আজকের শিরোনাম :

ক্ষমতা লিপ্সাই উদ্বিগ্ন সমাজের মূখ্য বিষয়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৫১ | আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ২০:০৭

অনেক আগে একটা কৌতুক শুনেছিলাম। মামা বলছে, ভাগ্নে ফেল করেও তুই খুশি কেন? উত্তরে ভাগ্নে বলছে, পাশের বাসায় ইসরাতও ফেল করেছে তাই। মানে জানতে চাইলে ভাগ্নে বললো, ওর বাবা বলেছিল, ও ফেল করলে ওকে রিকশাওয়ালার সঙ্গে বিয়ে দেবে। আর বাবা বলেছে, ফেল করলে আমাকে রিকশা কিনে দেবে।

আমার ধারণা বাংলাদেশের সরকার বিরোধী দল গুলোর এই ছেলেটার মতো অবস্থা হয়েছে। রাষ্ট্র ধ্বংস করে হলেও তারা সরকার উৎখাত করতে চায়। বিএনপির শেষ সময় ২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩.৪৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ সাড়ে তিন বিলিয়নেরও কম।

শেখ হাসিনার সরকার সেটি ৪৪ বিলিয়নে উন্নীত করেছেন। এবং এখন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে, দেশে নানা ধরনের ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের কারণে এবং রিজার্ভ থেকে টাকা নিয়ে বিশেষ তহবিল গঠনের কারণে সেটি ৩৭ বিলিয়নে গেছে। এরপরও বিএনপির সময়ের তুলনায় ১২ গুণ বেশি।

তারপরও তারা রিজার্ভ নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। অবশ্য উদ্বিগ্ন এই সমাজের রিজার্ভ বাড়লেও সমস্যা। যখন রিজার্ভ বাড়তির দিকে ছিলো তখন তারা বলতো, রেমিট্যান্স বাড়লে মানে হলো দেশের অর্থনীতিতে নতুন টাকা ঢুকেছে। সেটার জন্য অনেক সময় মূল্যস্ফীতি হয়।কারণ যাদের কাছে নতুন টাকা এসেছে, তারা সেই টাকার খরচ করেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে। তারা এও বলতো, দীর্ঘমেয়াদে রিজার্ভ থেকে গেলে অন্যান্য কাজে লাগানো না গেলে, তখন বুঝতে হবে আমদানি কমে গেছে, অর্থাৎ মানুষের ভোগের পরিমাণ কমে গেছে।

তার মানে আমদানির প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। বিশেষ করে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামালের আমদানি কমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জমে থাকা মানে আমদানির প্রবৃদ্ধি কম থাকা মানে অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি আশানুরূপ হচ্ছে না।

শ্রীলংকার পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশেও এরকম হবে বলে যারা আশায় বুক বেঁধে বসে আছেন, তাদের জন্য ভয়াবহ দুঃসংবাদ হলো বাংলাদেশে অদূর কিংবা সুদূর ভবিষ্যতেও এরকম পরিস্থিতি দেখার কোনো সম্ভাবনা নেই।দেশে কৃষিখাতে বিস্ময়কর সাফল্য রয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। দেশের অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক শ্রম রপ্তানি, তৈরি পোশাক এবং কৃষি ও কৃষিপণ্য রপ্তানি খাতে নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা যোগ হচ্ছে।

আল্লাহর রহমতে অর্থনীতির সব সূচকেই বাংলাদেশ খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। আজ দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি নিজেরাই চাচ্ছে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। দেশকে সংকটে ফেলে তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। ক্ষমতা লিপ্সাই তাদের প্রধান ও মুখ্য বিষয়। এই জাতীয় দলকে বিরোধীদল বিবেচনা করা প্রকৃতপক্ষে দেশ ও জনগণের জন্যই ক্ষতিকারক।

লেখকঃ সরদার মাহমুদ হাসান রুবেল, সদস্য, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,সাধারণ সম্পাদক ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও টিম সদস্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

 

 

এবিএন/অসীম রায়/জসিম/ শেখ ইমরান 

এই বিভাগের আরো সংবাদ