আজকের শিরোনাম :

পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন, মরিয়া মদপ্রেমীরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২১, ১৫:৩৬

কলকাতার ধর্মতলায় একটি মদের দোকানে লম্বা লাইন। ছবি: আনন্দবাজার
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রোববার শুরু হয়েছে ১৫ দিনের লকডাউন। আর তাই আগের দিন বেজায় ভিড় ছিল মদের দোকানে। লকডাউনের সময়ে নির্ভার থাকতে হুড়মুড়িয়ে মদ কিনেছেন অনেকেই।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, রাজ্যজুড়ে সুরাপ্রেমীর লাইন মাছ-মাংস, আলু-পটোলের দোকানের ভিড়কেও ছাপিয়ে গেছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, লকডাউনে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। তবে মদের দোকান খোলা থাকবে কি না, সেটি পরিষ্কার করা হয়নি।

এ কারণেই লকডাউনে মদের জোগান বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় পড়েন সুরাপ্রেমীরা। এর আগে গত বছরও লকডাউনের সময় মদের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। এবার আর তাই ঝুঁকি নিতে চাননি অনেকে। সেজন্যই শনিবার মদের দোকানে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মদ কিনতে ভিড় করা মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। প্রচণ্ড চাহিদা সামাল দিতে না পেরে কোথাও কোথাও তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। এমনকি লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ।

কলকাতা শহরের এসপ্ল্যানেড এলাকার একটি মদের দোকানের দরজা সন্ধ্যা ৭টার দিকে বন্ধ হতে দেখে ষাটোর্ধ্ব এক মদপ্রেমী আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘কে জানে আবার কবে পাওয়া যাবে!’

হাওড়ার শিবপুরে একটি মদের দোকানের সামনে স্বাস্থ্যবিধি ভুলেই জড়ো হন সুরাপ্রেমীরা। কার আগে কে দোকানের কাউন্টারে পৌঁছাবেন তা নিয়ে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে একপর্যায়ে লাঠিপেটা করে পুলিশ।

একই অবস্থা দেখা গেছে হুগলির ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, চন্দননগর, শ্রীরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মদের দোকানে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বিভিন্ন মদের দোকানেও ছিল ক্রেতার ভিড়। আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলও বাদ যায়নি।

এ ছাড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ, সাগর, রায়দিঘি, ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর, বজবজ, মহেশতলাসহ বিভিন্ন এলাকার মদের দোকানে দীর্ঘ লাইন ছিল সুরাপ্রেমীদের। এমন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা ৭টার পরেও দোকান খোলা রেখেছেন অনেক ব্যবসায়ী।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ