নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন : ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে উপকৃত হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার কৃষি খাত

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১৭:২৪

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতি বিশ্ববাণিজ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করলেও অস্ট্রেলিয়ার কৃষিপণ্য রপ্তানিতে সম্ভাব্য সুবিধা বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এ সুবিধা সঙ্গে সঙ্গেই মিলবে না।
কমনওয়েলথ ব্যাংকের কৃষি অর্থনীতিবিদ ডেনিস ভোজনেসেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যের ওপর চীনের নতুন ১৫ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক কার্যকর হওয়ায় দেশটি ভবিষ্যতে আরও বেশি অস্ট্রেলীয় গম, বার্লি ও জোয়ার আমদানি করতে পারে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রবণতা দেখা যাবে না। কারণ চীন বর্তমানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শস্য মজুত করে রেখেছে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও তুলনামূলক কম।
‘প্রশ্ন হলো, তারা কবে থেকে ফের কেনাকাটা শুরু করবে? এটি এখনই নাও হতে পারে, বরং বছরের শেষ দিকে হতে পারে,’ বলেন ভোজনেসেনস্কি।
২০২৪ অর্থবছরে অস্ট্রেলিয়ার কৃষিপণ্য রপ্তানির মোট মূল্য ছিল ৭১ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার (৪৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), যা দেশটির মোট পণ্য ও সেবা রপ্তানির ১০ শতাংশ। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি কৃষি খাতের জন্য একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অন্যদিকে নতুন বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
অস্ট্রেলীয় গরুর মাংস রপ্তানি বৃদ্ধি
গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ট্রেলিয়ার গরুর মাংস রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩ অর্থবছরে যেখানে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার। ভোজনেসেনস্কি বলেন, ট্রাম্পের মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলীয় গরুর মাংসের জন্য ‘শুল্কনীতির শুভসংকেত’ হতে পারে। তবে এই শুল্ক পরে শিথিল করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা বাণিজ্য চুক্তির আওতায় থাকা কৃষিপণ্যগুলো ২ আগস্ট পর্যন্ত ছাড় পায়। তিনি আরও বলেন, যদি এই শুল্ক কার্যকর থাকে, তবে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গরুর মাংসের পরিমাণ কমবে, ফলে তারা আমাদের কাছ থেকে বেশি কিনতে পারে। বাজারের জটিলতা ও অনিশ্চয়তা
তবে বাজারের বাস্তবতা সহজ নয় বলে মনে করেন রাবোব্যাংকের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক অ্যাঙ্গাস গিডলি-বেয়ার্ড। তিনি বলেন, সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ইতিবাচক মনে হলেও, সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতা ও বিভিন্ন কাটের পার্থক্যের কারণে পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হতে পারে। রেঞ্জার্স ভ্যালি ক্যাটল স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিথ হাও মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে গরুর মাংসের উচ্চ মূল্য এবং চীনে মার্কিন পণ্যের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা অস্ট্রেলীয় কোম্পানিগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কাও রয়েছে। তিনি বলেন, অনেকে ভাবছেন এটি বিক্রির জন্য সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু প্রতিটি নীতির একটি কারণ ও প্রতিক্রিয়া থাকে। যদি উচ্চ মূল্যের বাজার সংকুচিত হয়, তবে আমাদের মতো প্রিমিয়াম পণ্য উৎপাদনকারীদের জন্য এটি নেতিবাচক হতে পারে। এবিএন/আন্তর্জাতিক/আইডি/এজে
গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ট্রেলিয়ার গরুর মাংস রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৩ অর্থবছরে যেখানে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার। ভোজনেসেনস্কি বলেন, ট্রাম্পের মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলীয় গরুর মাংসের জন্য ‘শুল্কনীতির শুভসংকেত’ হতে পারে। তবে এই শুল্ক পরে শিথিল করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা বাণিজ্য চুক্তির আওতায় থাকা কৃষিপণ্যগুলো ২ আগস্ট পর্যন্ত ছাড় পায়। তিনি আরও বলেন, যদি এই শুল্ক কার্যকর থাকে, তবে মেক্সিকো ও কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গরুর মাংসের পরিমাণ কমবে, ফলে তারা আমাদের কাছ থেকে বেশি কিনতে পারে। বাজারের জটিলতা ও অনিশ্চয়তা
তবে বাজারের বাস্তবতা সহজ নয় বলে মনে করেন রাবোব্যাংকের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক অ্যাঙ্গাস গিডলি-বেয়ার্ড। তিনি বলেন, সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ইতিবাচক মনে হলেও, সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতা ও বিভিন্ন কাটের পার্থক্যের কারণে পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হতে পারে। রেঞ্জার্স ভ্যালি ক্যাটল স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিথ হাও মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে গরুর মাংসের উচ্চ মূল্য এবং চীনে মার্কিন পণ্যের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা অস্ট্রেলীয় কোম্পানিগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কাও রয়েছে। তিনি বলেন, অনেকে ভাবছেন এটি বিক্রির জন্য সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু প্রতিটি নীতির একটি কারণ ও প্রতিক্রিয়া থাকে। যদি উচ্চ মূল্যের বাজার সংকুচিত হয়, তবে আমাদের মতো প্রিমিয়াম পণ্য উৎপাদনকারীদের জন্য এটি নেতিবাচক হতে পারে। এবিএন/আন্তর্জাতিক/আইডি/এজে
এই বিভাগের আরো সংবাদ