পাট শাকের গুণ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২২, ১০:৪০
বাঙালির ঘরে দুপুরের খাবারের বিভিন্ন পদের মধ্যে একটি পদ প্রায় নিয়মিত নিশ্চিত। তা হলো শাক। নানা ধরনের শাকের মধ্যে একটি হলো পাট শাক। বহুল পরিচিত এই শাক অনেকেরই পছন্দের।
পাট শাকের কদর যে অনেক তা বোঝা যায় মিশরের রানি ক্লিওপেট্রার খাদ্যতালিকা থেকে। তিনি নাকি এই শাক খেতেন ত্বক ভালো রাখার জন্য। এ থেকে বোঝা যায় এই শাকের রয়েছে বহুগুণ।
দেখে নেওয়া যাক এই শাকের কিছু গুণাগুণ
পাট পাতায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। যা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষত, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পরিপাকের সমস্যা দূর হয় ও মল সুগঠিত হয়। সুবিধা হয় মলত্যাগ করতেও। ফলে দূর হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। পাট পাতায় থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাট। এই ধরনের স্নেহ পদার্থ দেহে প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পাট শাকে ‘লাইকোপিন’ নামক এক প্রকারের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা জারণ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পাট শাকের ভূমিকা অনেক। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও বটে, যা মানসিক চাপ, দূষণ ও কোষের জারণ প্রক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস করে। পাট শাকে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই ভিটামিনের জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি ত্বকের ‘এপিথেলিয়াল’ কোষ সতেজ রাখতেও ভিটামিন এ খুবই জরুরি। ‘রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম’ নিরাময়ে পাট শাকের গুরুত্ব রয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি অনবরত পা নাড়াতে থাকেন। দেহে আয়রনের অভাব এই রোগেটির অন্যতম কারণ। এ রোগ নিরাময়ে অনেকেই ঘরোয়া টোটকা হিসেবে পাট পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। পাট পাতায় প্রায় ২.৭৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। যা মানবদেহের দৈনিক আয়রনের চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। তবে যে কোনো শাক পাতা খাওয়ার সময় অ্যালার্জি সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পাট পাতা বা পাট শাকও তার ব্যতিক্রম নয়। যদি পাট পাতা খেলে শরীরে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তবে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার এবিএন/এসএ/জসিম
পাট পাতায় প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। যা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষত, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পরিপাকের সমস্যা দূর হয় ও মল সুগঠিত হয়। সুবিধা হয় মলত্যাগ করতেও। ফলে দূর হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। পাট পাতায় থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাট। এই ধরনের স্নেহ পদার্থ দেহে প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পাট শাকে ‘লাইকোপিন’ নামক এক প্রকারের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা জারণ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পাট শাকের ভূমিকা অনেক। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও বটে, যা মানসিক চাপ, দূষণ ও কোষের জারণ প্রক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস করে। পাট শাকে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই ভিটামিনের জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি ত্বকের ‘এপিথেলিয়াল’ কোষ সতেজ রাখতেও ভিটামিন এ খুবই জরুরি। ‘রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম’ নিরাময়ে পাট শাকের গুরুত্ব রয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি অনবরত পা নাড়াতে থাকেন। দেহে আয়রনের অভাব এই রোগেটির অন্যতম কারণ। এ রোগ নিরাময়ে অনেকেই ঘরোয়া টোটকা হিসেবে পাট পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। পাট পাতায় প্রায় ২.৭৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। যা মানবদেহের দৈনিক আয়রনের চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। তবে যে কোনো শাক পাতা খাওয়ার সময় অ্যালার্জি সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। পাট পাতা বা পাট শাকও তার ব্যতিক্রম নয়। যদি পাট পাতা খেলে শরীরে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তবে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার এবিএন/এসএ/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ