আজকের শিরোনাম :

‘মিনা পাল’ থেকে যেভাবে ‘কবরী’ হয়ে ওঠা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ১০:১৫

ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ খ্যাত নায়িকা সারাহ বেগম কবরী আর নেই। সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কবরী। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন বরেণ্য এই অভিনয়শিল্পী।

১৯৫০ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জন্ম হয় কবরীর। তার আসল নাম ছিল মিনা পাল। বাবা শ্রীকৃষ্ণদাস পাল এবং মা লাবণ্য প্রভা পাল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে উঠেছিলেন তিনি। তারপর টেলিভিশন ও পরে সিনেমা জগতে পা রাখা।

১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের সুতরাং ছবির মধ্যে দিয়ে সিনেমায় অভিষেক, সে সময়ই নতুন নাম হয় সারাহ বেগম কবরী। পরিচালক সুভাষ দত্তই তাকে এই নাম দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

শুরুর দিকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে তাকে প্রচুর রিহার্সাল করতে হয়েছিল 'ভাষা থেকে চাঁটগাইয়া আঞ্চলিক টান' এবং কথায় 'নাকি নাকি ভাব' দূর করতে। এসময় কবরী বলেছিলেন, ‘‘চোখ তুলে তাকাতে সাহস পেতাম না, খুব লজ্জা পেতাম। সব সুভাষ দত্ত শিখিয়েছেন। কিন্তু 'সুতরাং'এর পর আমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’’

এরপরের দুই দশকে ‘রংবাজ’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘দ্বীপ নেভে নাই’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সুজন সখী’, ‘সারেং বৌ’য়ের মত বহু ব্যবসা সফল এবং আলোচিত সিনেমায় প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন।

দক্ষ অভিনয় শৈলী দিয়ে ‘মিষ্টি মেয়ে’ হয়ে ওঠেন এই অভিনেত্রী। তারপর জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় কবরীর শুধুই দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা।

কবরী বিয়ে প্রথম করেন চিত্ত চৌধুরীকে। সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ১৯৭৮ সালে তিনি বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে। ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কবরী পাঁচ সন্তানের মা।

২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যুক্ত ছিলেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-তে প্রকাশিত হয়েছে তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ