আজকের শিরোনাম :

সুশাসন প্রতিষ্ঠার অনুঘটক তথ্যের অবাধ প্রবাহ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৩, ১৫:৩২

প্রবাহ সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অনুঘটক হিসেবে কাজ করে তথ্যের অবাধ প্রবাহ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপনের মাধ্যমে সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কাজটি করে থাকে সংবাদককর্মীরা। উন্নত রাষ্ট্র গঠন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই গণমাধ্যমের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল গণমাধ্যম।গণমাধ্যম সমাজের দর্পণস্বরূপ।

ঠিক তেমনিভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে কোনো বিষয়ের প্রকৃত অবস্থা ফুটে ওঠে। আজ বুধবার (১৪ জুন) ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অবহিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় আলোচকরা এসব কথা বলেন। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর পিআইবি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের এবং পিআইবি’র পরিচালক (প্রশাসন) চলতি দায়িত্ব মো. জাকির হোসেন ও পিআইবি’র সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন র‌্যাপোর্টিয়ার হিসেবে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারের সঞ্চালক প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, সুশাসন এখন সারা পৃথিবীতে আকাঙ্খিত শব্দ। সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে- সেসব কাজের মধ্যে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, এনআইএস, জিআরএস, তথ্য অধিকার এবং এপিএ। সমাজের অনাচার তুলে ধরতে ও ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের উপর জোর দেন তিনি। এছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের চিন্তার দিগন্ত উন্মোচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কর্মশালার প্রধান আলোচক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রেস) মো. নজরুল ইসলাম সুশাসন নিশ্চিতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। এগুলোর মাধ্যমে একদিকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, অপরদিকে ফলাফল নির্ভর কাজ সম্ভব হয়। সমাজে প্রতিটি স্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে পিআবি’র পরিচালক (প্রশাসন) চলতি দায়িত্ব মো. জাকির হোসেন বলেন, জাতির পিতা সাংবাদিক বান্ধব ছিলেন। এমনকি প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশও দিয়েছিলেন। মো. জাকির হোসেন আরো বলেন, সুশাসনের সাথে দুর্নীতির একটা সম্পর্ক রয়েছে। সুশাসন থাকলে দুর্নীতি কমে যায়। তাই সুশাসন বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।

কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন, এটিএন নিউজের প্রধান প্রতিবেদক আরাফাত সিদ্দিকী। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার ধারা পাল্টে যাওয়া ও কর্মক্ষেত্রে সংবাদ পরিবেশনে বিভিন্ন বাঁধার কথা। অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজে দুর্নীতি কমিয়ে সুশাসনের রুদ্ধ পথ খুলে দেওয়া যায় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। দৈনিক ইত্তেফাকে কর্মরত রাবেয়া হোসেন, সমাজে দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্যাবল টিভিসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেন।তিনি বলেন,এই মাধ্যমসমূহ অনেক সময় সমাজে বিভিন্ন দুর্নীতি করতে সহায়তা করে। আলোচনায় অংশ নেন জাগো নিউজের সহ-সম্পাদক আরাফাত সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, শাসন ও সুশাসন ব্যাপারটি রাষ্ট্রের বিভিন্ন কার্যকলাপের মধ্যে অন্যতম। একজন গণমাধ্যমকর্মীর ভূমিকায় রাষ্ট্রের অনেক কিছু পরিবর্তন, সংশোধন হতে পারে। তাই সরকারের সহযোগিতামূলক প্রতিবেদন করার কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ঢাকায় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা,টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত ১৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

এবিএন/এম.এম.নাজমুল হাসান/ জাসিম/অসীম রায়