আজকের শিরোনাম :

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে

  আবদুল মান্নান

১৪ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছুদিন ধরে দেশে ছিলেন না। গত মাসের ৩০ তারিখ জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে। গ্লাসগোর পর শেখ হাসিনা লন্ডন ও প্যারিস সফর শেষে তিনি দেশে ফিরেছেন আজ রবিবার। প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে দেশে ডিজেল আর কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল। সম্প্রতি আগের কোনো ঘোষণা ছাড়াই বিপিসি ডিজেল লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করে। তেলের মূল্য প্রায় কোনো দেশেই আগাম নোটিশ দিয়ে বৃদ্ধি করা হয় না। কারণ তাতে পেট্রলপাম্পসহ যাদের তেল ধারণের সক্ষমতা আছে, তারা আগাম কয়েক লাখ লিটার তেল বা তরল জ্বালানি মজুদ করে ফাও মুনাফা করতে পারে, যা গ্যাস বা বিদ্যুতের বেলায় সম্ভব নয়। গ্যাস বা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির আগে জনগণের সঙ্গে আলোচনা করা হয়, যাকে বলে পাবলিক হিয়ারিং।

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশে ট্রাক ও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সিএনজিচালিত ত্রিহুইলার ভাড়া বাড়িয়ে দেয় দুই থেকে তিন গুণ। মালিকদের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তাঁদের সোজাসাপ্টা উত্তর—‘আমরা কোনো ধর্মঘট করিনি, বাস চালাচ্ছি না।’ আইন অনুযায়ী ধর্মঘট করতে হলে কমপক্ষে ১৫ দিনের নোটিশ দিতে হয়। এটি অনুধাবন করতে হবে পরিবহন সেক্টরটি চিকিৎসা সেক্টরের মতো একটি সেবামূলক সেক্টর। এটি কোনো তৈরি পোশাকের কারখানা বা সেক্টর নয় যে চাইলেই বন্ধ করে দেওয়া যাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পরিবহন সেক্টর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবহন সেক্টরের সেবা যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একটি দেশ অচল হয়ে পড়ে। সত্তরের দশকে চিলির ঘটনা নিশ্চয় অনেক পাঠকের মনে আছে। সেই দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলো মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দে। যুক্তরাষ্ট্রের দোরগোড়ায় মার্ক্সবাদী বামপন্থী সরকার। তা মানবে কেন যুক্তরাষ্ট্র? পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঘোষিত অপকর্ম ছিল অন্য দেশের রাজনীতিতে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করা। কোনো একটি দেশের সরকার তাদের পছন্দ না হলে যেকোনোভাবে তাকে উত্খাত করতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তারা প্রথমে এই কাজটি সফলতার সঙ্গে করেছে ইরানে। চেষ্টা করেছিল কিউবায়। সফল হয়নি। তারপর ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, হাইতি, সাইপ্রাসসহ আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অনেক দেশে তারা এই অপকর্মটি নিয়মিত বিরতি দিয়ে করেছে। একটি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারকে উত্খাত করে তাদের একটি তাঁবেদার সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করা হয়ে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কাজ। যাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ উদ্ধার হবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বন্ধ করার জন্য সে সময় যুক্তরাষ্ট্র করেনি এমন কোনো অপকর্ম নেই। সবচেয়ে জনবিরোধী যে কাজটি তারা করেছে তা হলো দেশে দেশে স্বৈরশাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। ইরানে রেজা শাহ পাহলভি, পাকিস্তানে আইয়ুব খান, ইন্দোনেশিয়ায় জেনারেল সুহার্তো, চিলিতে জেনারেল পিনোচেট তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে চিলির সালভাদর আলেন্দের উত্খাতের ঘটনাটি ছিল অভিনব ও ন্যক্কারজনক। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ চিলির পরিবহন সেক্টরে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের শ্রমিকদের পেছনে কয়েক লাখ ডলার ঘুষ হিসেবে খরচ করে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রখ্যাত সাংবাদিক সেইমুর হার্স ১৯৭৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তাঁর পত্রিকায় এই তথ্য প্রকাশ করেন যে সিআইএ চিলির আড়াই লাখ পরিবহন শ্রমিকসহ অন্য শ্রমিকদের ধর্মঘটে যাওয়ার জন্য আট মিলিয়ন ডলারের বেশি ঘুষ দেয়। ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত চিলির পরিবহন ও অন্যান্য সেক্টরের শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে দেশটাকে সম্পূর্ণ অচল করে দেয়। আলেন্দে দেশ চালাতে অক্ষম এই অজুহাতে চিলির সেনাবাহিনী জেনারেল পিনোচেটের নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আলেন্দেকে ক্ষমতাচ্যুত করে তাঁকে হত্যা করে।

ফিরে আসি বাংলাদেশের তেলের মূল্যবৃদ্ধির রাজনীতি প্রসঙ্গে। যখন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করা হয় পরিবহন মালিকরা বলেন, দেশে ৮৫ শতাংশ গণপরিবহন গ্যাসে চালিত। সুতরাং ভাড়া না বাড়ালে গণপরিবহন রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়। ভাড়া বাড়ানো হলো। আবার যে-ই না তেলের দাম বাড়ল সঙ্গে সঙ্গে একই মালিকরা বলে উঠেন দেশে ৮৫ শতাংশ গণপরিবহন ডিজেলে চালিত। এবার আরেকটি অদ্ভুত কারবার দেখা গেল। দেশের একজন ডাকসাইটে পরিবহন নেতা, যিনি আবার সংসদ সদস্যও; এ বলে জানিয়ে দিলেন, এই গণপরিবহন বন্ধ বা ধর্মঘট ডাকা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। তাহলে বুঝতে হবে কার অঙ্গুলি হেলনে কোনো আগাম নোটিশ ছাড়া এই জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী ধর্মঘট বা গণপরিবহন বন্ধ। এখন চিকিৎসক বা যাঁরা চিকিৎসাসেবা দেন, তাঁরা বা বিদ্যুৎশ্রমিকরা যদি হঠাৎকরে ছুটি নিয়ে বা না নিয়ে এমন করে কাজ বন্ধ করে দেন, তাহলে জনগণের কী অবস্থা হবে?

স্বাভাবিক নিয়মেই তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি মাঠে নেমে পড়ল কিছু মিথ্যার ঝাঁপি নিয়ে। দলের মহাসচিব এ প্রসঙ্গে সরকারের তুমুল সমালোচনা করলেন। এটি এখন তাঁর পেশায় পরিণত হয়েছে। আর চিরাচরিত নিয়মে এ বিষয়ে তাঁর বক্তৃতা শেষ করেন এই বলে যে এই সরকারকে বিদায় করলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি ভুলে গেছেন যে তাঁদের ২০০১-২০০৬ মেয়াদকালে তেলের মূল্য আটবার বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণ করার পর তেলের দাম তিনবার কমানো হয়েছে। মির্জা ফখরুল আরো জানালেন, ভারত যখন তেলের দাম কমাল তখন বাংলাদেশে তার মূল্যবৃদ্ধি কোনো অবস্থায়ই মানা যায় না। তিনি যদি একটু খোঁজখবর নিতেন, তাহলে জানতে পারতেন ভারতে ডিজেলসহ অন্যান্য তেলের মূল্য উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনো সবচেয়ে বেশি। আর যেসব রাজ্যে নির্বাচন বা উপনির্বাচন হচ্ছে শুধু সেই সব রাজ্যে তেলে লিটারপ্রতি দাম পাঁচ-দশ রুপি কমিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ডিজেলের দাম প্রতি লিটার বাংলাদেশি টাকায় এক শ কুড়ি টাকা। তার পরও সেখানে গণপরিবহন বন্ধ হয়নি, ভাড়াও বাড়েনি। ভারতে গ্যাসে চালিত কোনো পরিবহন নেই। মির্জা সাহেবের জানা উচিত ভারত নিজেরা তেল উৎপাদন করে আর বিদেশ থেকে প্রয়োজনে ৮৩ শতাংশ তেল আমদানি করে। আর প্রাকৃতিক গ্যাস ও তরলায়িত গ্যাসের মাত্র ৪৫ শতাংশ আমদানি করে। বাকিটা নিজেদের উৎস থেকে ভারত আহরণ করে। তাদের ট্রেন চলে বিদ্যুতে। গণপরিবহন বাংলাদেশের চেয়ে অনেক উন্নত। পাকিস্তানও তাদের প্রয়োজনের ৯০ শতাংশের কিছু বেশি আমদানি করে। বাকি তেল তারা আহরণ করে বেলুচিস্তানের তেল ক্ষেত্রগুলো থেকে।

বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যে পরিবহন মালিকরা বিনা নোটিশে তাঁদের গাড়ি বন্ধ করে দিলেন। এটি সোজা কথায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা। এমনটি শুধু যে পরিবহন ক্ষেত্রে হচ্ছে তা নয়। করছেন চালের মিল মালিকরা, স্থানীয় চাঁদাবাজরা, সরকারের কিছু অসাধু কর্মকতাসহ অনেকে। প্রশ্ন উঠল দাম বাড়ল ডিজেলের, তাহলে যে বাস-ট্রাক গ্যাসে চলে তা কেন বন্ধ করা হলো? গণপরিবহন বন্ধ হওয়ার দুদিন পর বন্ধ হয়ে গেল সব লঞ্চ। জিম্মি হয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গের হাজার হাজার যাত্রী। কক্সবাজারে পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল হাজার হাজার মানুষ। সেখান থেকে তাদের ফেরা বন্ধ হয়ে গেল। তবে এখানে পুলিশ বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের নিজস্ব পরিবহনে চট্টগ্রাম শহরে পৌঁছে দিয়ে একটি ভালো নজির সৃষ্টি করেছে।

তেল, গ্যাস, ডিজেল ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করলে তবে তা হতে হবে যৌক্তিক কারণে ও যৌক্তিক উপায়ে। পশ্চিমবঙ্গে তেলের দাম বাড়লেও রাজ্য সরকার গণপবিহনের ব্যবহার্য জ্বালানিতে এখনো ভর্তুকি দিচ্ছে। সব দেশেই জনগণের জন্য অপরিহার্য পণ্যে সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। বিশ্বে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই যে ডিজেলের দাম বাড়ল, বাংলাদেশের কৃষি, যা একটি সাফল্যের গল্প তার কী হবে? কৃষকদের তো যেকোনো উপায়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তার জন্য কৃষিতে ভর্তুকি বজায় রাখতে হবে। একজন কৃষক যাতে ডিজেল বা অন্যান্য খাতে ভর্তুকি সঠিকভাবে পান তার জন্য কৃষকদের কার্ডের মাধ্যমে এই ভতুর্কি দেওয়া যেতে পারে। দেশে গণপরিবহনে যে দুটি জ্বালানি ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে ডিজেল ও গ্যাস। গণপরিবহনের গায়ে বড় বড় হরফে লেখা থাকবে কোনটি গ্যাসে চলে আর কোনটি ডিজেলে, এমন একটি সিদ্ধান্ত মালিকপক্ষ আর বিআরটিএ নিয়েছে। তার সফল বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন সঠিক নজরদারি। ব্যক্তিগত গাড়ি বা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহূত গাড়ি, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাকেও এই দুটি জ্বালানি ব্যবহূত হয়। এসব গাড়ির সামনের কাচে এটি লেখা থাকা উচিত গাড়িতে কী জ্বালানি ব্যবহার হয়। গাড়ির যেসব দলিল থাকে, যেমন—ফিটনেস সার্টিফিকেট তাতেও তা উল্লেখ থাকা উচিত। নদীমাতৃক বাংলাদেশে জলপথে যোগাযোগকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। সে কারণে যেসব যাত্রী বা পণ্যবাহী জলযান জলপথে চলাচল করে, সেসব জলযানের ব্যবহার্য জ্বালানিতে ভর্তুকি দেওয়ার কথা চিন্তা করতে হবে। এরই মধ্যে ১৪ দলের নেতারা সভা করে বলেছেন, এই মুহূর্তে ডিজেলের দাম বাড়ানো উচিত হয়নি, এটি একটি অমানবিক সিদ্ধান্ত।

বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দেশে সব সময় তেলের দাম বাড়ে না। বাড়ার আরেকটি বড় কারণ বিপিসির চরম অদক্ষতা। অতীতে এমন ঘটনাও ঘটেছে যে জাহাজ ভর্তি অপরিশোধিত তেল চট্টগ্রামে এসে খালাসের অপেক্ষায় দিনের পর দিন সমুদ্রে দাঁড়িয়েছিল। যার ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার বিপিসি ডেমারেজ দিয়েছে আর তা জনগণ থেকে আদায় করা হয়েছে এবং হয়।

গণপরিবহন ধর্মঘট বলি অথবা তা বন্ধ করার কথা বলি (যা এবার মালিক আর পরিবহন নেতারা বলেছেন) তখন আমাদের প্রজন্মের কাছে চিলির ঘটনার কথা মনে পড়ে। আর তা যখন ঘটে প্রধানমন্ত্রী যখন দেশে থাকেন না তখন, তা অনেকটা শঙ্কার কারণ হতেই পারে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। এর সঙ্গে বর্তমানে চলছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল প্রার্থী আর বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে প্রাণঘাতী হানাহানি। সব কিছু বিশ্লেষণ করলে মনে হতে পারে দেশের প্রশাসন এই মুহূর্তে বর্তমান সরকারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে না। ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী।

এখন সরকারে আওয়ামী লীগ কিন্তু প্রশাসনে আছে খুবই শক্তিশালী আমলাতন্ত্র। অনেকের ভূমিকা প্রশ্নাতীত নয়। তাঁরাই এই মুহূর্তে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন, যা সরকারকে বেকায়দায় ফেলে, বিব্রত করে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে না পারলে সামনের সময় আরো নানা রকমের ষড়যন্ত্রমূলক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সবাই এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছে। সবার আশা, তিনি দেশে ফিরে পুরো বিষয়টা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে একটি জনবান্ধব সিদ্ধান্ত দেবেন। সবকিছু সম্পূর্ণভাবে ঢেলে সাজানো এবং যোগ্য মানুষকে যথা জায়গায় দায়িত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। তা না হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সরকার পড়তে পারে বেকায়দায়।

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক

(সংগৃহিত)

এই বিভাগের আরো সংবাদ