‘সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কারণ রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১১:০৪
পঙ্কজ ভট্টাচার্য। ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ষাটের দশকে ছাত্ররাজনীতি করার সময় প্রথম জেল খাটেন। এরপর স্বাধীন বাংলাদেশেও একাধিকবার কারাভোগ করেন। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন ত্রিদলীয় ঐক্যজোট ও পনেরো দলীয় জোট গঠনে। ছয় দশক ধরে রাজনীতির মাঠে থাকা এই প্রবীণ রাজনীতিক কথা বলেছেন সম্প্রতি দুর্গোৎসবে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং প্রশাসন, সরকারি দল ও বিরোধী দলের ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাংবাদিক সোহরাব হাসান। এবিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হল-
প্রশ্ন: এবারের দুর্গোৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনাকে কীভাবে দেখছেন?
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: আমি বলব, এটি নজিরবিহীন ঘটনা। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন দুর্গোৎসবে এভাবে সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা অতীতে ঘটেনি। এর আগে এক বৌদ্ধ তরুণের কথিত ফেসবুক পোস্ট দেওয়া নিয়ে যে রামু, উখিয়া, পটিয়ার সব বৌদ্ধমন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল; সেটাও ছিল নজিরবিহীন। পরবর্তীকালে একই কায়দায় নাসিরনগরে হামলা হলো। এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর ৩১ জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমলে ধর্মীয় উৎসবের সময় এ রকম হামলার ঘটনা ঘটেনি।
প্রশ্ন: কী কারণে এ হামলা হয়েছে বলে মনে করেন? সহিংসতা সম্পর্কে কি আপনারা কিছু আঁচ করতে পেরেছিলেন?
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: আমরা কীভাবে আঁচ করব। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দুর্গাপূজার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বললেন, এবার জঙ্গি হামলা হবে না। কিন্তু তিনি বলেননি অন্য হামলা হতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক করলে হয়তো সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের মতো প্রস্তুতি নিত। আমি মনে করি, সংখ্যালঘুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার কারণ হলো রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার। যেদিন থেকে রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিন থেকে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা এবং সম্পত্তি দখলের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। যত দিন রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার থাকবে, তত দিন জামায়াত-হেফাজত আশকারা পেতে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেটুকু অবশিষ্ট আছে, তা-ও আঘাতপ্রাপ্ত হতে থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি ছাড় দেওয়ার কারণে, বিচার না করার কারণে বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে।
প্রশ্ন: বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় আমলে সংখ্যালঘুরা আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করলেন। তাহলে কি বলবেন, সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে দুই দলের অবস্থান এক?
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: পুরোপুরি এক নয়। বিএনপি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কথা স্বীকারই করেনি। অপরাধীদের বিচার করেনি। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তোলে। কিন্তু আবার তারা যেসব কৌশল নেয়, সেগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। সাম্প্রদায়িক শক্তির একাংশের সঙ্গে আপস করে তারা ক্ষমতা স্থায়ী করতে চায়। সরকারপ্রধান সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা বললেও তার প্রশাসন সেভাবে কাজ করে না। এ কারণে আওয়ামী লীগ আমলে সংঘটিত ঘটনাগুলোরও বিচার হয়নি। গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লিতে পুলিশ আগুন দিয়েছে, যার ছবি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু তাদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। বিএনপির আমলে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণ খুঁজে বের করতে আওয়ামী লীগ সরকার শাহাবুদ্দীন কমিশন গঠন করেছিল। তারা তদন্ত রিপোর্টও সরকারের কাছে জমা দিয়েছিল। সরকার সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়নি।
প্রশ্ন: পাকিস্তান আমল থেকে দেখছি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হলে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষ এগিয়ে আসে, প্রতিবাদ করে। কিন্তু এবার সে রকম প্রতিবাদ লক্ষ করিনি। অন্তত হামলা চলার কয়েক দিন।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: এ নিষ্ক্রিয়তা অবশ্যই কাম্য নয়। তবে এর পেছনে প্রধান দুই দলের পারস্পরিক দোষারোপ অনেকাংশে দায়ী। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি স্থানীয় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সমঝোতা থাকে। চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে তারাও যোগ দেয়। ফলে সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, নাগরিক সমাজ অসহায় বোধ করে। রামুর অভিজ্ঞতা আপনাকে বলতে পারি। সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্যে বলেছেন, ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ করতে হবে। ট্রাকে করে হাজারো মানুষ এসেছে। আমি এসপিকে টেলিফোন করলাম সকাল আটটায়, তিনি ঘটনাস্থলে গেলেন বেলা একটায়। কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলেন, যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। সেই ঘটনার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছে। বিচারহীনতাই সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে আরও উসকে দিচ্ছে। নাসিরনগরের ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে পুরস্কৃত করা হয়েছিল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে। পরে সমালোচনার মুখে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: কুমিল্লার ঘটনায় কি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসন—দুই পক্ষই নিষ্ক্রিয় ছিল?
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: প্রশাসন যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়নি। কুমিল্লার এমপি আওয়ামী লীগের, সিটি মেয়র বিএনপির—দুজন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এমপির বাড়ির কাছের মাদ্রাসা থেকে ছাত্ররা মিছিল করে মন্দিরে হামলা করেছে। কিন্তু এমপি সাহেব বাধা দেননি। মেয়রকে সকাল সাতটায় হামলার খবর জানানো হলেও তিনি গেছেন ১১টায়। এই হলো জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ববোধ। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব নীরব থাকলে প্রশাসনও অভিযান চালাতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকে। আমি কুমিল্লার কয়েকজন বাম নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরাও চেষ্টা করে এমপি ও মেয়রকে মাঠে নামাতে পারেননি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, রাজনীতি ও রাজনীতিকদের প্রতি তাঁদের আস্থা নেই। তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: আমি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার পঙ্ক্তি ধার করে বলব, কেউ কথা রাখেনি। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে, তারাও সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। শর্ষের মধ্যেই ভূত আছে। বঙ্গবন্ধুর আমলেও ছিল। তবে এখন রাজনীতি ও প্রশাসন উভয়ে ভূত ঢুকে পড়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা মাঝেমধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেন না। রাজনীতিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা টাকা কামানোয় ব্যস্ত। আর ইতিমধ্যে জামায়াতে ইসলামী ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৮ সালে তারা ক্ষমতায় আসবে। আফগানিস্তানে তালেবানি শাসন তাদের অনুপ্রাণিত করে থাকতে পারে।
প্রশ্ন: তাহলে বাংলাদেশে যে লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, আমরা কি তার বিপরীতেই হাঁটছি?
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: করোনার কারণে দেশের মানুষ খুবই কঠিন অবস্থা পার করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়ছে। গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ১৯৭৪ সালেও এ রকম অবস্থা দেখেছি। মানুষ রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এটি বাম, গণতান্ত্রিক, জাতীয়তাবাদী—সব দলের জন্যই সত্য। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক ক্ষীণ হয়ে আসছে। রাজনীতিকেরা অনেক বেশি ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এটি বিশ্বাসের কারণে নয়, সুবিধা লাভের আশায়। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে বলেছিলেন, চাটার দল সব খেয়ে ফেলছে। তিনি আত্মজিজ্ঞাসা, আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধির কথা বলতেন। এখন সে কথা বলারও কেউ নেই। তারপরও বলব, আমি আশা হারাতে চাই না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন বলেছিলেন, ‘যদি কেউ কথা না কয়, ওরে ওরে ও অভাগা,/ যদি সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে সবাই করে ভয়—/ তবে পরান খুলে/ ও তুই মুখ ফুটে তোর মনের কথা একলা বলো রে।/ যদি সবাই ফিরে যায় ওরে ওরে ও অভাগা—।’ পরান খুলে মনের কথা, সাহস করে সত্য কথা বলতে হবে।
প্রশ্ন: কুমিল্লার ঘটনায় অনেকেই বিদেশি শক্তি বা গোষ্ঠীর হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় দেখলাম, এর সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই ও ভারতে সারদা ফান্ডের যোগসাজশের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আইএসআই ও সারদা ফান্ড অর্থের জোগান দিয়েছে বলা হয়েছে। আমার ধারণা, তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এসব বক্তব্য বিভ্রান্তিকর। কেননা, দেশে যারা সাম্প্রদায়িক শক্তি, তাদের বাইরে থেকে টাকা আনার প্রয়োজন হয় না। নিজেরাই অনেক সম্পদশালী। বরং এসব কথা বলে দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আড়াল করা হচ্ছে কি না, সেটাও দেখার বিষয়। বিএনপি জানে জামায়াত কী জিনিস। একাত্তরে কারা আলবদর-রাজাকার বাহিনী গঠন করে দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগও জানে হেফাজত সংগঠন কত ভয়ংকর। ২০১৩ সালে তারা তো ঢাকা শহরে দখল করে ফেলেছিল। সে সময় আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থান নিলেও পরে হেফাজতের সঙ্গে আপস করেছে। তাদের দাবি মেনে পাঠ্যবইয়ে রদবদল করা হয়েছে। আপসের রাজনীতি দেশকে এ অবস্থায় নিয়ে এসেছে।
প্রশ্ন: রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি রাজনীতি। কিন্তু সেই রাজনীতির নীতিহীনতা ও আদর্শহীনতার কোনো ভূমিকা আছে কি?
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: রাজনীতিতে নীতি ও আদর্শহীনতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রধান দুই দলই তাদের ঘোষিত নীতি-আদর্শের পথে চলছে না। মাঝেমধ্যে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার মৃদু আওয়াজ শুনি। আওয়ামী লীগের নেতারা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় স্বীকার করেন, দেশ সঠিকভাবে চলছে না। দল স্তবকে ভরে গেছে। প্রশাসনিক সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক সিন্ডিকেট দেশ চালাচ্ছে। ফলে সেখানে নীতি-আদর্শের কোনো বালাই নেই। প্রধানমন্ত্রী অনেক সময় কঠিন সত্য কথা বলেন। শুদ্ধি অভিযান চালানোর কথা বলেন। কিন্তু তাঁর প্রশাসন সেভাবে চলছে না। গণতন্ত্র ক্রমেই সংকুচিত ও সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছে। গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে, অপরাধীদের ধরে শাস্তি দিতে হবে, বিচারহীনতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কুমিল্লার ঘটনার পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মাঠে নেমেছে। তারা বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করছে। চট্টগ্রামে অর্ধদিবস হরতাল পালন করছে। গতকালও দেশব্যাপী গণ-অনশন ও গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। আমি তাদের এ কারণে অভিনন্দন জানাই যে যদি ডাক শুনে কেউ না আসে, একলাই চলতে হবে। তবে সেই সঙ্গে এ-ও মনে করি যে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মধ্যে যে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ আছে, তারাও এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। সমস্যাটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নয়, পুরো বাংলাদেশের।
প্রশ্ন: মেয়াদের মাঝামাঝি এসে বিভিন্ন মহল থেকে নতুন নির্বাচনের আওয়াজ উঠছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সরকারি দল বলছে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন হবে। বিরোধী দল বলছে আইন করতে হবে।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: মেয়াদ শেষে নির্বাচন হতে হবে, এটাই সংবিধানে বলা আছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের পদ্ধতি নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে, তা অর্থহীন। সংবিধান অনুযায়ী আইন করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত। এ ক্ষেত্রে সরকার সময় নেই বলে যে অজুহাত দেখাচ্ছে, তা–ও অসার বলে মনে করি। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও আইন বিশেষজ্ঞরা তো বলছেন না এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আইন করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন হতে হবে স্বাধীন। তাঁরা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন করবেন না। সত্যিকারভাবে জনরায়ের প্রতিফলন ঘটে, এমন নির্বাচন করবেন। মনে রাখতে হবে, গণহীন ভোট ও জনহীন নির্বাচন সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিতে পারে। এমনকি তা বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের পথে নিয়ে যেতে পারে।
-আপনাকে ধন্যবাদ
পঙ্কজ ভট্টাচার্য: আপনাকেও ধন্যবাদ।
সৌজন্যে: দৈনিক প্রথম আলো। এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
সৌজন্যে: দৈনিক প্রথম আলো। এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ