আজকের শিরোনাম :

প্রতিরক্ষা ভেদ করে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে যে ক্ষয়ক্ষতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:১৫

ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইরানের ৯টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দুটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলের বিস্তৃত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং মিত্রশক্তিগুলোর ছোড়া গুলি ভেদ করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

ইরানের ৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে পাঁচটি ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে ইসরায়েলের একটি সি-১৩০ রসদবাহী বিমান, একটি রানওয়ে ও একটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর ইসরায়েলের নেগেভ বিমানঘাঁটিতে বাকি চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তবে এতে সেখানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে অ্যারো-৩ বিশেষত হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করার জন্য তৈরি হয়। এবারই প্রথম ইসরায়েল অ্যারো-৩ নামের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করেছে। এরপরও ইরানের নয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানাটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আর ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ