পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে : পরিবেশ মন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২১, ২৩:০৭
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে বিশ্ববাসীকে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিযোজন ও গ্রিন হাউস নির্গমন কমিয়ে আনতে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত 'রোড টু গ্লাসগোঃ আমাদের পৃথিবীর পুনরুদ্ধার ও জলবায়ু সুরক্ষা' শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে ঢাকায় সরকারি বাসভবন হতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে গেলে আমাদের দেশের ১৭ ভাগ ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে প্রায় তিন কোটি মানুষ তাদের আবাসন হারাতে পারে। অথচ আমরা কোনোভাবেই এই জলবায়ু-সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী নই। এর জন্য দায়ী অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশসমূহ। তিনি বলেন, একটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভূখন্ডের অন্তত ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। সামাজিক বনায়নসহ বনায়ন কার্যক্রম ও দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণের ফলে দেশে বর্তমানে মোট বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এটিকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার।
মোঃ শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সারা দেশে জনসাধারণের মধ্যে বিনামূল্যে এক কোটি বৃক্ষের চারা বিতরণ ও রোপণ করেছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর স্বার্থরক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম (সিভিএফ) ও ভি২০- এর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমান এবং ভবিষ্যতে জলবায়ু সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করতে কাজ করছে।
পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান, একশন এইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির প্রমুখ।
এবিএন/জসিম/তোহা
মন্ত্রী আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এবং পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত 'রোড টু গ্লাসগোঃ আমাদের পৃথিবীর পুনরুদ্ধার ও জলবায়ু সুরক্ষা' শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে ঢাকায় সরকারি বাসভবন হতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বেড়ে গেলে আমাদের দেশের ১৭ ভাগ ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে। এতে প্রায় তিন কোটি মানুষ তাদের আবাসন হারাতে পারে। অথচ আমরা কোনোভাবেই এই জলবায়ু-সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী নই। এর জন্য দায়ী অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশসমূহ। তিনি বলেন, একটি দেশের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য ভূখন্ডের অন্তত ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। সামাজিক বনায়নসহ বনায়ন কার্যক্রম ও দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণের ফলে দেশে বর্তমানে মোট বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এটিকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার।
মোঃ শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সারা দেশে জনসাধারণের মধ্যে বিনামূল্যে এক কোটি বৃক্ষের চারা বিতরণ ও রোপণ করেছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বিশ্বসভায় জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর স্বার্থরক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম (সিভিএফ) ও ভি২০- এর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ বর্তমান এবং ভবিষ্যতে জলবায়ু সহিষ্ণুতা বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করতে কাজ করছে।
পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মনিরুজ্জামান, একশন এইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির প্রমুখ।
এবিএন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ