এখনো জামায়াত-আলবদরের সমর্থনে এমন একটি বিরোধী দল, পাল্টা বিরোধী দল গড়ে ওঠে কী করে? আবার এটাও আমি বলি যে, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে ক্ষমতায় গিয়ে যারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়, প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে, বেপরোয়া আচরণ করে সেটাকেও আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপ্রসূত বলব না। যেমন আমি ‘সমাজতন্ত্র’ শব্দটি গত কয়েক বছর রাজনীতিবিদদের মুখে শুনিনি।

হারিয়ে গেল শব্দটা?

শব্দটা হারিয়ে গেল! তার মানে কী? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে কী? ৩০ লাখ লোক মারা গেল, এই ৩০ লাখ লোকের অস্তিত্ব নেই, যারা মহান বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক কারণে তারা বিভিন্ন দলে চলে গেছে। এর মধ্যেও বাঙালি মুসলমানের নিজের জায়গাটা খুঁজে বের করতে হবে। আমি মনে করি সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিম, কিরণ শঙ্কর রায়, সুভাষ বসুর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসু—এরা যে যুক্ত বাংলার জন্য চেষ্টা করেছেন। এই যুক্ত বাংলার সঙ্গে আমার বাবা আরিফ চৌধুরী, এমনকি বঙ্গবন্ধুও যুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে আছে—কয়েক জায়গায় আছে ভারতের দালাল, যুক্তবঙ্গের দালাল ইত্যাদি।

আজকে আমাদের অত্যন্ত নির্মোহভাবে মানে রাখতে হবে, এথনিক্যাল পরিচয় আমাদের ভাষা। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিসত্তার ভিত্তি এটা ভুললে চলবে না। কিন্তু প্রমিত বাংলা, আমি সেদিন ইশারা করেছিলাম, প্রমিত বাংলার অবস্থা তো খুবই বাজে!

যেহেতু ভাষার কথাটা এলো—ভাষার বিকৃতিটা কিন্তু মারাত্মকভাবে হচ্ছে। যদিও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করা। এখন পর্যন্ত কিন্তু আমরা সেখানে পৌঁছতে পারিনি। এ ক্ষেত্রে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

এটা আমাদের অক্ষমতা, অযোগ্যতা। এ জন্য কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। অমুক দায়ী, তমুক দায়ী নয়, আমরা সবাই দায়ী। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে পারি—‘এ আমার এ তোমার পাপ’। আমাদের সবার পাপ এটা। ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশ উল্টো পথে চলেছিল, ভূতের মতো। রেডিও পাকিস্তানের স্টাইলে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নাম হয়ে গেল রেডিও বাংলাদেশ। পাকিস্তান জিন্দাবাদের মতো ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলা শুরু করল খন্দকার মোশতাক। সে ধারাবাহিকতা তো এখনো চলছে। কাজেই এ উল্টো পথে যাত্রাটা ঠেকানো প্রয়োজন। এখন এসবের ফলে যা হয়, যারা বিত্তবান নানা কারণে তারা ছেলেমেয়েদের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াচ্ছে। তার ফলে মেধার একটা অংশ ইংলিশ মিডিয়ামে চলে যাচ্ছে। তাদের কথাবার্তায়, বাক্যগঠনে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করছে। এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে সংবাদ ছাড়া কোথাও প্রমিত বাংলাকে অতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তবে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমাদের প্রিন্ট মিডিয়ার কাছে, তারা প্রমিত বাংলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এটি শুভলক্ষণ। আরেকটা হচ্ছে সংস্কৃতি। যখন এ সময়ে আমাদের সংস্কৃতি আরও বেশি বিকশিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু উল্টো সেটি মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে। গ্রামাঞ্চলে যাত্রা হয় না, কবিগান বন্ধ হয়ে গেছে। নাটক করতে গেলে মৌলবাদীদের অনুমতি নিয়ে করতে হয়। আজকে এই অবস্থার জন্য দায়ী কে? দায়ী সমাজ। আমি সরকারকে আঙুল দেখিয়ে বলব না এটি আওয়ামী লীগ করেছে, বিএনপি করেছে। সামগ্রিক সমাজব্যবস্থাই এর জন্য দায়ী। আসলে আমাদের আত্মসম্মানবোধ, আত্মমর্যাদাবোধের অভাবের কারণেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এ থেকে উত্তরণের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

ধৈর্য ধরতে হবে। সামগ্রিক পরিকল্পনা নিতে হবে সংস্কৃতির ব্যাপারে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় আছে, তাদের বাজেট আছে, বাজেট অনুযায়ী তারা খরচ করে। কিন্তু কেন খরচ করে? এই যে বাংলা বিপন্ন, শিক্ষাব্যবস্থায় এত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আমি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদ দিচ্ছি। কয়টা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়ায়? আপনি ইউরোপে যান, ঠিক উল্টোটা দেখবেন। এটাই হচ্ছে আমাদের আসল পরাজয়ের জায়গা। আমরা ভেতরে ভেতরে পরাজিত হয়ে গেছি। একটা অন্তর্দ্বন্দ্ব ঢুকে গেছে আমাদের ভেতরে। কোনো একটা ভালো কিছু করতে গেলেই এটা হিন্দুয়ানা, ওটা অমুকয়ানা। আবার উল্টোটা দেখা যায়—আজকাল ছেলেমেয়েদের বিয়েশাদিতে দেখছি হিন্দি সিনেমার স্টাইলে সব আয়োজন হচ্ছে। বাঙালি মুসলমানের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বাঙালি হিন্দু অনেক পুরোনো। আমরা সবাই যে আরব জাহান থেকে এসেছি, ইরান থেকে এসেছি তা তো নয়। আমরা অধিকাংশই নমশূদ্র থেকে মুসলমান হয়েছি, বৌদ্ধ থেকে হয়েছি। আমাদের গ্রামের পাশে একটা গ্রাম ছিল নাড়ুয়া। ‘নাড়ুয়া’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ন্যাড়া মাথা। সে গ্রামের সবাই ন্যাড়া মাথা ছিল। পুরো এলাকাটা ছিল বৌদ্ধ এলাকা। এখন সেসবের চিহ্নমাত্র নেই। কাজেই এগুলো আমাদের বুঝতে হবে, আরও ধৈর্য ধরতে হবে। আমার মনে হয় অধৈর্য হয়ে চেঁচামেচি করে লাভ নেই। আমি অত্যন্ত খুশি বাংলাদেশের কিছু কবি-সাহিত্যিক চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার যে বিশাল শক্তি, সেটার প্রয়োগ এবং চর্চা করার। কিন্তু কাউকে কাউকে দেখা যায় ক্রিয়াপদ থেকে শুরু করে সবখানে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত গদ্য চর্চা করছে। যেটা আমার এবং আমাদের জন্য খুব বেদনাদায়ক।

আপনার পরিবারের কথা কিছু বলুন...

আমাদের পরিবারটা পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে যে পরিস্থিতি তৈরি হলো, তার ভেতরে মূল ধারার সঙ্গে সম্পর্কিত থাকার ব্যাপারে আমাদের পরিবারের একটা ভূমিকা ছিল। আমিও তাদেরই অনুসারী। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর কথা তো বলতেই পারি ভাষার গানের স্রষ্টা হিসেবে। আমার বাবা আরিফ চৌধুরৗ পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু এক-দুই মাসের মধ্যেই তিনি যখন টের পেলেন এই পাকিস্তান সেই স্বপ্নের পাকিস্তান নয়, এটা শোষণের জায়গা, তখন থেকেই তারা প্রতিবাদী। আব্বা এমএলএ ছিলেন। কিন্তু আমরা সরকারি কোনো বাসভবন পাইনি। ঢাকায় এসে আমরা সদরঘাটে নৌকায় ছিলাম কয়েক মাস। ভাষা আন্দোলনের যে মূল চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের যে মূল চেতনা—সেটা আমারও রক্তের মধ্যে মিশে আছে। কাজেই সেখানে আমি কখনোই কোনো ক্ষেত্রে কম্প্রমাইজ করার পক্ষপাতী নই।

স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে আপনার কী মনে হয়, বাংলাদেশের স্বপ্ন কতটা পূরণ হলো?

অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, অনেক হয়নি। মানুষের মর্যাদাটা বাড়েনি। আমরা চেয়েছিলাম বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমান-খ্রিষ্টান যাই হোক না কেন, প্রত্যেকের সমান সম্মান থাকবে বা দেশকে তা দিতে হবে। উল্টো সাম্প্রদায়িকতার সুযোগ সব রাজনীতিবিদ সমানে নিয়ে চলেছেন এবং আমার কাছে যেটা সবচেয়ে ক্ষতিকর মনে হয়েছে, তা হলো বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজ—যেটা ব্রিটিশ আমলেও ছিল দুর্দান্ত, কমশিক্ষিত কিন্তু একটি সাহসী সমাজ ছিল। আজকে সে সমাজের চিহ্ন নেই। প্রায় বছর ১৫ আগে কমরেড মণি সিংহ-ফরহাদ নামের একটি বক্তৃতায় মনতাজুর রহমানের কথা মনে পড়ছে। তার বিষয় ছিল, বাঙালি মধ্যবিত্তের ক্রমবিকাশ। তিনি বলেছিলেন, মৃত সত্তার ক্রমবিকাশ হয় না। বাঙালি মধ্যবিত্ত একটি মৃত সত্তা।

এখানে তরুণদের প্রতি আপনার কোনো কথা আছে, যারা আপনাকে অনেক ভালোবাসে?

তরুণরাই তো ভরসা। এ নিয়ে কোনো বক্তৃতা দিয়ে লাভ নেই, তরুণরা হচ্ছে একমাত্র ভরসা।

ইদানীং শরীরটা খুব ভালো যাচ্ছে না বোধ হয়, সর্বশেষ কবিতা কতদিন আগে লিখেছিলেন?

এই তো সাত-আট মাস আগে।

ধন্যবাদ আসাদ ভাই। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

তোমাকেও ধন্যবাদ।

 

সৌজন্যে: দৈনিক কালবেলা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ