আজকের শিরোনাম :

২ মাসে ৩ কোটির বেশি টিকা দেওয়ার ক্যাম্পেইন শুরু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৪৩

করোনার বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিকাদানে গতি আনছে সরকার। এই ধারাবাহিকতায় আগামী দুই মাসে ৩ কোটির বেশি মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়ার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। 

আজ শনিবার রাজধানীর লালমাটিয়ায় নিজ বাসায় সরকারের টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

এরই মধ্যে আজ শনিবার নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে দুই মাসে ৩ কোটির বেশি টিকা দেওয়ার ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সারা দেশে চলবে বিশেষ এই ক্যাম্পেইন।

শামসুল হক বলেন, নতুন বছরে টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আনতে চমক হিসেবে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৮ বা তার বেশি বয়সী সবাইকে এই ক্যাম্পেইনে টিকা দেওয়া হবে। গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এই ক্যাম্পেইন করা হবে। পাশাপাশি স্বাভাবিক টিকাদান কর্মসূচি ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রমও চলমান থাকবে। 

তিনি বলেন, ‘দেশের ৪ হাজার ৬১১টি ইউনিয়নে মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৬৪৬টি কেন্দ্রে চলবে টিকাদানের কর্মযজ্ঞ। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্যাম্পেইনে কেবল প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। পরে বিশেষ ক্যাম্পেইনেই দ্বিতীয় ডোজ পাবেন এসব ব্যক্তি। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এখনো পর্যন্ত দেশে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে মোট ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬২৩ জনকে। তবে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার ৫২ জন।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কোভিশিল্ডের টিকা দিয়ে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল গণটিকার কর্মসূচি। কিন্তু ভারতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির পর বন্ধ হয়ে যায় টিকা আমদানি। এতে করে স্থবিরতা নেমে আসে টিকাদান কার্যক্রমে। তবে বিকল্প উপায়ে টিকা সংস্থানে দারুণ সাড়া পাওয়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। 

এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা বিবেচনায় টিকাদানে ভারতের পরই বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স। এসব উপায়ে কেনা, অনুদান ও বিশেষ উপহার মিলে ২০ কোটির বেশি টিকা হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ।

টিকার সরবরাহ বাড়ায় দুই দফা গণটিকায় দুই দিনে সোয়া কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। নিবন্ধন করেও এখনো কেউ কেউ এসএমএসের অপেক্ষায় থাকলে নতুন করে ক্যাম্পেইনে সেই জটিলতা কাটবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ