আজকের শিরোনাম :

করোনাকালে মনুষ্যত্বের পুনর্জন্ম

  আবদুল মান্নান

০৩ মে ২০২১, ১২:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

সারা বিশ্ব বর্তমানে অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে একটি অজানা অণুজীবের দাপটে। বিজ্ঞানীরা তার নাম দিয়েছেন কভিড-১৯, সাধারণ মানুষ জানে তাকে করোনা বলে। এই একটি অজানা অণুজীব বা ভাইরাস সারা বিশ্বের সব মানুষকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-বিশেষে নতজানু করে দিয়েছে। বিশ্বের বড় বড় পরাশক্তি কত হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মানুষ মারার মারণাস্ত্র বানানোর জন্য; কিন্তু মানুষকে বাঁচানোর জন্য এই অর্থের ক্ষুদ্র পরিমাণও যদি তারা ব্যয় করত তা হলে বিশ্ব আজ এই অণুজীবের কাছে পরাস্ত হতো না। এই পরাশক্তিগুলো ভিনগ্রহে অক্সিজেনের অস্তিত্ব খোঁজার চেষ্টা করছে; কিন্তু মর্ত্যে এই অক্সিজেন বানানোর কৌশল বিজ্ঞান তাদের হাতে তুলে দিয়েছে অনেক আগে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে সেই অক্সিজেনের অভাবে করুণ অবস্থায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে হাসপাতালে করোনা রোগীরা মারা পড়ছে ঘণ্টায় ঘণ্টায়। অথচ এই দেশটি একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী এক দশকে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক পরাশক্তি হবে। একই অবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেরও। যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই মৃত্যু আর আহাজারি। মানুষের কিছু করার নেই।

বিশ্বে গত ১০০ বছরে মানুষের এমন করুণ অবস্থা কেউ দেখেনি। সর্বশেষ একটি সর্বগ্রাসী পরিস্থিতি হয়েছিল ত্রিশ আর চল্লিশের দশকে। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকাল। কিন্তু এই করোনা অতিমারিকালে বিশ্বের প্রায় সব দেশ কমবেশি আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে সব দেশে, কোনো কোনো দেশে এই সংখ্যা শতকের ঘরে আবার যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রাজিলে এই সংখ্যা লাখের ঘরে। এই মৃত্যুর মিছিলে কোটিপতি থেকে সেনাবাহিনীর জেনারেল, খেটে খাওয়া মানুষ থেকে পেশাদার চিকিৎসক, শিল্পপতি থেকে শুরু করে পত্রিকার সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষক থেকে তাঁর শিক্ষার্থী, মন্ত্রী  থেকে লেখক, কেউ বাদ যায়নি। সারা পৃথিবীর যখন এই অবস্থা তখন মানুষ দুটি জিনিসের জয়যাত্রা দেখেছে। প্রথমটি বিজ্ঞানের আর দ্বিতীয়টি মনুষ্যত্ব বা মানবিকতার।

এর আগে যত অতিমারির আঘাত এসেছে তার প্রতিষেধক তৈরি করতে পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লেগেছে। মারা পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। ধারণা করা হয়, ১৯১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯২০ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়কালে ইউরোপ ও আমেরিকায় কমপক্ষে এক কোটি ৭০ লাখ থেকে ১০ কোটি পর্যন্ত মানুষের মৃত্যু হয় স্প্যানিশ ফ্লুতে। এই অতিমারিটি আঘাত হেনেছিল শুধু ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলে। এই অতিমারি মোকাবেলা করার জন্য নানা রকমের ওষুধ বা প্রতিষেধক ব্যবহার করা হয়েছিল। সঠিক ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছিল ১৯৪০ সালে। আর কভিড-১৯ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনে প্রথম দেখা দেওয়ার পর যখন তা ইউরোপে আঘাত হানে তার ৯ মাসের মাথায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ঘোষণা করেন, তাঁরা এই অতিমারি রোধ করার জন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন। এরপর আরো একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা তাঁদের গবেষণাগারে ভ্যাকসিন তৈরি করার ঘোষণা দেন।

বিজ্ঞানের এই বিস্ময়কর অবদানের পর আরেকটি বিষয় দেশে এবং দেশের বাইরে মানুষ প্রত্যক্ষ করল আর তা হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনুষ্যত্ব বা মানবিকতা। প্রথম দিকে কোনো একজন করোনা রোগী মারা গেলে তার স্বজনরাও তার মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেছে। এটি বেশি ঘটেছে বাংলাদেশে। এগিয়ে এলো কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যার বেশির ভাগ সদস্যই তরুণ, যারা মৃতদেহ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করতে লাগল। অনেক জায়গায় দেখা গেল সনাতন ধর্মের কেউ একজনের মৃত্যু হলে তার সৎকারে এগিয়ে এসেছে এলাকার মুসলমান যুবকরা। নারায়ণগঞ্জে একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এই কাজের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়ে গেলেন। আর একদল তরুণ নেমে গেল ক্ষুধার্তদের বিনা মূল্যে আহার জোগাতে। হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী দিন-রাত রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত এক বছরে করোনা সেবা দিতে গিয়ে প্রায় দেড় শ ডাক্তার মৃত্যুবরণ করেছেন। অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভারদের গাড়িতেই রাত কাটাতে হচ্ছে। পিছিয়ে থাকেনি সরকারের বিভিন্ন বাহিনী। এদের এই আত্মত্যাগ মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আমাদের পাশের দেশ ভারত। গত কয়েক সপ্তাহে করোনার আঘাতে সম্পূর্ণ পরাস্ত। এই পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে পরীক্ষা হলে এই সংখ্যা ৫০ কোটি পর্যন্ত হতে পারে। এই পর্যন্ত দু্ই লাখের বেশি মানুষ সে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার মানুষ ভারতে মারা যাচ্ছে। ভারতে করোনার এটি দ্বিতীয় ঢেউ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গোয়ার অবস্থা ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও খারাপের দিকে। এদের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যের অবস্থা এতই ভয়াবহ যে শ্মশানে লাশ পোড়ানোর দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে। কবরস্থানেও একই অবস্থা। অনেক স্থানে মানুষ লাশ রাস্তায় ফেলে চলে যাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষ নিজের স্বজনদের লাশ পোড়াচ্ছে বাড়ির ছাদে, স্কুলের মাঠে বা স্থানীয় পার্কে। লাশবাহী গাড়ির অভাবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে মানুষ লাশ নিজের কাঁধে করে অথবা মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তখনই সৃষ্টি হয়েছে যখন হাসপাতালগুলোতে রোগীর সিট, আইসিইউ, অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। দিল্লির একটি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

ভারতে করোনা মহামারির এই আকার ধারণ করার জন্য সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করছে। সরকার মনে করেছিল এই অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ ভারতে লাগবে না। সরকার উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অনুষ্ঠিত হরিদ্বারে কুম্ভ মেলা বন্ধ করতে পারেনি। সেখানে চার দিনে আনুমানিক এক কোটি সাধু কোনো রকমের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গঙ্গা স্নানে গিয়েছিলেন। এই পর্যন্ত এ মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় দুই হাজার জনের বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আসল সংখ্যা আরো কয়েক গুণ হতে পারে। দেশটির রাজ্য সরকারগুলো এ রকম আরো কিছু ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ করার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে গত বছর সৌদি সরকার পবিত্র হজের মতো মুসলমানদের জন্য একটি ফরজ জমায়েত বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু যাঁরা সৌদি আরবে বসবাস করেন তাঁদের মধ্যে থেকে সীমিতসংখ্যক মানুষ হজে সব স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে অংশগ্রহণ করেছেন। সাধারণ সময়ে এই হজে প্রায় কুড়ি লাখ মানুষ প্রতিবছর অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা ওমরাহ কার্যক্রমও একেবারেই সীমিত করে রেখেছে। কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সৌদি আরব অনেকাংশে সফল। এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম একেবারে তলানিতে। হজের পর বিশ্বে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় জমায়েত হয় ঢাকার বিশ্ব ইজতেমায়। প্রায় ২০ লাখ মানুষ দেশ-বিদেশ থেকে এই জমায়েতে অংশ নেয়। এই বছর সরকার তার অনুমতি দেয়নি। ভারতে আরো একটি কর্মসূচি হয়েছে, যাতে সংক্রমণটা এত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে আর তা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গসহ চারটি রাজ্যে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন। এতে নিয়মিত মানুষের জমায়েত হয়েছে জনসভা আর প্রচার-প্রচারণায়। পশ্চিমবঙ্গে এটি বেশি হয়েছে। কারণ প্রতি সপ্তাহে এই রাজ্যে হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী অথবা তাঁর সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী নির্বাচনী সভা করেছেন। কোথাও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল না।

ভারতের এই চরম দুর্দিনে অনেক প্রতিষ্ঠান, মানুষ ও দেশ তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছে মানবতাই মানুষের প্রধান ধর্ম। এরপর কেউ মুসলমান আর কেউ বা হিন্দু, নয়তো বা খ্রিস্টান কিংবা নাস্তিক। ভারতে বর্তমানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় যাদের অন্যতম মন্ত্র হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী, অর্থাৎ ভারত শুধু হিন্দুদের দেশ। এমন চিন্তা-চেতনা শুধু উগ্র জাতীয়তাবাদের জন্ম দেয়, যা যেকোনো দেশ, সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এই উগ্র জাতীয়তাবাদের কারণে সেই দেশে নিয়মিত বিরতি দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়েছে, নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দাঙ্গাগুলো বেশির ভাগই হয়েছে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে। গত কয়েক বছরে দেশটিতে এমন সব ঘটনা ঘটেছে, যা উল্লেখযোগ্য। অথচ এই অতিমারির ক্রান্তিকালে দেখা গেছে গুজরাটের মুসলমানরা তাদের অনেক মসজিদকে স্বেচ্ছা হাসপাতালে রূপান্তর করেছে। এসব মসজিদের অনেকই ২০০২ সালে সংঘটিত দাঙ্গায় সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। গুজরাট ছাড়াও উত্তর প্রদেশের অনেক মসজিদই হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায়। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাদের একটি বিশাল ভবনকে হাসপাতালে রূপান্তর করেছে। এসব হাসপাতালের দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত। শুধু মসজিদ নয়, অনেক মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়কেও হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টারে রূপান্তর করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে মৃত ব্যক্তিকে মুখাগ্নি করার মতো কেউ নেই। সেই কাজটি করার জন্য হয়তো কোনো একজন মুসলমান এগিয়ে এসেছে। অনেক জায়গায় কবর খুঁড়তে হাত লাগিয়েছে সনাতন ধর্মের মানুষ।

ভারত যখন অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে তখন সৌদি আরব ৮০ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরল অক্সিজেন পাঠিয়েছে। এর আগে ভারত সৌদি আরবকে কভিড-১৯-এর টিকা দিয়েছে। অক্সিজেন এলো সিঙ্গাপুর, জার্মানি থেকে। যুক্তরাজ্য থেকে এলো চিকিৎসা সরঞ্জাম। যুক্তরাষ্ট্র টিকা উৎপাদনের জন্য কাঁচামালের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তা তুলে নিয়েছে। মহারাষ্ট্রের অবস্থা আগে থেকেই করুণ। শাহনেওয়াজ শেখ তাঁর দামি গাড়িটা ২২ লাখ রুপিতে বিক্রি করে তা দিয়ে ১৬০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে তা হাসপতালে বিনা মূল্যে বিতরণ করেছেন। ধর্ম নয়, তাঁর কাছে মানবতাই প্রথম। ভারতের বড় বড় শিল্পপতিরা একজোট হয়ে সরকারকে এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। রতন টাটা একাই দেড় হাজার কোটি রুপি সরকারের তহবিলে দান করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন দেশের প্রয়োজনে তাঁর সব সম্পদ তিনি দিয়ে দিতে রাজি। রতন টাটা একজন পার্সি। যেসব বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান অক্সিজেন ব্যবহার করে তারা তার ব্যবহার হয় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে অথবা অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। বাকিটা যাচ্ছে হাসপাতালে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বৈরী সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সেই পাকিস্তান ভারতকে এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিশ্রুত টিকা না দিয়ে ভারত চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তার পরও বাংলাদেশ মানবিকতার নিদর্শনস্বরূপ ভারতে চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধ পাঠাচ্ছে।

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত মুম্বাইয়ে কারফিউ চলছে। অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কদিন আগে দেখা গেল মুম্বাই পুলিশ সাহরির সময় মাইকে মুসলমানদের আহ্বান করছে, সাহরির পর তাঁরা যখন নামাজ (ফজর) পড়েন, তখন যেন তাঁরা এই অতিমারি থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রার্থনা করেন।

সারা বিশ্বে নানা ঘটনার কারণে মনুষ্যত্ব লোপ পেয়েছিল। মনে হচ্ছে, এই একটি অতিমারির কারণে সেই মনুুষ্যত্বের কিছুটা হলেও ফিরে এসেছে। কভিড-১৯ অতিমারি প্রমাণ করল বিপদের সময় মনুষ্যত্বের চেয়ে বড় ধর্ম আর কিছু হতে পারে না।

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক

সৌজন্যে: দৈনিক কালের কন্ঠ

এই বিভাগের আরো সংবাদ