আজকের শিরোনাম :

হৃদরোগ হাসপাতালে এসি সচল, অস্ত্রোপচার শুরু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫

রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) এসি নষ্ট এবং অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যার কারণে টানা তিন দিন অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকার পর অবশেষে অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এসি ও অক্সিজেন সরবরাহ সচল হলে রাত থেকেই অস্ত্রোপচার শুরু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিচালক মীর জামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, গতকাল রাতেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে, যার ফলে আমরা অপারেশনও শুরু করেছি। এখন সবকিছুই ঠিকঠাক আছে। আমাদের সব কার্যক্রমই স্বাভাবিকভাবে চলছে। আমার হাসপাতালটি ছোটখাটো কোন হাসপাতাল নয়, ৬ লাখ স্কয়ার ফিটের একটা হাসপাতাল। প্রতিনিয়ত রোগী থাকে ১৮০০। প্রতিটি রোগীর সঙ্গে অন্তত অ্যাটেনডেন্স থাকে তিন জন। সবমিলিয়ে রোগীসহ প্রায় ৬ হাজার মানুষ আমার হাসপাতালে থাকে, এমন অবস্থায় যদি সারাক্ষণ এসি ফ্যান চলে, তাহলে কি সেগুলো বিকল না হয়ে পারে? কয়েকটা দিন যাবৎ গরমটাও তো প্রচণ্ড। পাঁচ মিনিটের জন্যও একটা ফ্যান বা এসি বন্ধ রাখা যায় না। এই অবস্থায় তো কিছু করার নেই।

এদিকে হাসপাতালের এসি নষ্ট এবং অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যার কথা শোনার পর গতকাল (২৯ এপ্রিল) হাসপাতালটিতে পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসানসহ একটি প্রতিনিধিদল। তারা তদন্ত করে দেখেন, হাসপাতালের আইসিইউ ছাড়াও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) এবং হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটের (এইচডিইউ) এসি নষ্ট। তখন তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হাসপাতালে এসি স্থাপন ও মেরামতের জন্য ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দের কথা জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে হৃদরোগ হাসপাতাল পরিচালক বলেন, গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি টিম এসেছিল, তারা এসে দেখে গেছে। আমরা আমাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি তারপর অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

হৃদরোগ ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটির আইসিইউর জন্য মোট ১২টি এসি রয়েছে। দুটি সেন্ট্রাল প্ল্যান্টের মাধ্যমে এগুলো চলে। একটি প্ল্যান্ট নষ্ট হওয়ায় ছয়টি এসি বন্ধ হয়ে যায়। আর সাতটি অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে ১, ২ ও ৭ নম্বরের এসি নষ্ট। ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওটির কার্যক্রম সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়। আর সিসিইউতে ২টি ইউনিটে ১০টি এসি আছে। তার মধ্যে তিনটি পুরোপুরি নষ্ট। সচলগুলোর মধ্যেও কয়েকটি পুরোপুরি কাজ করছে না।

এবিএন/এসএ/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ