আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের চ্যালেঞ্জ

  ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

৩১ অক্টোবর ২০২২, ১১:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের মতো যেকোনো উন্নয়নশীল দেশের জন্যই অর্থের প্রয়োজন হয়। ট্যাক্স, নন-ট্যাক্স, রেভিনিউ, ফি এবং আমাদের নিজস্ব অর্থের অন্যান্য যে উৎস আছে—যেটাকে আমরা ডমেস্টিক সোর্স বা স্থানীয় সম্পদ বলি; সেটা কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আমাদের আরেকটা উৎস আছে। বাংলাদেশের মানুষ সঞ্চয় করে, ব্যাংকে অর্থ রাখে অথবা ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে; সরকার এই অর্থটা ব্যয় করতে পারে।

তৃতীয়ত, আরেকটা হলো সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়। বাংলাদেশের ব্যাংকের মাধ্যমে টেজ্রারি বন্ড দিয়ে। চতুর্থত, সরকার সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও ঋণ নিয়ে থাকে। এবং সেটার মাধ্যমে আমাদের অর্থের যে ঘাটতি, সেটা পূরণ করে।     

অতএব বাজেটে যে ঘাটতি থাকে আমাদের; রাজস্ব আয়-ব্যয়ের, সেই ঘাটতিটা কিন্তু আমাদের মোটামুটি জিডিপির ৫ শতাংশের বেশি নয়। ঘাটতিটা পূরণের জন্য আরেকটি উৎস হচ্ছে, আমাদের বৈদেশিক ঋণ নেওয়া। এটা সব দেশই নিয়ে থাকে, আমরাও নিয়ে থাকি। বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ড ভালো। আমরা বৈদেশিক ঋণ যেটা নিই, সেটা কিন্তু কোনো দিন ডিফল্ট হয়নি।

কভিড-১৯-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ দ্বিমুখী। একটা হলো বহির্বিশ্ব সম্পর্কিত, আরেকটা হলো অভ্যন্তরীণ। এই পরিপ্রেক্ষিতে কিন্তু আমাদের অর্থের প্রয়োজন। বিশেষ করে মেগাপ্রকল্পগুলোতে। পদ্মা সেতু শেষ হয়ে গেছে, অন্যগুলো এখনো বাকি আছে। সেগুলো ছাড়াও যে অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় আমদানিতে আমাদের প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হবে।

তিনটি চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে চলে আসছে, একটি হলো মূল্যস্ফীতি। আমাদের টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এটাও কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জ। আমদানি বেশি, রপ্তানি কম। আবার রেমিট্যান্সও একটু কমে গেছে। তৃতীয়ত, আমাদের টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ায় ইমপোর্টের ভ্যালু অনেক বেড়ে গেছে। পণ্যসেবাও আমরা ইমপোর্ট করি। আমাদের ওপর একটা চাপ পড়ে গেছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে এখন ভবিষ্যতে আমরা যে ঋণ নেব, সে ব্যাপারে কিন্তু যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রথমত, বাইরে থেকে যে ঋণটা নেব, সেটার প্রয়োজনীয়তা এবং কী কাজে ব্যয় করব তা সবচেয়ে বড় বিবেচনার বিষয়। বাইরে থেকে আমরা যে ঋণ পাব, সেটা কোনো একটা নির্দিষ্ট সংস্থা বা নির্দিষ্ট দেশ, অনেক সময় বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ঋণ দেয়, তাদের কথামতোই যে ঋণ নেব, সেটা নয়; আমাদের প্রয়োজন দেখতে হবে। আমাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হবে।

দ্বিতীয়ত, আমাদের যে কাজে এগুলো ব্যবহার করব, এটা আইডেন্টিফাই করতে হবে। এবং সুষ্ঠুভাবে সময়মতো এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। দেখা যায় যে পাঁচ বছরের প্রজেক্ট ১০ বছর বা ১৫ বছর লাগে, তারপর তার খরচের হিসাবও ঠিক হয় না। তারপর সেখানে দুর্নীতি থাকে।

তৃতীয়ত, আমরা যে প্রজেক্টটা করব, তার সুফলটা পাচ্ছি কি না, সুফলটা জনসাধারণের কাছে যাচ্ছে কি না, সেটা দেখতে হবে। ধরুন, একটা ব্রিজ করলাম—পদ্মা সেতু। এটা করা হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য, কিন্তু সার্বিকভাবে পুরো বাংলাদেশের মানুষ উপকার পাচ্ছে। সুতরাং প্রজেক্টগুলোতে সর্বজনীনতা থাকতে হবে। সব প্রজেক্টে হয়তো বিরাট একটা ইমপ্যাক্ট হবে না, কিন্তু কমবেশি বিশেষ করে যারা অবহেলিত, বঞ্চিত, ক্ষুদ্র আয়ের মানুষ, তারা যেন উপকৃত হয়—এই তিনটি জিনিস লক্ষ রেখে আমাদের ঋণটা নিতে হবে।

বাংলাদেশে এখন সব মিলিয়ে সরকারি ঋণ যেটা আছে, সেটা জিডিপির ৪০ শতাংশ। এটা বিভিন্ন দেশে ১০০ পার্সেন্টের বেশি আছে। আমেরিকায় আরো বেশি। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের ঋণ জিডিপির ৫০ শতাংশের বেশি। ইংল্যান্ড আরো বেশি, ১১৫ শতাংশ।

বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ১২.৫ শতাংশের মতো। বৈদেশিক ঋণটা তো আমাদের সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করতে হবে। যেমন—ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কেউ যদি ব্যবহার না করে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে তখন ঋণ পরিশোধ করতে পারে না। সেটা যেন আমাদের না হয়। আপাতত আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড ভালো, কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

আমাদের বৈদেশিক ঋণ এখনো মাত্রাতিরিক্ত হয়নি। এখানে সুযোগ আছে। আমরা কী ধরনের ঋণ আনব, সেটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। জুন শেষে আমাদের বিদেশের ঋণের পরিমাণ কিন্তু প্রায় ছয় হাজার ৯০০ কোটি ডলারের মতো। খুব কম কিছু নয়। এবার আমাদের বাজেটে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের জন্য রাখা হয়েছে। সুদ বাবদ রাখা হয়েছে সাত হাজার কোটি টাকা। অতএব বাজেটের বড় একটা অংশ বাইরে চলে গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক ঋণটা আমাদের সিলেকটিভ ওয়েতে নিতে হবে। আমরা ঋণ নেব কোন খাতে? এটার সহজ শর্ত থাকবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বেশি থাকবে। ঋণটা যথাযথভাবে আমরা ব্যবহার করব। দাতা সংস্থা বা দেশ যেন কঠিন কোনো শর্ত বা অযৌক্তিক কোনো শর্ত না দেয়।

ইদানীং আমরা দেখছি, আমাদের দ্বিপক্ষীয় ঋণ বেশি হয়ে গেছে। রাশিয়া সবচেয়ে বেশি দিয়েছে, তারপর চীন, তারপর ভারত। এই দ্বিপক্ষীয় ঋণগুলোর একটা অসুবিধা হলো, দেশগুলো একেকটা শর্ত দেয়, জিনিসপত্র তাদের থেকে কিনতে হবে। তাদের বিশেষজ্ঞ আনতে হবে। অনেকটা তাদের মর্জিমাফিক কাজ করতে হবে। তারা কখন টাকা রিলিজ করবে সেটার ওপর নির্ভর করে। আমরা দেখি যে ভারতের লাইন অব ক্রেডিটে অনেক টাকা আছে, কিন্তু রিলিজ হয়েছে অনেক কম। চীন হয়তো কিছুটা করেছে, সম্পূর্ণ যে করেছে তাও নয়। রাশিয়া অবশ্য করেছে রূপপুর প্রকল্পে। এটা তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছে। তারা দ্রুত সম্পন্ন করেছে। পদ্মা সেতুতে যেহেতু আমাদের নিজস্ব সম্পদ ছিল বেশি, এ জন্য এটা তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা হয়েছে। রেলপথটা এখনো বাকি আছে।

আমি মনে করি, দ্বিপক্ষীয় এবং সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট যেন কম হয়। যেটাকে আমরা হার্ড টার্ম লোন বলি। এগুলোর মেয়াদও কম থাকে। যেমন—আমাদের কিছু ঋণ পরিশোধ ২০২৪ সাল থেকে শুরু হবে। ২৫-২৬ তো আরো বেশি। বহুজাতিক সংস্থার ঋণগুলো প্রায় ২০ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। দুই থেকে তিন বছর গ্রেস পিরিয়ড থাকে। সুদের হার দেড় থেকে দুই পার্সেন্টের বেশি নয়। কিন্তু ওই দ্বিপক্ষীয় ঋণ যেটা, সেটার সুদ আগে কম ছিল, এখন সেটা বেড়ে যাচ্ছে। আগে আমরা লাইবর বলতাম, এখন আমরা এসওএফআর বলি—সিকিউরড ওভারনাইট ফিন্যান্সিং রেট। এটা প্রায় এখন ২ থেকে ৩ শতাংশের মতো হয়ে গেছে। এটার ওপর আবার আমাদের রিস্ক প্রিমিয়াম লাগে। প্রায় ৪-৫ শতাংশ চলে গেছে সুদের হার। এই সুদে কোটি কোটি আনা; এটা কিন্তু খুব একটা যুক্তিসংগত নয়। রিপেমেন্ট পিরিয়ডও কম। কিন্তু যারা বহুজাতিক সংস্থা (আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি) সেগুলোর সুদের হার কিন্তু অনেকাংশে কম হয়। অতএব এ জন্য আমরা যে ঋণগুলো এখন নিতে যাব সে ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট সাবধান হতে হবে।

বর্তমানে আমরা দেখছি, আইএমএফের লোন আসবে চার হাজার ৫০০ কোটি ডলারের মতো। এটা তিনটা বড় কাজে আসবে। একটা হলো ব্যালান্স অব পেমেন্ট সহায়তা। আরেকটা হলো বাজেট খাতে সহায়তার জন্য। তৃতীয়ত, টেকসই উন্নয়নের জন্য। আইএমএফ এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কতগুলো শর্ত দিয়েছে। মোটা দাগে শর্তগুলো ঠিক আছে বলে আমি মনে করি। যেমন—করাপশন কমাতে হবে, সম্পদের অপব্যবহার কমাতে হবে, সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে ও গভর্ন্যান্স নীতি ঠিক করতে হবে, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা আনতে হবে ইত্যাদি। আইএমএফ বলুক আর না-ই বলুক, এই জিনিসগুলো আমাদের এমনি করা দরকার। আইএমএফ হয়তো আরো খুঁটিনাটি শর্ত দেবে। তারা হয়তো বলবে, সুদের হার ফিক্সড কেন? ফরেন এক্সচেঞ্জ হার নির্দিষ্ট করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইন্টারফেয়ার করবে না। এসব খুঁটিনাটি জিনিস নিয়ে হয়তো আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আরেকটি জিনিস, আমাদের ইমিডিয়েটলি কিন্তু আইএমএফের ঋণটা আসা মানে ভালো যে অন্যরা তখন; বিশ্বব্যাংক, এডিবি, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকও আসবে। আর এদিকে দ্বিপক্ষীয় সংস্থা ও অন্যান্য দেশ হয়তো আসবে।   

আমাদের এখন সময় আসছে; উন্নয়ন বলতে শুধু গ্রোথ অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি বোঝাব—সেটা নয়, সেটার বাইরে আমাদের শিক্ষা খাতে, স্বাস্থ্য খাতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যথেষ্ট উন্নয়ন করতে হবে। কিন্তু এখানে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। যেটা আমরা দিন দিন টের পাচ্ছি; আয়ের বৈষম্য, সম্পদ বণ্টনের বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। এটা থাকলে কিন্তু আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া মুশকিল। এটা কিন্তু বহুজাতিক সংস্থা, বাইরের অন্য দেশগুলোও লক্ষ করছে। আমাদের নিজস্ব তাগিদে কিন্তু এগুলো ঠিক করতে হবে। তাহলে ওই জিনিসগুলো; সফট সেক্টর যেটা আমরা বলি, সেগুলোর যদি আমরা উন্নয়ন না করি, তাহলে আমাদের উন্নয়ন সমতাভিত্তিক হবে না। মানবসম্পদ উন্নয়নে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে। মানবসম্পদ যদি উন্নয়ন না করি, তবে বিদেশে কর্মসংস্থান, দেশের শিল্পের দক্ষতা কিন্তু আমরা বাড়াতে পারব না। এখন বৈদেশিক বাণিজ্যেও আমার প্রতিযোগিতামূলক স্থানের অবনতি হবে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় জিনিস হলো, আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা কিন্তু অত্যন্ত বেশি। আমাদের ক্ষেত্রে রেগুলেটরি বডিজ যেগুলো আছে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক হোক, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন হোক, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন হোক, কম্পিটিশন কমিশন হোক; তাদের কার্যকলাপ, তাদের কর্মদক্ষতা, কর্মতৎপরতা আরো বাড়াতে হবে। আর সমন্বিতভাবে তেমন কোনো কাজ হয় না। সবাইকে সম্মিলিতভাবে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। ইমপোর্ট আসছে, ওভার ইনভয়েসিং হচ্ছে, আন্ডার ইনভয়েসিং হচ্ছে, টাকা পাচার হচ্ছে, করাপশন হচ্ছে, বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে হোল সেলার, রিটেইলাররা মজুদ করছে। এখন চিনি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। এগুলো কি শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক এবং গুটিকয় সরকারি সংস্থার কাজ? সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

সর্বশেষ কথা হলো, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ। যারা অন্যায় করবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃশ্যমান শাস্তির বিধান করতে হবে। কোথায় এবং কিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা জনগণকে জানাতে হবে। এগুলো করলে কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারব। সরকারের যে আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং বাইরের থেকে যে টাকা নিই, এমনকি দেশের যে সঞ্চয় আমরা আহরণ করি, সেটার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের ব্যবস্থাপনা যদি ঠিক হয়, তখন প্রাইভেট সেক্টর ওই ডিসিপ্লিন ফলো করবে। সবচেয়ে প্রয়োজন হলো সরকারের পাবলিক পলিসি। সেটা কিন্তু বাজার, বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, মানুষের ব্যক্তিগত জীবন; সব কিছুর ওপর প্রভাব ফেলে। ওটা আগে ঠিক করলে বাকিগুলো একদম ঠিক হয়ে যাবে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সুশাসনের মাধ্যমেই আমাদের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা দ্রুত সম্ভব হবে।

লেখক : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
অনুলিখন : রায়হান রাশেদ।

সৌজন্যে : দৈনিক কালের কণ্ঠ।

এই বিভাগের আরো সংবাদ