আজকের শিরোনাম :

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪০ জন হাসপাতালে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:১৬

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪০ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ২৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কনট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ‍সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

এতে জানানো হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগী ১৮০ জন। তাদের মধ্যে ১১৪ জন রোগীকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকি ৬৬ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪১ রোগী ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৭৬০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

এছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত দেশে মোট ১০১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। ওই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ১৭৯ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে, সেবার ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ ছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী।

ডেঙ্গু প্রকোপের এ সময়ে বাসাবাড়িতে অব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্রে পানি জমতে না দেওয়াসহ দিনে ও রাতে মশারি টানানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।

দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ প্রাণ হারান। তবে সরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১৭৯।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি নিরাপদ এবং কার্যকর ডেঙ্গু ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা এখনও চলছে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা মেনে চলা এবং প্রতিরোধমূলক প্রোটোকল মেনে চলা সর্বোত্তম উপায়। এটি মনে রাখা উচিত যে ডেঙ্গু একটি সংক্রমণ হিসেবে রয়ে গেছে, যা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্মূল করা যায়।

যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ রূপে এড়ানো যায়। দরজা, জানালার পর্দা, প্রতিষেধক, কীটনাশক সামগ্রী, কয়েলের ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের সংস্পর্শে যাতে মশা কম আসতে পারে এমন পোশাক অবশ্যই পরতে হবে।

প্রাদুর্ভাবের সময় স্প্রে হিসেবে কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে। মশা ডিম পারতে পারে এমন জায়গায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। খোলা পাত্রে পানি জমতে দিলে হবে না, এ জন্য নিয়মিত নজরদারি করতে হবে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ