আজকের শিরোনাম :

লেটস টক অ্যাবাউট কোক স্টুডিওর ‘দেওড়া’ গান

  ইশরাত জাহান ঊর্মি

১২ মে ২০২৩, ১০:০৩ | অনলাইন সংস্করণ

এতো নাচ-গান মিউজিকের মধ্যেও ইসলাম পালাকারের এনার্জি আপনার চোখে বাঁধবেই। শুরুতেই যখন বলেন, ‘হাত ছাইড়া দ্যাও সোনার দেওড়ারে’, তখন তার হাত ঝাড়া দেওয়ার স্টাইলটা দেখসেন? এইরকম ব্রীড়া এইরকম ঝাঁঝ খাঁটি অভিনেতারাও দেখাতে পারবেন না। আমরা ছোটবেলায় যারা লাইভ পালাটালা শুনছি তারা ছাড়া অবশ্য এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো কেউ বুঝবে কি না সন্দেহ। আমাদের খ্বু ছোটবেলায় ছিলো বংশী দাদা। গল্প বলতে বলতে মুহূর্তে বিভিন্ন চরিত্র হয়ে যেতো। গল্প বলে কাঁদায়ে হাসায়ে একাত্ম করে ফেলতো। সেই বংশীদারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, আমাদের গল্প শোনার সরল মনও। 

কোক স্টুডিওরে ধন্যবাদ ইসলাম পালাকাররে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। হি ডিজার্ভ ইট। অনেকদিন পরে একটা গান শুনে ঠোঁটের আগায় সুর আর শরীরে নাচ। লা মেরিডিয়ান এ নিউজ কাভার করতে গিয়ে পর্যন্ত গায়া ফেলসি। মাটির সুর এমনই। এই ইসলাম পালাকারদের বাংলাদেশ ক্রমশই ক্ষীনতর, তবু কিছু তো দ্যাখানো গেল নতুন প্রজন্মরে, রিচ কস্টলি অতীত সংস্কৃতি। জঘন্য ছিলো প্রীতমের অংশটুকু। বিসদৃশ। ইসলাম পালাকার বা ফজলু মাঝির গলার যে দরাজ ব্যাপার সেই সঙ্গে প্রীতমের চেপে চেপে গাওয়াটুকু বাজে লাগছে। 

মেয়েদের গাওয়াটুকু মজার ছিলো। ‘ভাবী আমার পরিয়াছে লাল রঙের শাড়ি, দুইহাতে পরিয়াছে রেশমী কাঁচের চুড়ি, খোঁপাতে বাবলা গাছের ফুল, কানে ঝুলিতেছে ঝুমকা নামের দুল’। পুরা একটা গ্রামবাংলা। কাঁচের চুড়ি, বাবলা ফুল আর ঝুমকা নামের দুল। আহা। তবে গানের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা লাগছে, ঠাস করে শেষ হয়ে যাওয়া। আরেকটু যদি শোনা যেতো। অনেকদিন পরে একটা গান প্রাণভরে পান করলাম আমি। ধন্যবাদ। 

লেখক: সাংবাদিক। 
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

এই বিভাগের আরো সংবাদ