আজকের শিরোনাম :

আগস্টে শিশুদের করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২২, ১৬:৫২

ফাইল ছবি
আগামী মাসে (আগস্ট) পাঁচ বছর থেকে এগারো বছরের শিশুদের করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, শিশুদের টিকা নিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। 

সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে চলমান ভ্যাকসিন কার্যক্রমসহ অন্যান্য সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, শিশুদের টিকা কার্যক্রমে কিছুটা দেরি হওয়ার কারণ হলো আমরা এখনও নিবন্ধন তালিকা পাইনি। এছাড়া আমাদের টিকা পেতেও একটু সময় লেগেছে। কিছু টিকা আমরা এরইমধ্যে পেয়েছি। এর বাইরে আরও তিন কোটি টিকা আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পাওয়ার কথা রয়েছে। 

তিনি বলেন, নিবন্ধন তালিকা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আবারও তাদের সঙ্গে বসব। নিবন্ধনের কার্যক্রমটা যদি তারা তাড়াতাড়ি করতে পারে, আমরাও তাড়াতাড়ি শুরু করে দিতে পারব। নিবন্ধন ছাড়া আমরা টিকা দিতে পারছি না। তবে আশা করছি আগামী মাসেই শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারব। 

দেশে ফের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। কারণ হলো কিছুদিন আগেই বন্যা হয়েছে, রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে এডিস মশা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে, অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী। কারণ, ঢাকায় মশার উপদ্রব বেশি। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে, দেশে ১৪৭৭ জন ডেঙ্গু রোগী আছে। এরমধ্যে শুধু ঢাকা শহরেই ১ হাজার ৩০০ জনের মতো রোগী। ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা কম। বরাবরই কম ছিল।

জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বছরের শুরু থেকেই পাচ্ছি। যদিও মৃত্যু সেভাবে হয়নি। এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। আমরা দেখছি ডেঙ্গুর পাশাপাশি ম্যালেরিয়াসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগও বাড়ছে।

করণীয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেঙ্গু যদি নির্মূল করতে হয়, কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে, চিকিৎসা দিচ্ছে, প্রচারণাও চালাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলো আছে, এলজিআরডিসহ তাদেরকেও এগিয়ে আসা দরকার। বাসাবাড়ি পরিষ্কার, ঝোপঝাড়ে নিয়মিত স্প্রে ও মশার উৎপত্তিস্থল যদি বিনষ্ট করা যায় তাহলে ডেঙ্গু কমে আসবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, স্প্রের পাশাপাশি আরও কিছু পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে। জানালায় নেট লাগানো উচিত। বাচ্চাদের জন্য একধরনের স্প্রে পাওয়া যায়, সেগুলো দিলে মশা কামড়ায় না সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অন্যান্য স্টেক হোল্ডার আছে, তাদেরও দায়িত্ব আছে। যেখানে ময়লা, পানি জমে থাকবে, যেখানে নর্দমা জমে থাকবে সেখানেই মশা জন্ম নিবে। বাড়ির পাশের জায়গাগুলো পরিষ্কার করতে হবে। সরকার সব করে দিবে এমন না। আমাদেরও দায়িত্ব আছে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক প্রমুখ।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ