আজকের শিরোনাম :

ঢাকায় কলেরার দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান শুরু ৩ আগস্ট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২২, ১৬:১৫

এক মাস পর ঢাকার পাঁচটি এলাকায় শুরু হচ্ছে কলেরার দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর, বি) আগামী ৩ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালাবে। বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রায় সাতশ কেন্দ্রে চলবে টিকাদান। 

আজ সোমবার বিকেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিডিডিআর, বি। 

এতে বলা হয়, গত ২৬ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, দক্ষিণখান, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের ২৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮৫ জন মানুষকে কলেরার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছিল। পূর্বের কেন্দ্রেই টিকা কার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঢাকার পাঁচটি এলাকার বাসিন্দাদের থেকে কলেরা টিকাদান কার্যক্রমে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি এবং খুব অল্প সময়ে রেকর্ড সংখ্যক অধিবাসীকে টিকা দিতে পেরেছি। আমরা আশা করব, যারা প্রথম ডোজ কলেরা টিকা নিয়েছেন তারা অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নিজেদেরকে এ রোগ থেকে সুরক্ষা করবেন।’ 

আইসিডিডিআর, বি-র সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ইনফেকশাস ডিজিজেস ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিরেক্টর ড. ফেরদৌসী কাদরী বলেন, ‘সবার প্রতি অনুরোধ কলেরা টিকা গ্রহণ করার পাশাপাশি নিজেকে ও প্রিয়জনদেরকে অন্যান্য রোগ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম, যেমন নিরাপদ পানির ব্যবহার, নিরাপদ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করবেন এবং ডায়রিয়াসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।’ 

দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর প্রয়োগ করা হবে। এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। গর্ভবতী মহিলা এবং যারা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নিয়েছে তারা ব্যতীত সকলেই এই টিকা নিতে পারবেন। এই টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্বিক সহায়তায় আইসিডিডিআর, বি কলেরার টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই কর্মসূচিতে আরও সহায়তা করছে জাতীয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও এমএসএফ। দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, গ্যাভির আর্থিক সহায়তায় এই টিকাদান উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ