আজকের শিরোনাম :

দেশে ফিরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন বলেই...

  মোনায়েম সরকার

১৭ মে ২০২৩, ১০:০০ | অনলাইন সংস্করণ

মোনায়েম সরকার
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুটি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আছে। প্রথমটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। দ্বিতীয়টি তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধু ৯ মাস পাকিস্তানি কারাগারে বন্দী জীবন কাটিয়ে স্বদেশে ফিরে এসেছিলেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। শেখ হাসিনা ফিরেছিলেন ১৯৮১ সালের ১৭ মে। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা আটক করেছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বাংলাদেশের ওপর সামরিক বাহিনী লেলিয়ে দেওয়ার পর। ওরা ভেবেছিল, বঙ্গবন্ধুকে আটক করলে, তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানোর অপচেষ্টা চালালে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে না। রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেবে বাঙালির স্বাধীন দেশের আকাক্সক্ষা। কিন্তু তা হয়নি। বাঙালি নয় মাস অসম সাহসে লড়েছে, মরছে, তারপরও স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশেই ফিরে এসেছিলেন ১০ জানুয়ারি। তাঁর এই ফিরে আসা ছিল আশা ও উদ্দীপনার। লাখো শহীদের রক্তে মুক্ত স্বদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশা নিয়ে। 

শেখ হাসিনাও ফিরেছিলেন এক নতুন পটভূমিতে। তিনি ১৯৭৫ সালে যখন স্বামীর সঙ্গে বিদেশে যান তখন তাঁর পিতা জীবিত, দেশের সরকার প্রধান। কিন্তু তিনি যখন ফিরে আসেন তখন পিতা নেই, মাতা নেই, ভাই নেই, নেই আরও কত আত্মীয়স্বজন। এক গভীর শূন্যতার মধ্যে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন নতুন এক বিরাট দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে। আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে। তাঁর এই স্বদেশ ফেরা পঁচাত্তর-পরবর্তী দেশের রাজনীতির আবহ বদলে সহায়ক ভূমিকা রেখেছিল। 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেসব মহান নেতা অসামান্য অবদান রেখেছেন আমার সৌভাগ্য হয়েছে তাদের অনেকেরই সান্নিধ্যে আসার। আমি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে কাছ থেকে দেখেছি, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে দেখেছি, দেখেছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চারনেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। নিজেকে ঋদ্ধ করেছি তাদের চিন্তা ও আদর্শ দ্বারা। ছোট্ট এই জীবনে ইন্দিরা গান্ধীসহ দেশ-বিদেশের এত এত রাজনৈতিক ব্যক্তির স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি যে, এ কথা স্মরণে এলে আমি নিজেই আবেগে আপ্লুত হই।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় দীর্ঘদিনের। আমাদের ভাই- বোনের সম্পর্ক। তিনি আমার ‘গুড সিস্টার’ আমি তার ‘ব্রাদার’। 

ছাত্রজীবনে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মূলধারার রাজনীতিতে তার আবির্ভাব বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে প্রথমে খন্দকার মোশতাক ও পরে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেন। রাজাকারদের পুনর্বাসন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ, রাজনীতিবিদদের চরিত্রহরণসহ অসংখ্য বিতর্কিত কাজ করেন জিয়া। জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের চিরতরে দায় মুক্তির জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতো কালো আইন পাস করে এবং বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে। শুধু তা-ই নয়, হত্যাকারীদের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত বানানোসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসায়। জিয়ার নির্মম মৃত্যুর পরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসেন স্বৈরাচার হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনিও আওয়ামী লীগের উপর দমন-পীড়ন চালান জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে। বাংলাদেশে আওয়ামী রাজনীতি যখন মৃত্যুর মুখে পতিত, দলীয় কোন্দলে আওয়ামী লীগ যখন দিশেহারা, সেই সময় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন।

এখানে একটি কথা বলে নেওয়া দরকার, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা যখন নির্বাচিত হন, তখন খুব সহজেই সেটা হয়েছিল বিষয়টি এমন নয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে অনেকেই আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চেয়েছেন, আমার জানা মতে প্রায় ডজন খানেক নেতাকর্মী সভাপতি পদের প্রার্থী ছিলেন। তবে পরের ইতিহাস সবারই জানা, শেখ হাসিনাই আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সর্বসম্মতভাবে, তিন দিন সম্মেলন চলার পর।

শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন অত্যন্ত বেদনবিধুর ও সংগ্রামের। রাজনীতিতে প্রবেশ করেই তিনি গৃহবন্দীর শিকার হন। রাজপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই-সংগ্রাম করেন, জেল খাটেন এবং বিরোধী দলের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে অসংখ্যবার নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে জীবন ফিরে পান। বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক নেতা তার মতো জীবনাবিনাশী ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হননি। শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশের যে দুজন নেতার সঙ্গে তুলনা করা চলে, তারা হলেন, ভারতের শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাকিস্তানের বেনজির ভূট্টো। ভারত-পাকিস্তানের এই দুই প্রয়াত নেতা এখন জীবিত থাকলে কি হতেন জানি না- তবে শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে বিশ্ব রাজনীতিতে যে অবস্থানে পৌঁছেছেন সত্যিই তা বিস্ময়কর, দেশের জন্য গর্বের।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন। আমি রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে। ১৯৭৬ সালে আমি দিল্লি যাই ১৫ আগস্ট পালন উপলক্ষে। ১৯৭৬ সালে অবশ্য লন্ডনে ১৫ আগস্ট শোকসভা হয়েছিল। কলকাতা থেকে স্থপতি মাজহারুল ইসলাম লন্ডনে গিয়েছিলেন। আনোয়ার চৌধুরী, ইসমত কাদের গামা ও আমারও লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। প্রথম দুজনের পাসপোর্ট না থাকায় এবং আমার পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও পার্টির নির্দেশে লন্ডনে যাওয়া হয়নি। দিল্লিতে ১৯৭৬ সালে শোকসভা হয়েছিল গান্ধী মেমোরিয়াল হলে। সভাপতিত্ব করেছিলেন বিপ্লবী মন্মথ নাথ গুপ্ত। ব্রিটিশ আমলে ২০ বছর তিনি জেল খেটেছেন, পরে লেখক হয়েছেন। বক্তৃতা করেছিলেন কংগ্রেসের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ভি ভি রাজু, জনতা পার্টির কৃষ্ণ কান্ত (পরে উপ-রাষ্ট্রপতি), সিপিআই-এর এন. কে. কৃষ্ণনান ও সিপিআই (এম)-এর বাসব পুন্নাইয়া, রাজ্যসভার সদস্য আর কে মিশ্র, লোকসভার সদস্য কে আর গণেশ, চন্দ্রজিৎ যাদব, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন পি এন হাকসার আর বিশ্বশান্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রমেশ চন্দ্র। শোকসভা আয়োজনে সহযোগিতা করেছিলেন শশীভূষণ এমপি। 

শোকসভা শেষে আমি এ এল খতিবের সঙ্গে শেখ হাসিনার ফ্ল্যাটে গেলাম। ‘হু কিলড মুজিব’ গ্রন্থের রচয়িতা এ এল খতিবও বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ভারতে চলে যান। তিনি সেদিন শোকসভা শেষে পান্ডারা রোডে শেখ হাসিনার ফ্ল্যাটে আমাকে নিয়ে যান। এরপর বিএসএস (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা)-এর সাবেক প্রধান জাওয়াদুল করিমসহ আমরা তিনজন বেশ কয়েকবার দেখা করতে গেছি শেখ হাসিনার সঙ্গে পান্ডারা রোডে। এ এল খতিব তখন ‘হু কিলড মুজিব’ বইটি লিখছেন। পরে সে বইয়ে ব্যবহারের জন্য বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ঘেরা বঙ্গবন্ধুর অবহেলিত কবর ও বাড়ির ছবি পাঠাই আমি। বঙ্গবন্ধুর জরাজীর্ণ তৎকালীন কবরের ছবি আমিও আমার বেশ কয়েকটি গ্রন্থে ব্যবহার করেছি।

১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকার পথে পথে যে সড়কসজ্জা ও মঞ্চসজ্জা হয়েছিল সেটার নেপথ্যেও কাজ করেছিলাম স্থপতি আলমগীর কবীর ও আমি। 
১৯৮২ সাল। একদিন শেখ হাসিনা  নিমন্ত্রণ খেতে আসবেন আমাদের বাসায়। মতিয়া চৌধুরী ও মো. ইসহাক আর তার স্ত্রীও আসবেন। এদিকে খালাম্মা বাসায় নেই। প্রতিবেশী মিনুকে বলে আমি রান্নাবান্নার ব্যবস্থা করেছি। মতিয়া চৌধুরীও সঙ্গে করে এনেছেন কয়েক পদ। মাছ-মাংস-সবজি-আচারে টেবিল ভরে উঠেছে একেবারে। শেখ হাসিনা টেবিলে বসে প্রথমে পদগুলো গুনে দেখলেন। ২২ পদ। তারপর  বললেন, ‘ভাই, কালকে খেয়েছি এক বুর্জোয়ার বাড়িতে, পদ ছিল দুটি, কাচ্চি বিরিয়ানি আর রোস্ট। আজ খাচ্ছি একজন প্রলেতারিয়েতের বাড়ি, পদ হচ্ছে ২২টা। এ রকম খেতে পারলে আমি প্রলেতারিয়েত হতে রাজি।’ আগের দিন খেয়েছিলেন তিনি তাঁর উকিল-বাপ মতিউর রহমানের বাসায়। তিনি বঙ্গবন্ধু ক্যাবিনেটের মন্ত্রী ছিলেন ।

জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার। বঙ্গবন্ধুর আমলে যেমন বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্রের ও প্রতিষ্ঠানের বৈরী চোখে ছিল এখনও তাই আছে। তবে আশার কথা এই যে, শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে বিরুদ্ধবাদী সেই শক্তিমান রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন আমেরিকা, চীন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, ওআইসি- এখন বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্য গড়তে তৎপর হয়ে উঠছে। এটা বর্তমানের বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় সুখবর।

নিন্দুকের দৃষ্টি কখনোই ভালো কিছু দেখে না। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা যে সকল দুঃসাধ্য কাজ সাধন করেছেন তা কারো পক্ষে সম্ভব হতো কিনা জানি না। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন (যেমন- জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, আনসারউল্লাহ বাংলা টিম, হিজবুত তাহরীর)-এর মূলোৎপাটন করেছেন- এগুলোকে যারা ছোট করে দেখতে চায়, তারা প্রকারান্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই অস্বীকার করতে চায়। বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও অগ্রগতির সঙ্গে একাকার হয়ে আছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, এটা যতদিন বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে না পারবে ততদিন বাংলাদেশের কোনো উন্নয়নই, কোনো পরিকল্পনাই টেকসই হবে না, আর সেইখানেই অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে হাত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার ফল এখন আমরা সর্বক্ষেত্রে পাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধুর নামে আজ ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে সমুন্নত রাখতে শেখ হাসিনাকেই ভূমিকা নিতে হবে এবং তিনি অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ বিশ্বসভায় সুনাম অর্জন করছে। অর্থনীতির ভিত্তি সবল হয়েছে। মানুষের জীবনমানেরও উন্নয়ন হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত ও কার্যকলাপ পরিহার করতে হবে। দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীদের দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং জনমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে। সজাগ থাকতে হবে দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে। আওয়ামী লীগের কাছেই বাংলাদেশ আশা করে, কেননা মানুষ দেখেছে তাদের আশা পূরণের  সামর্থ্য আওয়ামী লীগেরই আছে। 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে উচ্চতম স্থানে নিয়ে গেছেন। এখন মানুষের মনে অনেক আশা জন্ম নিচ্ছে। মানুষ বুঝতে পারছে আসলেই দেশের উন্নতি হচ্ছে। এখন সবদিক সামাল দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় সরকার ও দল পরিচালনা করতে হবে। বাংলাদেশের এখন বড় বাধা দুর্নীতি। সব সেক্টরে দুর্নীতি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে রাষ্ট্রের প্রতিটি জায়গায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। 

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন শেখ হাসিনার চোখের দিকে তাকিয়েই স্বপ্ন দেখছে। শেখ হাসিনার স্বপ্ন আর সাধারণ মানুষের স্বপ্ন মিশে একাকার হয়ে গেছে। যে অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা নিজেকে এবং বাংলাদেশকে স্থাপন করেছেন সঙ্গত কারণেই তার কাছে মানুষের প্রত্যাশা সীমাহীন। তিনি আওয়ামী নৌকার বৈঠা হাতে নিয়েছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। 

মোনায়েম সরকার: রাজনীতিক, লেখক ও মহাপরিচালক, বিএফডিআর। 

এই বিভাগের আরো সংবাদ