আজকের শিরোনাম :

কার্বন নিঃসরণে লাগাম টানতে সময় আছে তিন বছর: জাতিসংঘ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ২০:০৪

কার্বন নিঃসরণের লাগাম টেনে ধরতে মানবসভ্যতার কাছে আর মাত্র তিন বছর সময় আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এই সময়ের মাঝে কার্বন নিঃসরণ কমানো না গেলে বিশ্ব চরম বিপর্যয়ে পড়বে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার ২৮০০ পাতার রিপোর্টে (ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২২ : মিটিগেশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ) মানবসমাজকে এই একান্ত জরুরি বার্তাটি দিয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু-সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি)।

আইপিসিসি যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী কার্বনের নিঃসরণ কমাতে মানুষের কাছে তিন বছরেরও কম সময় আছে। অর্থাৎ ২০২৫ সালের আগেই এ নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে।

পাশাপাশি বলা হয়েছে, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৩ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে হবে। ওই সময়েই মিথেনের পরিমাণও কমিয়ে ফেলতে হবে এক-তৃতীয়াংশ। না হলে বিপজ্জনকভাবে বাড়বে তাপমাত্রা। বহু দেশ ভুগবে পানি কষ্টে। বিশ্বজুড়ে বাড়বে সমুদ্রে পানির স্তর। তলিয়ে যাবে বহু জায়গা। খাদ্যসংকট দেখা দিবে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রিপোর্ট প্রসঙ্গে ভিডিও বার্তায় বলেন, এটি একটি জলবায়ু জরুরি অবস্থা। আমরা এরই মধ্যে বিপজ্জনক মুহূর্তের কাছাকাছি আছি। কিন্তু অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল চোখ বন্ধ করেই নেই. তারা আগুনে ঘি ঢালছে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় এই গ্রহকে দম বন্ধ অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে। একটি বসবাসের অযোগ্য বিশ্ব তৈরি হচ্ছে।

আইপিসিসির এই রিপোর্টটি অনুমোদন করেছে ১৯৫টি সদস্য দেশ। যা বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সবচেয়ে বিশদ রিপোর্ট বলে মানছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বিষয়টি নিয়ে বারবার সতর্ক করলেও অভিযোগ, আমেরিকাসহ একাধিক দেশ যেমন কার্বন নিঃসরণ কমানোর দায় চীন-ভারতের মতো দেশগুলোর দিকে ঠেলতে ব্যস্ত।

অন্যদিকে এই দেশগুলোও উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে তা কমানোর দায় উন্নত বিশ্বের আদালতেই ঠেলে দিয়েছে। সব মিলিয়ে প্যারিস থেকে গ্লাসগো জলবায়ু আলোচনা বা চুক্তি—সবই থেকে গেছে নিছক কাগজে-কলমেই।

এর আগে ১৯৯০ সাল থেকে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সতর্ক করে আসছে আইপিসিসি। কিন্তু বৈশ্বিক তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৫ প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে বলা হলেও এরই মধ্যে এ সীমা অতিক্রম করতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে শতাব্দীর শেষ নাগাদ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পৌঁছাবে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ